নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
উয়েফা বর্ষসেরার মঞ্চে আবারও দর্শক হয়ে রইলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সময়ের সেরা দুই তারকাকে হারিয়ে ২০১৮-১৯ মৌসুমের উয়েফা বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের খেতাব জিতে নিয়েছেন লিভারপুলের ডাচ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডিক।
গতকাল ফ্রান্সের মোনাকোয় ২০১৯-২০ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুমের মূল পর্বের ড্র অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম ঘোষণা করা হয়। নাম ঘোষণার পর মেসি ও রোনালদোর পাশ থেকে মঞ্চে উঠে উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেসান্দার সেফারিনের হাত থেকে পুরস্কার তুলে নেন ফন ডিক। গত আসরে এই পুরস্কার জিতেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়াট ডিমফিল্ডার লুকা মদরচি। একই অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা ডিফেন্ডারের পুরষ্কারও জিতে নেন ফন ডিক।
গত মৌসুমের উয়েফা বর্ষসেরা ফরোয়ার্ডের খেতাব জিতেছেন বার্সেলোনা তারকা মেসি। বর্ষসেরা মিডফিল্ডার হয়েছেন আয়াক্সকে সেমিফাইনালে নিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখা ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াং। আর বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কার উঠেছে লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান তারকা আলিসন বেকারের হাতে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের কারণে মেসি-রোনালদোর চেয়ে তো ফন ডিক এগিয়ে ছিলেনই, এছাড়া গত লিগ মৌসুমেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। ঘরোয়া লিগে ড্রিবলিং করে তাকে পিছনে ফেলতে পারেননি কেউ-ই। বল দখলের লড়াইয়ে প্রতি ১০০ বারে জিতেছেন ৭৬ বার। ক্লাব ও দেশের হয়ে ৫৯ ম্যাচে অংশ নিয়ে নয় গোলের পাশাপাশি করেছেন চার বার গোলে সহায়তা।
২০১১ সাল থেকে বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের এই পুরষ্কার দিয়ে আসছে উয়েফা। রোনালদো এই পুরষ্কার জিতেছেন সর্বোচ্চ তিন বার (২০১৪, ২০১৬ ও ১০১৭) আর মেসির হাতে উঠেছে দুই বার (২০১১ ও ২০১৫)।
পুরষ্কারের জন্য ৩১ জুলাই ২০১৮ থেকে ৩১ জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত সময়কে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই সময়ে ক্লাব ও দেশের হয়ে ৫৮ ম্যাচে ৫৪ গোল করেছেন মেসি। রোনালদো করেন ৪৭ ম্যাচে ৩১ গোল। দুজনেই জিতেন ক্লাবের হয়ে লিগ শিরোপা।
ফ্রান্সের সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা এরিক কানতোনার হাতে উয়েফা প্রেসিডেন্ট পুরষ্কার তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রতিটি পুরষ্কার প্রদানের ফাঁকে নির্ধারণ করা হয় নতুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুমের গ্রুপ পর্বে ৩২ দলের ভাগ্য।
সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। ‘এফ’ গ্রুপে তাদের সঙ্গে লড়বে জার্মান বুন্দেসলিগার গত বারের রানার্স আপ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, তিন বারের ইউরোপ সেরার খেতাব জয়ী ইতালিয়ান সেরি আ লিগের দল ইন্টার মিলান ও চেক রিপাবলিক চ্যাম্পিয়ন স্লভিয়া প্রাগ।
প্রতিযোগিতার সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি, বেলজিয়ামের দল ক্লাব ব্রুগ ও তুরস্কের দল গালাতাসারাই। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের গ্রুপে রয়েছে সেরি আ’র দল নাপোলি, অস্ট্রিয়ার ক্লাব সালজবুর্গ ও বেলজিয়ামের দল গেন্ক। সেই তুলনায় সহজ গ্রুপে পেয়েছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। ‘সি’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ শাখতার দোনেৎস্ক, ডায়নামো জাগরেব ও আটালান্টা। রোনালদোর জুভেন্টাসের ‘ডি’ গ্রুপের সঙ্গী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, বায়ার লেভারকুসেন ও লোকোমতিভ মস্কো।
উয়েফা সেরারা
প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড : এরিক কানতোনা (ম্যানইউ/ফ্রান্স, ১৯৯২-৯৭)
গোলরক্ষক : আলিসন বেকার (লিভারপুল/ব্রাজিল)
ডিফেন্ডার : ভার্জিল ফন ডিক (লিভারপুল/নেদারল্যান্ডস)
ফিডফিল্ডার : ফ্যাঙ্ক ড ইয়াং (আয়াক্স/বার্সেলোনা/নেদারল্যান্ডস)
ফরোয়ার্ড : লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা/আর্জেন্টিনা)
বর্ষসেরা ফুটবলার : ভার্জিল ফন ডিক (লিভারপুল/নেদারল্যান্ডস)
নারী ফুটবলার : লুসি ব্রোঞ্জ (ইংল্যান্ড)
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোন গ্রুপে কারা
এ : পিএসজি, রিয়াল মাদ্রিদ, ক্লাব ব্রুগ, গালাতাসারেই
বি : বায়ার্ন মিউনিখ, টটেনহ্যাম, অলিম্পিয়াকোস, ক্রেভেনা জেভেজদা
সি : ম্যানসিটি, শাখতার দোনেৎস্ক, ডায়নামো জারগেব, আটালান্টা
ডি : জুভেন্টাস, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, লেভারকুজেন, লোকোমোটিভ মস্কো
ই : লিভারপুল, নাপোলি, সালসবুর্গ, গেন্ক
এফ : বার্সেলোনা, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, ইন্টার মিলান, স্লভিয়া প্রাহা
জি : জেনিথ, বেনফিকা, লিঁও, লাইপজিগ
এইচ : চেলসি, আয়াক্স, ভ্যালেন্সিয়া, লিল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।