Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে বিভ্রান্তি

ডাঃ মাহমুদুল হাসান সরদার | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রক্তের কোষ, বোন ম্যারো বা অস্থিমজ্জা ও লিম্ফেটিকসিস্টেমের ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ প্রকৃতির টিউমারকে বোঝাতে ‹বøাড ক্যান্সার› শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তবে অনেকে অ্যাপ্লাস্টিক এনিমিয়া ও থ্যালাসেমিয়াকেও বøাড ক্যান্সার মনে করেন, যা একেবারেই ভুল ধারণা।

প্রকারভেদ
রক্তকোষের টিউমারের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের লিউকেমিয়া। যেমন এএলএল, এএমএল, সিএলএল ও সিএমএল। এএলএল সাধারণত শিশুদের হয়। অস্থিমজ্জা থেকে উৎপত্তি হওয়া ক্যান্সারের মধ্যে মাল্টিপল মায়েলোমা মূলত রক্তে থাকা প্লাজমা-সেলের টিউমার। এটা বয়সীদেরই হয়। লিম্ফেটিক সিস্টেমের টিউমার হলো হজকিন্স ডিজিজ ও নন-হজকিন লিম্ফোমা। এগুলো যেকোনো বয়সেই হতে পারে।
কারণ
বøাড ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কারণ বেশির ভাগ সময়ই খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে কিছু ভাইরাসের আক্রমণ, কিছু কেমিক্যালের সংস্পর্শ, এইচআইভি/এইডস, অঙ্গ সংযোজন বা দীর্ঘ স্টেরয়েড ব্যবহারে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়া, রেডিয়েশন, জিনগত রোগ, পারিবারিক ইতিহাস এবং ক্যান্সার কেমোথেরাপির কিছু ওষুধকে এই রোগের কারণ হিসেবে অনেক সময় চিহ্নিত করা হয়।
লক্ষণ
রক্তের একেক ধরনের ক্যান্সারে একেক উপসর্গ দেখা যেতে পারে। আবার অনেক সময় একটির সঙ্গে অন্যটির উপসর্গ মিলে যায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখে রোগ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ অনেক লক্ষণই খুব সাধারণ রোগ-ব্যাধির মতো মনে হয়। যেমন জ্বর, দাঁতের গোড়ায় রক্ত ঝরা, হাড়ে ব্যথা, রক্তশূন্যতা, ঘন ঘন সংক্রমণ হওয়া, পেটে ব্যথা ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে রাতে জ্বর আসা ও ঘাম দেওয়া, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া এবং লিম্ফ গ্রন্থি ফুলে যেতে দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্ন কারণে রক্ত পরীক্ষা করতে গিয়ে রক্তের ক্যান্সার ধরা পড়ে।
চিকিৎসা
প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ক্ষেত্রে রক্তের ক্যান্সারের চিকিৎসা খুবই আশাব্যঞ্জক এবং সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। যেমন এএলএল, হজকিন লিম্ফোমা, হাই গ্রেড নন-হজকিন লিম্ফোমা ইত্যাদি। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে প্রধানত কেমোথেরাপি। এ ছাড়া নতুন নতুন অনেক মলিকিউলার টার্গেটেড থেরাপির ওষুধ এখন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। প্রয়োজন হতে পারে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশনেরও। ক্ষেত্রবিশেষে রেডিয়েশনেরও প্রয়োজন হয়। রক্তের ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের খুব বেশি করণীয় নেই। তাই প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় এবং যথাযথ চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যান্সার চিকিৎসক
সরদার হোমিও হল,
২১ গ্রীণ কর্নার গ্রীন রোড, ঢাকা
প্রয়োজনে -০১৭৪৭৫০৫৯৫৫।



 

Show all comments
  • লিটন রায় ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৩৭ পিএম says : 0
    আমার মায়ের এনিমিয়া ও থ্যালাসেমিয়া হয়েছে । খুলনার ডাক্তারা বলেছে ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে । এটা তবে আপনার ভাষায় কী ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্লাড ক্যান্সার
আরও পড়ুন