বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অতি বর্ষায় খুলনা মহানগরীর সড়ক-মহাসড়কগুলো ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে গেছে। অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়কের বুক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। ফলে এসব সড়ক-মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তারপরও প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
কয়েকটি স্থানে ইজিবাইক ও রিকসা উল্টে যাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। সহসা সড়কগুলো মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে নগরবাসীর মাঝে।
নগরীর ভেতরে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে রূপসা সেতু বাইপাস সড়কের ময়ূরী ব্রিজ পর্যন্ত, মুজগুন্নী মহাসড়কের পার্কের মোড় ও সামনের অংশ, শিপইয়ার্ড রোডের বান্দা বাজার ও আশপাশের অংশ এবং ফুলবাড়িগেটের কুয়েট রোড। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য সড়কেও ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন আগে তৈরি হওয়া এসব গর্ত সময়মতো মেরামত না করায় বৃষ্টিতে গর্ত আরও বড় হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
বাস টার্মিনালের সামনের সড়কটির নাম মুজগুন্নী মহাসড়ক। এর বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। খুলনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি এই সড়কেই অবস্থিত। সড়কের মাঝে গর্ত থাকায় দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। সড়কটির মুজগুন্নী পার্কের সামনে গর্ত বিশাল আকার নিয়েছে।
মুজগুন্নী পার্কের সামনে দোকানদার কুদ্দুস মিয়া জানান, বৃষ্টি হলে প্রায়ই এখানে ইজিবাইক বা রিকশা উল্টে পড়ে যাত্রীরা আহত হন।
স্থানীয়রা জানায়, নগরীর শামসুর রহমান সড়কে ছোট ছোট খানাখন্দ তৈরি হয় গত মে মাসে। কিন্তু সময়মতো মেরামত না করায় ছোট খানাখন্দ এখন বড় গর্তে রূপ নিয়েছে। তপু ফটোষ্ট্যাট দোকানের কর্মচারী বলেন, বৃষ্টি হলে কোথায় গর্ত, কোথায় রাস্তা বোঝা যায় না। তখন প্রায়ই রিকশা উল্টে যায়। গর্তের কারণে রুগীদের এই সড়ক দিয়ে আনা যায় না। ১০০ গজ দূরে নেমে হেঁটে আসতে হয়। আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে সড়কটি বেহাল, কিন্তু দেখার কেউ নেই।
একইভাবে গর্তের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কেডিএ অ্যাভিনিউয়ের শিববাড়ি মোড়ের বেশকিছু অংশ, ময়লাপোতা মোড়ের একাংশ, সন্ধ্যা বাজারের সামনে, পুরাতন সন্ধ্যা বাজার হিসেবে পরিচিত হাজী মেহের আলী সড়ক, শিববাড়ি থেকে বাসটার্মিনাল পর্যন্ত মজিদ স্মরণী ও ফারাজিপাড়া লেনের যাত্রীরা। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কে দুর্ভোগ নিয়েই প্রতিদিন কয়েক হাজার রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করে।
নগরীর বাস টার্মিনাল এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে রূপসা সেতু বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি চালু হয় ২০১৪ সালে। কিছুদিনের মধ্যে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ২০১৬ সালে সড়কটি একবার মেরামত করা হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে সেটিতে খানাখন্দ তৈরি হয়। সেগুলো আর মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে সড়কটি আর যানচলাচলের উপযোগী নেই।
সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের গর্ত বড় হয়ে ডোবায় রূপ নিয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ডোবা ভরে আছে। কিছু স্থানে গর্ত ভরাট করতে ইটের হেরিংবন্ড দেওয়া হয়। বৃষ্টি ও গাড়ির চাকায় ইট ভেঙ্গে গিয়ে অবস্থা আরও নাজুক হয়েছে। বিশাল বিশাল গর্তের মধ্যে বাসগুলো হেলে-দুলে চলছে। গর্তের মধ্যে চাকা পড়ে বাসগুলো প্রায়ই কাত হয়ে যাচ্ছে। ভয়ে বাসের যাত্রীরা চিৎকার করে উঠছে। কাদামাটিতে পরিপূর্ণ সড়কটি দেখে বোঝার উপায় নেই খুলনা নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি।
নগরীর ফুলবাড়িগেট এলাকার কুয়েট রোডের অবস্থাও করুন। খুলনার একমাত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী প্রায় একডজন সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। অথচ গত ৬ মাস ধরে পুরো সড়কটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কয়েকশত গর্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।