নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দলের নতুন কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর চোখেমুখে চ্যালেঞ্জ। দক্ষিন আফ্রিকার বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করানো এই কোচের লক্ষ্য অত্যন্ত বিশাল। টাইগার ক্রিকেটকে তিন সংস্করণেই তিনি সেরা চারে দেখতে চান। তার সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চুক্তি করেছে দুই বছরের। এই দুই বছরে বাংলাদেশ দলকে আত্মবিশ্বাসে, পারফরমেন্সে ও চ্যালেঞ্জে অনন্য অবস্থানে তুলে ধরতে চান বিশ্বদরবারে। দক্ষিন আফ্রিকায় অবস্থান করে ইনকিলাবের সঙ্গে আলাপকালে এ কথাই ফুটে উঠেছে তার কথায়।
মাত্রই দ্বায়িত্ব বুঝে পেলেন, তারমধ্যেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। তারপরই আফগান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির ত্রিদেশীয় সিরিজ। ব্যাপারটা কম সময়ের নয়, বরং চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন এই কোচ, ‘ঢাকা পৌঁছানোর পর অনুশীলন ক্যাম্পে ১০ দিন ছেলেদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাব। আমাদের দলে ঠিক কি আছে, না আছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার জন্য এই সময়টা যথেষ্ট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে। ওদের বিপক্ষে জিতবই এটা আমরা ধরে নিতে পারি না। ওদের বিশ্বমানের কিছু খেলোয়াড় আছে। আমি ওদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’
এর আগেও ডমিঙ্গো কয়েকবার এসেছেন বাংলাদেশে। এবার ঢাকায় এসে সবার সঙ্গে বোঝাপড়ায়ই জোড় দিচ্ছেন তিনি, ‘দ্রæত সবার সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া করা হবে প্রথম কাজ। মাঠের বাইরের ব্যাপারগুলো হবে খুব গুরত্বপূর্ণ। মাঠে ওদের ঠিক কি প্রয়োজন সেটার দিকে নজর রাখা, ছেলেদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়া হবে খুব জরুরি।’
নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করা ও উঠতি প্রতিভাদের পথ দেখানোর পদ্ধতিও জানালেন তিনি, ‘আমি বয়সভিত্তিক দলগুলোর ম্যানেজার ও কোচের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাব। প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ওঠে আসা সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখবো। আমার মনে হয়, পরের দলটা কেমন হতে পারে বুঝতে পারা সব সময়ই খুব ভালো একটি ব্যাপার।’
শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট, নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে কাজ করেছেন। স্বদেশি কোচদের পাশাপাশি নিউ জিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেটোরিও আছে কোচিং প্যানেলে। ব্যাপারটা কিভাবে দেখছেন তিনি, ‘ভেটোরির সঙ্গে এর আগে কয়েকবার দেখা হয়েছে আমার। আমরা ছেলেদের জন্য সেরা সহায়তাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। যদি ভেটোরি তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেশি সময় কাটায় তাহলে তারা ওর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।
তিনি তার লক্ষ্য সম্পর্কেও দিয়েছেন সম্যক ধারনা, ‘প্রাথমিকভাবে চুক্তির মেয়াদ দুই বছরে অবশ্যই র্যাঙ্কিংয়ে চার-পাঁচে যাওয়া উচিত। বিশেষ করে ওয়ানডেতে আমাদের অবশ্যই সেরা চারে থাকার সামর্থ্য আছে। এটা হবে বাস্তবসম্মত একটা লক্ষ্য। আমি জানি, এটা কঠিন হবে। লক্ষ্য পূরণ করতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পরের ধাপে যেতে বাংলাদেশকে পথ দেখাতেই এসেছি আমি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।