বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদ করতে আর বাড়ি আসবনা। ঈদ করে ফিরতি পথে রেল যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়ে ক্ষোভের সাথে এমন কথা বলছেন। বছরে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে একবার কিংবা দুবার আসা হয়। কিন্তু আসা যাওয়ায় পদে পদে দূর্ভোগ আর ভাল লাগেনা। কথাগুলো রাজশাহী রেলস্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের।
পশ্চিম রেলের বিড়ম্বনা যেন কমছেইনা। কয়টার ট্রেন কয়টায় আসে আর যায় কেউ বলতে পারছেনা। সবার অপেক্ষার প্রহর গোনা। ঈদের আগ থেকেই পশ্চিমাঞ্চল রেলের সবকটি রুটে যে সিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়েছে এখন পর্যন্ত তা নিরসন হয়নি। বরং আরো বেড়েছে। প্রতিটি আন্ত:নগর ট্রেন চলছে আট দশ ঘন্টা বিলম্বে। সকালের ট্রেন রাতে আর রাতের ট্রেন পরদিন সকালে ছাড়ছে। যুদ্ধ করে টিকেট কেনার পর সময় অনুযায়ী ট্রেনের দেখা মিলছে না। কখন আসবে আর যাবে তা কেউ বলছেনা। ঘন্টার পর ঘন্টা স্টেশনে অপেক্ষা করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অপেক্ষকৃত বৃদ্ধ নারী পুরুষ আর শিশুরা। প্লাটফর্মে ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছে। সাথে রয়েছে মশার যন্ত্রনা। বিশ্রামাগার, প্লাটফর্ম সর্বত্র ঠাই নেই অবস্থা। যাদের বাড়ি শহরে তারা ঘরে ফিরে যাচ্ছে। আর খোঁজ রাখছেন। কিন্তু গ্রাম থেকে আসা যাত্রী যাদের যাবার জায়গা নেই তাদের অবস্থা আরো কাহিল। শুধু রাজশাহী স্টেশন নয়। যাত্রা পথের প্রায় সবকটি স্টেশনে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন যাত্রীরা।
বিরতিহীন ট্রেন বনলতা, আন্তনগর সিল্কসিটি, পদ্মা, ধুমকেতু সব ট্রেনের সিডিউল লন্ডভন্ড। অপেক্ষার পর ট্রেন এলেও বগিতে প্রবেশ করতে আরেক লড়াই। কারন টিকেট কাটাদের চেয়ে বিনা টিকেট কিংবা স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রী বেশী। কোন বগিও নব্বই একশো আসন থাকলেও তাতে ঠাসাঠাসি করে যাচ্ছে দ্বিগুনের বেশী যাত্রী। ছাদেও যাত্রীতে ঠাসা। রোদ্র বৃস্টিতে ভিজেই যাচ্ছে। করিডোরে যাত্রী ঠাসা থাকায় বাথরুমে পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছেনা। এরমধ্যে আবার হকার ভিক্ষুক পকেটমার হিজড়াদের উৎপাত। সব মিলিয়ে নারকীয় অবস্থা। আল্লাহ আল্লাহ করছে কতক্ষনে গন্তব্যে পৌছানো যায়। বাড়ি পৌছে রেলযাত্রার বিড়ম্বনা আর দূর্ভোগের কথা মুঠোফোনে জানাচ্ছেন স্বজনদের। তবে প্রথম শ্রেনীর এসি ও কেবিন যাত্রীদের যাত্রা ছিল মোটামুটি স্বস্তিকর। সেখানে রেলকর্মী আর নিরাপত্তা কর্মীরা তৎপর থাকায় উটকো যাত্রী আসতে পারেনি।
রেলের এমন সিডিউল বিপর্যয় সম্পর্কে পশ্চিম রেলের চিফ কর্মশিয়াল ম্যানেজার এ এম শাহনেওয়াজের বক্তব্য হলো ট্রেনে যাত্রীদের উচপচেপড়া ভীড়। প্রত্যেক ট্রেনেই ধারন ক্ষমতার দ্বিগুন তিনগুন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। ভেতর উপর সব সমান। যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ট্রেনের গতি কমাতে হচ্ছে। তাছাড়া ঈদের সময় প্রায় সব স্টেশনে ট্রেন থামাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে সময় মেলানো যাচ্ছেনা। তাছাড়া এখানকার লাইন গুলো সি্েঙ্গল। অন্য ট্রেনকে ক্রসিং করাতে দাড়িয়ে রাখতে হচ্ছে। ফলে সময় আরো বাড়ছে। যতদিন লাইন ডবল না হবে ততদিন ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখা কঠিন। তারপরও যথাসাধ্য চেস্টা চলছে। এরমধ্যে আবার ঘটছে লাইন চ্যুতি আর যান্ত্রিক বিভ্রাটের ঘটনা। সব মিলিয়ে বিপর্যয় চলছে রেলে। অনেকে রেলের সিডিউল বিপর্যয়কে বাঁকা চোখে দেখে মন্তব্য করছেন কোন মহল রেলযাত্রীদের রেল বিমুখ করতে কোন অশুভ তৎপরতা চালাচ্ছে কিনা। পরিবহন সেক্টরের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন তারা কোন সময় চায়নি আন্ত:নগর ট্রেন স্বস্তির হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।