বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টানা ৬ দিন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে খুলনা নগরীর খালিশপুরের বাস্তহারা কলোনীর বাসিন্দারা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার বসবাসকারি মানুষের জীবন। রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ঘরের ভিতরে পানি থৈ থৈ করছে।
বেশ কয়েকটি রাস্তায় এখনও হাঁটু পানি। এখানকার গবাদি পশু-পাখিও চরম দুর্ভোগে। গত ক’দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির ফলে এ দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে অসংখ্য খানাখন্দের কারণে মুজগুন্নী মহাসড়কের বেহাল দশা। বিশেষ করে মুজগুন্নী পার্কের সামনে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বয়রা মোড় পর্যন্ত রয়েছে অসংখ্য গর্ত। ফলে যানবাহন ও পথচারি চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাইপাস সড়ক থেকে বাস্তহারা কলোনীতে প্রবেশের প্রধান সড়কে হাঁটু পানি। এখানে থাকা পুকুর ও রাস্তা পানিতে সমান হয়ে গেছে। হাঁটুপানি পেরিয়ে কিছু দূর যেতেই সেমিপাকা ১নং সড়ক দিয়ে শুরু। এ সড়ক সম্পূর্ণ পানিতে সয়লাব। রাস্তায় ও নিচু স্থানে জাল, বরশি, কোস ও নেটের জাল হাতে মাছ ধরছে শিশু থেকে মধ্যবয়সীরা। বৃহস্পতিবার বাস্তহারা কলোনী ঘুরে এমনই দুর্দশার দৃশ্য চোখে পড়ে। এখানে একটি মাত্র ড্রেন যেটা বাইপাস লিংক রোড দিয়ে খালে গিয়ে মিলেছে। বাইপাস সড়ক পাশে অবৈধ জমি দখল করে রাখায় সেই ড্রেন ছোট ও সরু হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
বাস্তহারা কলোনীর ৮নং রোডের বাসিন্দা তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমরা ৬ দিন পানিবন্দী। ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। খালিশপুরের সব ওয়ার্ডের পানি এখানে আসে। এখানে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। একটা মাত্র ড্রেন দিয়ে এ পানি খালে নামে। একটু বৃষ্টি হলেই এই ড্রেন রাস্তা-ঘাটে একাকার হয়ে যায়। আর ভারীবর্ষণ হলে রাস্তায় ও ঘর-বাড়িতে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। গত ৬ দিন ধরে পানি নামছে না। ভারী বৃষ্টির কারণে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার সব রাস্তায় পানি জমেছে। বাড়ি ঘরেও একই অবস্থা। সব রোড এবং ৮ থেকে ১৩নং রোড পানিতে সয়লাব। কিছুটা অভিমানের সাথে তিনি বলেন, ভোটের সময় অনেকেই নানা প্রতিশ্রুতি, আশা-ভরসা দেয় ‘এই করবে, সেই করবে’, অথচ নির্বাচন হয়ে গেলে আর কেউ খোঁজও নিতে আসে না। সামনে আবারও ভোট। আবারও প্রতিশ্রুতির লি নিয়ে আসবে ঝুলি অনেকেই। ১০নং রোডের বাসিন্দা কুদ্দুস মিয়া বলেন, প্রতি বছরই এমন পানিবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করতে হয়। এ বছর অনেক বেশি বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে। এসব পানি মাড়িয়ে মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ আদায় করতে যেতে হচ্ছে।
মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর বলেন, মুজগুন্নী মহাসড়কে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমেছে। এ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করে। ফলে অনেক সময় গর্ত না দেখেই গর্তে পড়তে দেখা যায়। গাড়ি চললে পথচারিদের গায়ে কাঁদা পানি ছিটে যায়। রাস্তা সংস্কারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। তিনি অবিলম্বে সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।