পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার ঘোষিত লকডাউনের মাঝে অমর একুশে বইমেলা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। কিন্তু, লকডাউনের কারণে রাজধানীতে গণপরিবহন চলছে না। এতে স্টলের কর্মীরা মেলায় আসতে না পারায় বেকায়দায় পড়েছে প্রকাশনা সংস্থাগুলো। একই কারণে ক্রেতারাও মেলামুখী হচ্ছে না। তাই আপাতত প্রকাশকদের অনেকেই স্টল বন্ধ রেখেছেন। এছাড়া রোববারের ঝড়ে অনেক স্টলের বইসহ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সোমবার বন্ধ ছিল অনেক স্টল।
লকডাউনের প্রথম দিনে গতকাল সোমবার মেলাপ্রাঙ্গণ ছিল অনেকটাই ক্রেতা শূন্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া মেলায় ক্রেতা যেমন আসেননি, তেমনই আসেননি অনেক স্টলের কর্মীরাও। তাই বন্ধ ছিল বেশকিছু স্টল। এর মধ্যে কিছু প্যাভিলিয়নও আছে। দুপুরে মেলা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ স্টলের কর্মীরাই বই শুকাতে আর সাজাতে ব্যস্ত। আবার ক্রেতা না থাকায় কেউ কেউ পার করছেন অলস সময়। সাহিত্য বিলাস স্টলের কর্মকর্তা আব্দুল কাদির ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বই রোদে শুকাচ্ছিলেন, আর স্টলের বই সাজাচ্ছিলেন। তিনি জানান, লকডাউনের কারণে কর্মচারীরা আসতে পারছেন না। তাই অনেকেই স্টল খুলতে পারছেন না। তাছাড়া ঝড়ে অনেক স্টল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকেই তাদের স্টল খুলেননি।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কয়েকজন প্রকাশক স্টল বন্ধ করে বইমেলা থেকে একেবারেই চলে গেছেন বলেও জানা গেছে। মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিশ্বসাহিত্য ভবন প্রকাশনী, শোভা প্রকাশ, কাকলি প্রকাশনী, অন্যপ্রকাশ, আগামীসহ বেশকিছু প্যাভিলিয়ন ও স্টলকর্মী রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া বই রোদে শুকাচ্ছেন। এ বিষয়ে অন্যপ্রকাশের একজন বিক্রেতা বলেন, রাতের বৃষ্টিতে অনেকেরই বই ভিজে গেছে। ওপর থেকে পানি পড়েছে এবং বৃষ্টির ঝাপটাতেও বেশকিছু বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্টলের অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।