Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিবচরে ১৮ বিদ্যালয় পানিবন্দি

শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও মাদারীপুরের শিবচরে ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর চারপাশে পানি থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে ঢুকতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত বাকি ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চললেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল বেশ কম। তবে ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রথম দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস নিয়েছে। শ্রেণিকক্ষে দূরত্ব বজায় রেখে আসন বিন্যাস করেছে। তাপমাত্রা পরিমাপ, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সবকিছুই সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করেছে। এদিন দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত করতে শ্রেণিকক্ষে অনুপ্রেরণাদায়ক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগেই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়। তবে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল উপজেলার পদ্মাবেষ্টিত চর এলাকাসহ চরাঞ্চলের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের ১৮টিই পুরোপুরি পানিতে প্লাবিত। বাকিগুলোর সড়কসহ আশপাশে পানি থাকায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে পাঠদান।
শিবচরের উৎরাইল এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশ্রাফুল আলম বলেন, অনেক দিন পর শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পেরে আনন্দিত ছিল। আমাদের শিক্ষকদের মধ্যেও ছিল উচ্ছ্বাস। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করে যাবো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, শিবচরের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ এবং পাঠদান হয় সেই বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বন্দরখোলাসহ চরাঞ্চলের ১৮টি বিদ্যালয় এখনও বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। শিক্ষকরা উপস্থিত হলেও শিক্ষার্থীদের পক্ষে ওই বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সেখানে ব্যাহত হয়েছে পাঠদান। এছাড়া অন্য ৮টি বিদ্যালয়ে বন্যার্তরা আশ্রয় নিলেও সেখানে আংশিক ক্লাস হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ১৮ বিদ্যালয় পানিবন্দি

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ