পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার পরিবহন বাড়ছে। ধীরে কমছে বন্দরের জট। ঈদের টানা ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দর ও বেসরকারি কন্টেইনার টার্মিনালগুলোতে (আইসিডি) তীব্র জটের সৃষ্টি হয়। গতকাল রোববার থেকে বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন বাড়তে শুরু করেছে। তবে জট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানান বন্দরের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দরের অন্যতম ব্যস্ত এনসিটি গেইট। এ গেইট দিয়ে সচরাচর দিনে ১২-১৩শ কন্টেইনার খালাস হয়ে থাকে। তবে শনিবার বের হয় মাত্র ৩শ। এক সপ্তাহ আগে যা নেমে আসে ১০-১২টিতে। গতকাল কন্টেইনার খালাসের সংখ্যা আরও বেড়েছে। দুপুরে এনসিটি গেইটকে ঘিরে কন্টেইনারবাহী ভারী যানবাহনের তীব্র জট দেখা গেছে। অনুরূপ দৃশ্য ছিল বন্দরের তিন নম্বর জেটিতেও।
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে বন্দর আর আইসিডি থেকে পণ্য খালাসে নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়। ফলে কন্টেইনারের ধারণক্ষমতা ছুঁয়ে যায় বন্দরে। আর ছাড়িয়ে যায় আইসিডিতে। অপরদিকে, ঈদের পরের অনেক রফতানি পণ্যও পাঠানো হয় ঈদের আগেই। ফলে তৈরি হয় কন্টেইনার জট। কেবল খালাস বা আগে পাঠানো নয়, ট্রেইলর সঙ্কটে আইসিডিগামী প্রায় ৫ হাজার কন্টেইনার জমেছে বন্দরে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৯ হাজার কন্টেইনার ধারণক্ষমতার বিপরীতে ছিল ৪৪ হাজার। জেটি এবং বহির্নোঙ্গর মিলে জাহাজ অবস্থান করছে ২৬টি। আর বেসরকারি আইসিডিগুলো কন্টেইনার ছিল প্রায় ৬৯ হাজার। যদিও ধারণক্ষমতা ৬৫ হাজার। ঈদের ছুটিতেও বন্দরে কন্টেইনার ও পণ্য ওঠানামা অব্যাহত থাকে। তবে এ সময় পরিবহন সংস্থাগুলো বন্ধ থাকায় আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন হয়নি। ফলে বন্দরে জট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।