Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি দুই শতাধিক পরিবার

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পশ্চিম কুজাইল ও চক-নয়াপাড়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার বৃষ্টির পানিতে পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছেন কয়েক বছর ধরে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই গ্রামের চলাচলের সড়ক ডুবে যায়। এ অবস্থা চলছে ৪-৫ বছর ধরে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে উপজেলার পশ্চিম কুজাইল ও চক-নয়াপাড়া গ্রামের বৃষ্টির পানি পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার সীমানা দিয়ে অপসারিত হয়ে আসছে যুগ যুগান্তর থেকে। কিন্তু ক্ষেতলাল সীমান্তে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে অপরিকল্পিতভাবে এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করার পর থেকে এলাকায় পানিবন্দি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে পশ্চিম কুজাইল ও চক-নয়াপাড়া গ্রামে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক। ডুবে আছে বেশকিছু বাড়িঘরও। এছাড়া সারা বছর ঘর গৃহস্থালীর অপসারণ করা পানি প্রবাহের নর্দমাগুলোও ডুবে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ডুবে থাকার কারণে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পশ্চিম কুজাইল সালাফিয়া মাদরাসায় শিক্ষাদানে ঘটছে চরম ব্যাঘাত। সড়ক ও মাদরাসা পানিবদ্ধ থাকার কারণে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা মাদরাসায় আসতে পারে না। দীর্ঘ সময় এ অবস্থা থাকার ফলে ওইসব পরিবারের সদস্যরা পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পশ্চিম কুজাইল সালাফিয়া মাদাসার পরিচালক তাজমহল হোসাইন বলেন, পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে গ্রামের সড়ক ও মাদরাসা পানিবদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মাদরাসায় আসতে পারে না। গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নবীর উদ্দিন বলেন, বর্ষার পানিতে পুরো গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে ৩-৪ বছর ধরে। বর্ষার পানি প্রবাহের পথ ভরাট করে পাশর্^বর্তী ক্ষেতলাল উপজেলা সীমান্তে জনৈক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করার ফলে আমরা দুই গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিষয়টি সুরাহার জন্য দরবার বসিয়েও কোনো লাভ হয়নি। স্থানীয় জিন্দারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া গ্রামবাসীদের কষ্টের কথা স্বীকার করে বলেন, গ্রাম দুটো কালাই উপজেলার হলেও পানি ক্ষেতলাল পৌরসভার মধ্যে পড়েছে।
এ ব্যাপারে মেয়র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই গ্রামগুলোর পানি নিষ্কাশনের আগের যে পথ সেটির জমি ভরাট করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে দিয়ে কি পানি নিষ্কাশনের পথ বের করা সম্ভব। কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবারক হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে অপরিকল্পিতভাবে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করার ফলেই এ ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পানিবন্দি-পরিবার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ