Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বার্সেলোনাকে ‘দুঃস্বপ্ন’ উপহার বায়ার্নের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বায়ার্ন মিউনিখ-জুজু যেন কাটছেই না বার্সেলোনার। ৮-২ এর স্মৃতি তো সবার মনে এখনো তরতাজাই, এক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পরই গ্রুপপর্বে আবারো সেই বায়ার্নকে ঘরের মাঠে পেয়ে বার্সেলোনা সমর্থকরা আশা করেছিল, হয়ত এবার ঐ লজ্জা সামান্য ফিরিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু কিসের কি? আবারো যে হেরে বসলো বার্সা। রবার্ট লেভান্দোভস্কির জোড়া গোলে গতপরশু উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে বার্সেলোনাকে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার্নের হয়ে অপর গোলটি করেছেন থমাস মুলার।

প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে ম্যাচের চালচিত্র। তবে বার্সার ডি ইয়ং-ডিপাইদের সামলাতে উপামেকানো-সুলাদের যতটা না বেগ পেতে হচ্ছিল, তার চেয়ে বায়ার্নের লেভান্দোভস্কি-সানে-মুসিয়ালার ত্রিমুখী আক্রমণের স্রোত সামলাতে যেন একটু বেশিই গলদঘর্ম হচ্ছিলেন পিকে-গার্সিয়া-বুসকেটসরা। মেসিবিহীন বার্সার আক্রমণে ওঠার ধাঁচটাও কেমন যেন অগোছালো আর ফিকে মনে হচ্ছিলো, লুক ডি ইয়ং খুঁজে পাচ্ছিলেন না মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের সাথে সঠিক সমন্বয়।
ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ কতোটা আধিপত্য বিস্তার করেছে, বা ঘরের মাঠে কতোটা বিবর্ণ ছিল বার্সেলোনা, তা শুধুমাত্র একটি পরিসংখ্যান দিয়েই বোঝানো যায়। মোট ১৭টি শট নিয়েছে বায়ার্ন, যার ৭টিই ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে বার্সার শট ছিল মাত্র ৫টি, লক্ষ্যে শট ছিল শূন্য। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এই প্রথম কোন ম্যাচে লক্ষ্যে একটিও শট নিতে পারেনি বার্সেলোনা। ‘গোল না করতে পারি, গোল খাবোনা’ নীতিতেই যেন একটা সময় খেলছিলো রোনাল্ড কুম্যানের শিষ্যরা।
এই জয়ে বার্সেলোনার বিপক্ষে বিগত ৬ ম্যাচের ৫টিই জিতল বায়ার্ন মিউনিখ। বার্সেলোনার একটি জয় কেবল ২০১৪/১৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এই ছয় ম্যাচে বায়ার্ন বার্সার জালে গোল দিয়েছে ২১টি, বার্সা শোধ দিতে পেরেছে মাত্র ৭টি।
একই রাতে লিগের আরেক ম্যাচে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু করল চেলসি। জেনিত সেন্ট পিটার্সবুর্গকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করল টমাস টুখেলের দল। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে জিতল চেলসি। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন দ্বিতীয় মেয়াদে দলটিতে ফেরা রোমেলু লুকাকু। ম্যাচে ৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১১টি শট নেয় চেলসি, যার দুটি লক্ষ্যে। জেনিতের ৬ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল।
জুভেন্টাসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সাবেক হওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম খেলতে নেমেছিল জুভেন্টাস। পর্তুগিজ তারকার শূন্যতা বুঝতেই দেননি আলেক্স সান্দ্রো, পাওলো দিবালা, আলভারো মোরাতা। ইউরোপ সেরার আসরে মালমোকে হারিয়ে দারুণ শুরু পেল প্রতিযোগিতাটির ২০১৬-১৭ মৌসুমের রানার্সআপরা। মালমোর মাঠে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে মাসিসমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দল। তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে।
রোনালদোহীন জুভেন্টাস জয় পেলেও এই মহাতারকা দলে থাকার পরও হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইউরোপীয় মঞ্চে ম্যানইউর হয়ে এটি ছিল রোনালদোর দ্বিতীয় ‘অভিষেক’। এ ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলায় (১৭৭) কিংবদন্তি স্প্যানিশ গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে ছুঁলেন রোনালদো। ইপিএলের মতো এখানেও শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ১৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি এসেছিল সিআর সেভেনের কাছ থেকে।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ম্যানইউর। শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে গোল হজম করে ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রেড ডেভিলরা। রোনালদোর গোলে এগিয়ে গিয়ে দাপট ধরে রেখেছিল ইংলিশ জায়ান্টরা। কিন্তু ওলে গুনার সুলশারের সব হিসাব এলোমেলো হয়ে যায় ম্যাচের ৩৫ মিনিটে। ইয়াং বয়েজের এক খেলোয়াড়কে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ওয়ান-বিসাকা। দশ জনের দল নিয়ে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ পার করে ম্যানইউ।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামে স্বাগতিক ইয়াং বয়েজ। ১০ জনের ম্যানইউকে রীতিমতো চেপে ধরে তারা। একের পর এক আক্রমণের ধারায় ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ঠিকই সমতা ফেরায় বয়েজ। গোলটি করেন মাউমি এনগামালেউ। শেষ দিকে ম্যানইউকে চেপে ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বয়েজ। যার সুফল তারা পায় যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটে। জর্দান সিয়েবাতচেউ বয়েজের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। এই গোলের পর ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগ পায়নি ম্যানইউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ