যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
পায়ের দুর্গন্ধ বেশ বিব্রতকর একটি সমস্যা। মাঝেমধ্যে জুতা খোলার পর দুর্গন্ধ এতটাই ভয়ানক হয় যে আশপাশের মানুষজনও বিরক্ত বোধ করেন। মূলত অতিরিক্ত ঘাম ও পা অপরিষ্কার থাকার কারণে এই দুর্গন্ধ হয়। তবে আপনি চাইলে এই সমস্যা এড়াতে পারেন। এক্ষেত্রে সচেতনভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে-
যে কারণে দুর্গন্ধ হয়
-ঘাম ও পা অপরিষ্কার থাকার কারণে দুর্গন্ধ হয়। ঘামে ভেজা স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় ব্যাকটেরিয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে সময় যাওয়ার সাথে সাথে দুর্গন্ধও বাড়তে থাকে।
-অনেকেই কনভার্স কিংবা স্নিকার মোজা ছাড়াই পরেন। এতে ঘামে ভিজে জুতার নোংরা হয়ে থাকে। ফলে দুর্গন্ধ হয়।
-সিনথেটিক মোজার ভেতর দিয় বাতাস চলাচল করতে পারে না, আবার ঘাম শোষণেও অকার্যকর হওয়ার কারণেও দুর্গন্ধ হয়।
-কৃত্রিম চামড়ার জুতা পরলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
-পায়ের অযত্ন কিংবা আলস্যের কারণে পায়ে নানা ধরনের রোগ হয় ও দুর্গন্ধ ছড়ায়।
দুর্গন্ধ এড়াতে যা করবেন
-প্রতিদিন এক জোড়া জুতা না পরে জুতা বদল করে পরুন। জুতা বদ্ধ জায়গায় না রেখে আলো–বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন।
-অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখুন।
-দীর্ঘ সময় জুতা, মোজা পরে না থেকে মাঝেমধ্যে জুতা খুলে পায়ে বাতাস লাগালে দুর্গন্ধ কমবে।
-হালকা গরম পানিতে পুদিনাপাতা ও বেকিং সোডা দিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন এতে দুর্গন্ধ অনেকটা কমবে।
-প্রতিদিনই ধোয়া-পরিষ্কার সুতির মোজা ব্যবহার করুন।
-এক জোড়া জুতাই পর পর ব্যবহার করলে প্রতিদিনই জুতা রোদে দিন তাতেও দুর্গন্ধ হবে না।
-কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে স্ক্র্যাব করে মৃত কোষগুলো সরিয়ে ফেলুন, দুর্গন্ধ কমবে।
-শীতে নিয়মিত পায়ে ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
-ভেজা পায়ে জুতা, মোজা পরবেন না, তার ফলে দুর্গন্ধ বাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।