পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দেবিদ্বার এলাকাজুড়ে ভাঙাচোরা, ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ ও গর্ত তৈরি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। এতে সড়কটিতে প্রায়ই তৈরি হয় যানজট। আর দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের।
প্রতিদিনই খানাখন্দ ও গর্তের পরিমাণ বেড়ে মহাসড়কের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। সড়কের এমনই বেহাল দশা যে, যানবাহন চলাচল দূরের কথা পায়ে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে হাজার হাজার যাত্রী ও মালবাহী ট্রাক, বাস, মাইক্রো, ভ্যান, নসিমন, সিএনজি, রিক্সা, আভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা এবং ভারী যানবাহনসহ সকল ধরনের যানবাহন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এমনকি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে কিংবা খাদে পরে দুর্ঘটনা ঘটছে। মাঝে মাঝে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক সংস্কার কারলেও বছর ঘুরে না আসতেই সড়কটি পূর্বের চেহারায় রূপান্তরিত হচ্ছে। পুরো সড়কজুড়ে সড়কের পিচ, সুরকী, পাথর সরে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাক চালক জাকির হোসেইন ও শাহিন মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এটাকে মহাসড়ক বললে ভুল হবে। সড়ক দিয়ে চলার সময় তীব্র ঝাঁকুনিতে প্রায়ই গাড়ির এক্সেলসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি ভেঙে গাড়ি বিকল হয়ে যায়। একই কথা বলেন বাসচালক সুলতান খান, জমির হোসেন, রসুল ইসলাম। তারা জানান, এই সড়কে চলতে গিয়ে যাত্রীরা তীব্র ঝাঁকুনির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাসযাত্রী কিরণ মিয়া, এনামুল হক ও রিজিয়া সুলতানা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, রাস্তার অবস্থা যে এত খারাপ হতে পারে তা বাসে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া না আসলে বোঝার উপায় নেই। তারা সড়কটি দ্রুত মেরামত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।
জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি জেসমিন খানম বলেন, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ককে বর্তমান অবস্থায় মহাসড়ক বলা ঠিক হবে না। যাত্রীরা এই সড়কটি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চালকরাও অসহায় অবস্থায় যানবাহন চালাচ্ছেন। দ্রুত সড়কটি মেরামত করার দাবি জানান তিনি। এ সড়কে পিচের বদলে সারিবদ্ধ ইটের সলিং যাত্রী দুর্ভোগ বাড়িয়েছে আরো দ্বিগুণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের এখন করুণ দশা। নিম্নমানের কাজ ও সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক নির্মাণ বা মেরামতের কোনো উদ্যোগও দৃশ্যমান নয়। খানাখন্দে ভরা এ সড়কে এখন যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব সড়কে চলাচলকারীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সারা বছরই থাকে ময়লা আবর্জনা ও পানি। দেখলে মনে হয় যেন একটি মাটির রাস্তা, পাকা সড়কের কোনো অস্তিত্বই নেই। রাস্তার দুপাশে পিচ উঠে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত, যা অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়। কাদা-পানির মধ্যদিয়েই পথচারী, শিক্ষার্থীরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ওমানী বলেন, কুমিল্লা-সিলেট গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির অসংখ্য জায়গা খানাখন্দে ভরা। বাস, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা যা দিয়েই চলাফেরা করি না কেন সবই গর্তে পড়ে যায়। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উলাহ জানান, কুমিল্লা-সিলেট সড়কের দেবিদ্বার অঞ্চলের সড়কটি খুব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। খুব শিগগিরই এই সড়কের সংস্কার কাজ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।