গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এই পদক্ষেপের আগেই কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। পুরো কাশ্মীরই এখন যেন এক কারাগারে পরিণত হয়েছে। সেখানকার বিভিন্ন হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি এবং বেসরকারি ভবনগুলোকে অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে। বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, উপদেষ্টা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাসহ এখন পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের বিষয়টিকে অবৈধ ও একতরফা আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশান (ওআইসি)।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে এই ঘোষণার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেয় পাকিস্তান। এর পরপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানান। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিস্কার করে কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন করেছে পাকিস্তান। মার্কিন বিদেশ দফতরও জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের কথা তাদের আদৌ জানায় নি নরেন্দ্র মোদী সরকার। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে সতর্ক করেছে চীন।
কাশ্মীর ইস্যুতে ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। তারা মুসলীম বিশ্বের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জানান। পাশাপাশি সারা বিশ্বের মানুষকে মানবতার পাশে থাকার আহ্বান জানান।
প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি তার টুইটারে লিখেন, ‘জাতিসংঘ কেন ঘুমিয়ে আছে? কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই কাশ্মীরে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কাশ্মীরবাসীরও স্বাধীনতার অধিকার আছে।’
ফেইসবুক ব্যবহারকারী হিমেল শাওন তার ওয়ালে লিখেন, ‘এখনই পুরো বিশ্বের মুসলিমদের এক হওয়ার সময় এসেছে। আজ থেকে ১৪শ বছর আগে বেইমানদের সাথে যুদ্ধ করে ইসলামের বিজয় হয়েছিল। তখন পৃথিবীতে এতো মুসলিম ছিলো না। আর আজ পৃথিবীতে বিলিয়ন বিলিয়ন মুসলিম। সব মুসলিম এক হয়ে আমরা কি পারি না কাশ্মীরকে রক্ষা করতে?? বিশ্বের মুসলিম এক হও কাশ্মীর বাচাঁও।’
‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাকী মুসলীম দেশগুলোর নেতাদেরকেও আরও সক্রিয়ভাবে মুসলীম নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করতে হবে। তাহলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, মিয়ানমার, কাশ্মীরসহ যার বিশ্বে মুসলমান নির্যাতন বন্ধ হবে।’ - মন্তব্য নাসির উদ্দিনের।
মোহাম্মাদ রফিকুল লিখেন, ‘আরব দেশকে এক হওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, আরব যদি এক হয়ে সব ভারতীয়দের বের করে দেয় তাহলে কিছু একটা হতে পারে।’
‘শুধু দায় সাড়া ঘোষণা দিয়ে বসে থাকা নয়, কাশ্মীরে গণহত্যা শুরু হওয়ার আগেই ওআইসির উচিত মুসলমানদের রক্ষার্থে ভারতের ও পাকিস্তানের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা শান্তিপূর্ণ সমাধান করা।’ - লিখেছেন শামসুল এইচ খান।
সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশের জিজ্ঞাসা, ‘ মুসলিম বিশ্ব অর্থ কি তুরস্ক, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান?’
রুবেল রহমান তার টুইটারে লিখেন, ‘আমার মনে হয়, নিজ্বস্ব সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী গঠন করে ওআইসিকে শক্তিশালী করা হোক। যেন মুসলিমদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
‘ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশগুলো কি পারবে পাকিস্তানের মতো সাহসী ভূমিকা নিতে? ভারতকে বয়কট করতে? মিডল ইস্টে কিছু আরব মুনাফেক দেশ আছে তাঁরা কি তাদের মুনাফেকি আচরণ ছাড়তে পারবে?’ - মুহাম্মাদ রিয়াজ উদ্দিন খানের প্রশ্ন।
সুমিত কুমার শাহা লিখেন, ‘ধর্মীয় বিবেচনায় নয়, মানবতার বিবেচনায় বিশ্বের সকল শান্তিকামী দেশ ও মানুষের উচিত কাশ্মীরের পাশে দাঁড়ানো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।