বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে আসা মানুষ ঈদ শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরছে কর্মজীবীরা। ঈদের পর থেকে সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভিড় দেখা গেছে। এর মধ্যে রাজধানীমুখী যাত্রীর সংখ্যা বেশী। ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠার কারণে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে। ধীরগতি ও সিঙ্গেল লাইনের কারণে ক্রোসিং এর সময় ষ্টেশনে অতিরিক্ত সময় দারিয়ে থাকার ফলে ট্রেনের বিলম্ব ঘটছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। জানাযায়, ঈদের পর থেকে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভিড় দেখাগেছে। অতিরিক্ত যাত্রীর ফলে ট্রেনের টিকেট কাটতে হিমশিম খেতে হচ্ছে যাত্রীদের। টিকিটের নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করছে অনেকেই। এদিকে ট্রেনের সিডিউল বিপর্য়রে কারনে ঢাকাগামী ট্রেনগুলো ৮ থেকে ১০ ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করছে। এতে ষ্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা পরিবার পরিজন নিয়ে অপেক্ষামান নারী –শিশুদের নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নওগাাঁর মহাদেবপুরের ট্রেন যাত্রী আকরাম হেসেন, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার শাওইল গ্রামের শাহাদত আলী জানান, শনিবারের রাত ১২টার নীলসাগর ট্রেন শুক্রবার ভোরে সান্তাহার স্টেশনে এসেছে। স্থানীয় রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের পর থেকে সান্তাহার-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনযাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ঢাকাগামী ট্রেনের ভিতরে জায়গায়া না পেয়ে রেলওয়ের ওভার ব্রিজ ব্যবহার করে জীবনের ঝুকি নিয়ে ছাদে ওঠছে যাচ্ছে অনেকে। ছাদে পুরুষ যাত্রীদের পাশাপাশি নারীও শিশুদেরকেও ট্রেনের ছাদে ঝুকি নিয়ে ভ্রমন করতে দেখে গাছে। ঈদের পর থেকে এমন চিত্রই চলছে সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে। যাত্রীদের অভিযোগে জানযায়, সান্তাহার জংশন স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট চাইলেই বলা হয় টিকেট শেষ হয়ে গাছে। ফলে লাইনে দির্ঘ্য সময় দাঁড়িয়ে ও টিকিট পাচ্ছেনা যাত্রীরা।
ট্রনের বেশিরভাগ টিকেট কালোবাজারীদের হাতে চলে যায়। টিকিট কাউন্টারের পাশের্^য় প্রকাশ্যে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হলেও এ বিষয়ে রেল বিভাগের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা। ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে ঝুকিতে ট্রেন চলাচল করছে। ফলে দুর্ঘটনা এরাতে ট্রেনগুলো ধীরগতিতে চলাচল এবং সিংঙ্গেল লাইনে ক্রোসিং এর সময় অতিরিক্ত সময় লাগছে ফলে ট্রেনের শিডিউল বিপর্য়য় ঘটছে বলে রেলের পক্ষথেকে বলা হয়। শনিবার লালমনিহাট থেকে ঢাকাগামী লালমনি এক্স্রপ্রেস ট্রেনে অতিরিক্তি ওঠার কারনে ট্রেনটির প্ররিং ডেবে গেলে ব্যাপক ঝুকি নিয়ে চালক ট্রেনটি বিকেল ৪ টায় সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে পৌছান। পরে ছাদ থেকে যাত্রী নামিয়ে ২ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৬টারদিকে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। সান্তাহার জংশন থেকে ঢাকা ও খুলনাগামী ট্রেন ৮ থেকে ১০ ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করায় যাত্রী সাধারনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।