রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনীর শহরের উপর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাওয়ার রেলপথ রয়েছে। শহরের কলেজ রোড় ও সদর হাসপাতাল সড়ক দিয়ে ফেনীর তিন উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলানাইয়া যাওয়ার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ এটি। এই সড়কের উপর দিয়ে রেলপথ থাকায় প্রতিদিন ট্রেন আসার পূর্বে সড়কে গেট সিগনাল পড়ে। তখন মুহূর্তেই সড়কের দুই পাশে গাড়ি আটকা পড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। কিন্তু সড়কের ওপর গেট পড়লেও এক পাশে বেরিয়ার না থাকায় সড়কের মাঝখান দিয়ে ছোট গাড়ি সিএনজি অটোরিকসা, টমটম, রিকসা ও পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে দেখা যায়। ফলে এখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব সমস্যা দেখার কেউ নেই। ট্রেন চলে গেলে সড়কের রেললাইনের উপর সিএনজি, টমটম ও রিক্সা অবৈধভাবে সড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গত কয়েক বছরে এখানে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই রেল লাইনের উপর অবৈধ সিএনজি, টমটম স্ট্যান্ড বসানোর পিছনে একটি সুবিধাভোগী চক্র রয়েছে। তাঁরা সব সময় এখান থেকে টোল আদায় করে। সেখানে কয়েকজন টমটম চালক এ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন আমাদের গাড়ি রাখার কোন জায়গা নেই, তবে সাময়িক দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী ওঠা নামা করে থাকি। ট্রেন আসার সময় হলে আমরা সেখান থেকে সরে অন্যত্র চলে যাই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রেন যাওয়ার সময় সড়কের মাঝখান দিয়ে বেরিয়ার না থাকায় অবৈধভাবে ছোটবড় গাড়িগুলি তাড়াতাড়ি পার হওয়ার জন্য যেন ট্রেনের সাথে লেগেই যাচ্ছে এমন অবস্থা। এই রেলগেটে গেটম্যান আছে ৩ জন, ২ জন সরকারি নিয়োগে কর্মরত আছেন, আরেকজন দৈনিক বেতনে ডিউটি করেন। এরা তিন জন প্রতিদিন তিন সিপটে আলাদা ভাবে ২৪ ঘন্টা ডিউটি করেন। সেখানে কর্তব্যরত গেটম্যান আবদুল মতিন বলেন, তিনি এখানে নিয়োগ পেয়েছেন তিন মাস হয়। তবে এই রেলগেটে ট্রেন আসার পূর্বে সড়কে চলাচলরত গাড়িগুলি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। গাড়ি চালকেরা আমাদের কথা শুনতে চায় না। সড়ক দিয়ে ট্রেন আসার পূর্বে অবৈধভাবে পারাপার ঠেকাতে গিয়ে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। তিনি জানান এই রেলগেট নিয়ন্ত্রণে আরো জনবল বাড়াতে হবে। তিনজনের পক্ষে এই রেলগেটে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। তাঁরা এসব ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন বলে জানান। এই সড়কে ওভারপাস নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। এবিষয়ে ফেনী সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ফেনী শহরের কলেজ রোড ও হাসপাতাল সড়কের মাঝখানে রেলপথ রয়েছে। সড়কে গেইট পড়ার কারণে এখানে প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে। যানজটের কারণে সড়কে অনেক রোগির গাড়িও আটকা পড়ে। এসব দিক বিবেচনায় তিনি সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বিষয়টি জানালে তিনি আশস্ত করেন যে এখানে অল্প কিছু দিনের মধ্যে একটি রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। কিছুদিন আগে এখানে সড়ক বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার এসে সার্ভে করে গেছেন। তিনি বলেন এখানে ওভারপাস নির্মাণ হলে মানুষের জীবন সময় দুটোই বাঁচবে। স্থানীয় জনসাধারণ ও ফেনী বাসীর দাবি এই সড়কে একটি রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করা হোক।
এ বিষয়ে ফেনী সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউছুল হাছান মারুফ বলেন, চলতি বছরের মে মাসে মন্ত্রণালয়ে অভ্যন্তরীণ যাচাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে জানতে পারি যে পরবর্তীতে প্লানিং কমিশনের একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ঐ সভা থেকে এ বিষটি একনেকে অনুমোধনের জন্য পাঠানো হবে। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে চলতি বছরের মধ্যে ফেনী শহরের প্রধান সড়কে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের বিষয়টি একনেকে চূড়ান্ত অনুমোধন পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।