Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুট

রাজবাড়ী ও মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে নানা ভোগান্তির মধ্য দিয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে বাড়ি ফিরছেন সাধারণ মানুষ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কখনো ভারি আবার কখনো হালকা বৃষ্টিতে ভিজে পদ্মা নদী পার হচ্ছে যাত্রীরা। কোরবানির পশুবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হলেও কাঁঠালবাড়ি ও দৌলতদিয়া ঘাটে ট্রাকের তীব্র চাপ। ঘাট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে বৈরী আবহাওয়া ও নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি চলাচলে বিঘœ ঘটছে।

বিআইডবিøউটিসিরর কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা যায়, ঈদে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের চাপ মোকাবিলায় ঘাটে ৮৭টি লঞ্চ, ১৭টি ফেরি ও ২ শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় বুধবার রাত ১২ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত শিমুুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ফেরি পারাপার শুরু হয়। সকাল ১০ টা থেকে এ রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট পারাপার শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঈদে দক্ষিনাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রী ভীড় বাড়তে শুরু করে। তবে আকাশ মেঘলা থাকায় নদী উত্তাল রয়েছে। ফেরিগুলো চলছে লৌহজং টার্নিং এর সরু চ্যানেল হয়ে। ফলে পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। শিমুলিয়া ঘাটেও ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ রয়েছে। কাঁঠালবাড়ি ঘাটে রয়েছে কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের চাপ। এখনো ঘাটে আটকে রয়েছে কয়েকশ’ যানবাহন। নৌরুটের লৌহজং টার্নিং এ চ্যানেল সরু হওয়ায় ফেরি পারাপার বিলম্ব হচ্ছে। পশুবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। হাইওয়ে বা ঘাটে কোন দৌরাত্ম না থাকায় এ ঘাটে পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেশি। রাজধানী থেকে সাধারণ মানুষ পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য বাড়ী ফিরতে শুরু করায় লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে যাত্রীদের প্রচÐ ভিড় দেখা গেছে।

বিআইডবিøউটিসির কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলেও বাতাস কম থাকায় পদ্মা নদী শান্ত রয়েছে। মাঝে মধ্যে বাতাসের গতি বেড়ে গেলে পদ্মা কিছুটা উত্তাল থাকে। এর পরেও লঞ্চে সকাল থেকেই যাত্রীদের ভীড় রয়েছে।
ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ১৭ টি ফেরি সকাল থেকে চলছে। পরিবহনের পাশাপাশি প্রচুর যাত্রী ফেরিতে পার হচ্ছে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের খানখানাপুর এলাকা পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় জানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুই সাড়িতে আটকে পড়েছে সহ¯্রাধীক যানবাহন। তবে আটকে পড়া যানবাহনের মধ্যে অন্তত ৪০০ কোরবানির পশুবাহি ট্রাক রয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে যানজট আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা।

চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রাকে করে গরু নিয়ে আসা আব্দুস সালাম জানান, ১৭টি গরু নিয়ে তারা ৩ ঘন্টা আগে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের অন্তত ৩ কিলোমিটার দূরে মহাসড়কে সিরিয়ালে আটকা পড়েছেন। তবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভীজে গরুগুলো অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, কোন যানবাহন থেকে কেউ যেন অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে না পারে সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফেরির টিকিটের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ ব্যাপারে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে এবারই প্রথম মাইকিং করা হচ্ছে।

বিআইডবিøটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, সাধারণ যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি কুরবানীর পশুবাহী ট্রাক আসতে শুরু করায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। রুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়া শুক্রবারের মধ্যে রো রো ফেরি শাহ মখদুম ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মেরামত শেষে বহরে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোগান্তি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ