প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চলচ্চিত্র নির্মাণের কারখানা এফডিসি এখন প্রাণহীন। এফডিসি গেইটের মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে কেবল হাহাকারের পরিবেশ দেখা যায়। কর্মহীন চলচ্চিত্রের লোকজনের এলোমেলো আড্ডা ও কাজের সন্ধানে অনেকের আনাগোনা ছাড়া শূটিং তেমন একটা দেখা যায় না। কালে ভদ্রে হঠাৎ হঠাৎ শূটিং দেখা যায়। তাও নাটক ও টিভি অনুষ্ঠানের। এগুলোর শূটিংই মাঝে মাঝে চোখে পড়ে। সিনেমার শূটিং দুর্লভ হয়ে উঠেছে। এফডিসির সব আগের মতোই আছে। নেই শুধু চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যস্ততা। বিভিন্ন শূটিং ফ্লোর যেমন মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স, কড়ইতলা, ঝর্ণা স্পট, সব আগের মতো পড়ে আছে। এসব শূটিং স্পট দখল করে নিয়েছে টিভি চ্যানেলগুলো। এফডিসিতে প্রবেশ করলেই এমন চিত্র চোখে পড়ে। ফ্লোরের দিকে তাকালে চোখ পড়ে টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানে শূটিং। বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল সারাবছরের জন্য এফডিসির ফ্লোর ভাড়া নিয়ে রেখেছে। যার কারণে এফডিসির চেহারা পাল্টে গেছে। সিনেমার পোস্টারের বদলে দেখা যায় নাটক বা টিভি’র অনুষ্ঠানের পোস্টার। সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের পরিবর্তে দেখা যায় টিভি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। কাজ না থাকলে এফডিসি এসে কি হবে- এমন হতাশা প্রকাশ করেন চলচ্চিত্রের অনেক সিনিয়র শ্ল্পিী। অনেক সিনিয়র শিল্পী আক্ষেপ নিয়ে বলেন, এফডিসিতে সিনেমা নির্মাণ হবে, শূটিংয়ে গমগম করবে, এটাই চিরকাল দেখে আসছি। আর এখন যেন এফডিসি মরুভূমির মতো পড়ে আছে। এ চিত্র দেখে কেবল স্মৃতিতে ফিরে যাই। এ স্মৃতি নিয়েই সান্ত¦না পেতে চাই। যা খুবই কষ্টদায়ক ব্যাপার। এফডিসিতে গেলে পরিচালক সমিতির সামনে দেখা মেলে কিছু পরিচালকের। তারা তাদের অতীতের সুবর্ণ সময়ের সিনেমা নির্মানের স্মৃতিতে নস্টালজিক হয়ে ওঠে। একটা সময় সকাল থেকে রাত অবধি একদিনে সাত-আটটি সিনেমার শূটিং চলতো। ল্যাব, ডাবিং থিয়েটার, এডিটিং প্যানেল কর্মব্যস্ত থাকত। আর এখন সপ্তাহে বা মাসেও একটা সিনেমার শূটিং হয়না। এই কষ্টদায়ক খবর বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেক শিল্পী। সিনেমার কাজ কমে যাওয়ায় অনেকে হতাশাজনক জীবনযাপন করছেন। যাদের একমাত্র উপার্জন ছিল সিনেমায় কাজ করা, তারা অনেকের অন্যপথ বেছে নিয়েছেন। বছরে সিনেমা মুক্তির সংখ্যাও কমেছে, সিনেমা হলের সংখ্যাও দিন দিন কমছে। অনেক পরিচালক প্রযোজক শিল্পীদের আশা, একমাত্র সরকার উদ্যোগ নিলেই প্রাণের এফডিসি ফিরে পাবে আগের সোনালী দিন, আগের জৌলুস। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সিনেমা হল বাড়াতে হবে, প্রযোজকদের ফিরিয়ে আনতে হবে, সিনেমা নির্মাণ বাড়াতে হবে। সরকারিভাবে সিনেমায় যেন প্রযোজনা হয়, সেদিকে সুদৃষ্টি দিতে হবে এবং এফডিসিকে আধুনিক করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।