২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
পিত্তথলি আমাদের লিভার বা যকৃতের নিচের দিকে থাকে। যেখানে লিভার থেকে বাইল বা পিত্ত এসে জমা থাকে এবং পিত্তথলিতে পিত্তরস ঘন হয়। আমরা যখন চর্বিজাতীয় খাবার খাই তখন হজমের জন্য পিত্তথলি থেকে বাইল বেরিয়ে আমাদের খাদ্যনালিতে চলে আসে এবং হজমে সহায়তা করে।
এই পিত্তরসের বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি হয় পিত্তথলির পাথর। কোলেস্টেরল স্টোন, পিগমেনট স্টোন আর মিশ্র স্টোন এই তিন ধরনের পাথর শরীরে দেখা দেয়। তবে এদের মধ্যে পিত্তে কোলেস্টেরল স্টোন বেশি হয়।
পিত্তথলিতে পাথর হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন উপসর্গ থাকেনা। প্রায় ৮৫ ভাগ ক্ষেত্রেই ধরা পরে বিভিন্ন চেকআপের সময়। আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় পিত্তথলির পাথর ধরা পড়ে। তবে পিত্তথলির পাথর থাকলে অনেকসময় পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথা হয়। এ ব্যথার স্থায়িত্বকাল কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে। ব্যথা ধীরে ধীরে ডান কাঁধ বরাবর ছড়িয়ে পড়ে । এসময় হালকা জ্বর থাকতে পারে, বমি বা বমি ভাব থাকে। পাথর যদি পিত্তনালীতে চলে আসে তখন দেখা দেয় জন্ডিস।
পিত্তথলির পাথর চিকিৎসার প্রধান উপায় হলো অপারেশন। দুইভাবে তা করা যায়। পেট কেটে আর লেপারস্কোপিক মেশিনের সাহায্যে । তবে লেপারস্কপিক মেশিনের সাহায্য অপারেশন সুবিধাজনক। রক্তপাত কম হয়, দাগ থাকেনা এবং একদিন হাসপাতালে থাকতে হয়। সবসময় আবার লেপারস্কপিক অপারেশন সম্ভব হয়না। সেক্ষেত্রে কেটে করতে হয়।
পাথর থাকা সত্তে¡ও অপারেশন করা না হলে পিত্তথলির প্রদাহ হতে পারে। এর ফলে পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথাসহ জ্বর আসতে পারে এবং বমিও হতে পারে। এ ব্যথা কাঁধ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। পিত্তথলির পাথর মূল পিত্তনালিতে এসে জমা হতে পারে। তখন পিত্ত পিত্তথলি থেকে বের হতে না পেরে শরীরে বেড়ে যায় । দেখা দেয় জন্ডিস। এছাড়া অপারেশন না করলে প্যানক্রিয়েটাইটিস বা অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহও হতে পারে। পিত্তথলির পাথর মূল পিত্তনালি থেকে নেমে অগ্ন্যাশয়ের নালিতে আটকে গিয়ে একিউট প্যানক্রিয়েটাইটিস বা অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে হঠাৎ পেটের মাঝখানে তীব্র ব্যথাসহ প্রচুর বমি হতে পারে। ব্যথা পিঠেও ছড়িয়ে যেতে পারে। ব্যথা এতই তীব্র হয় যে, রোগীকে তখন দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর না করলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। অনেক দিন পাথর থাকার জন্য পিত্তথলির ক্যান্সারও হতে পারে।
পিত্তথলির পাথর থাকলে তাই দ্রুত চিকিৎসক দেখাতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অবহেলা করা যাবেনা । নাহলে বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।