Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জনবল সঙ্কটে কার্যক্রম ব্যাহত

৬৯ পদের মধ্যে ৩৬ পদ শূন্য

এস এম বাবুল (বাবর), লক্ষ্মীপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জনবল সঙ্কটে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ৬৯টি পদের মধ্যে ৩৬টি পদই শূন্য। জনবল সঙ্কটের কারণে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমতো দূরের কথা অফিসের কার্যক্রমও ঠিকমতো পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

জেলার মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদনের জন্য প্রায় ৩ হাজার খামার রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫৫টি খামার রেজিস্ট্রেশনকৃত। জনবল সঙ্কটের ফলে খামারগুলো যথাসময়ে পরিদর্শন করতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসা অসুস্থ পশু-পাখিকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সীমিত জনবল দিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কোনরকম চিকিৎসার কাজটি চালানোর পাশাপাশি জোড়াতালি দিয়ে এক পদের লোক দিয়ে অন্য পদের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।

ল²ীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলা কার্যালয় ও পাঁচটি উপজেলা অফিসে বিভিন্ন পদের ৬৯টি পদের মধ্যে ৩৬টি পদই শুন্য। যার মধ্যে ভেটারিনারি সার্জনের ২টি, ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিস্টেন্টের ৭টি, ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডারের ৩টি, মাঠ সহকারী কৃত্রিম প্রজননের ৮টি, ক্যাশিয়ার পদ ১টি, অফিস সহায়ক পদ ১টি, ড্রেসার পদ ৩টি, প্রাণিসম্পদ সহকারীর ৫টি পদ, সাতটি অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ৫টি পদসহ কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদটিও শূন্য রয়েছে।

খামারিরা জানান, প্রাণিসম্পদ অফিসের কোনও লোকই কখনোই খামার পরিদর্শনে যায় না। দেয় না পরামর্শ। তাছাড়া প্রাণিসম্পদ কার্যালয় হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় গবাদি পশুর চিকিৎসা করনো যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে জনবল সঙ্কট দূর করলে উপক‚লীয় এ জেলার খামারিরা উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাবরক্ষক সাহাব উদ্দিন বলেন, অভিজ্ঞ না হয়েও করতে হচ্ছে কম্পিউটারে কাজ। এজন্য অবশ্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজের ক্ষতি হচ্ছে। তবুও অফিসের প্রয়োজনে দিনের অধিকাংশ সময়ই কম্পিটারের সামনে পড়ে থাকতে হয় তাকে। মাঝে মাঝে কিছু কাজ করতে না পারলে, বাইরের দক্ষ অপারেটর দিয়ে তা করিয়ে নিচ্ছেন। এতে সময় ও টাকা উভয় নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে ল²ীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আইয়ূব মিঞা বলেন, ‘মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনে ল²ীপুর দেশের অন্যতম একটি জেলা। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় উপক‚লীয় এ জেলার খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তারপরেও অন্যান্য পদের লোক দিয়ে শূন্য পদগুলোর কার্যক্রম কোনরকম চালিয়ে নিচ্ছেন তিনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য কথা বলেছি। আশা করছি, খুব শিগগির পদগুলো পূরণ হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শূন্য

২৯ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ