Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফালুজায় সুন্নীদের ওপর নির্যাতন

প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, লিবিয়া ও ইয়েমেনের মুসলমানরা ইতিহাসের নিকৃষ্টতম মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। আইএস, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট আইএস বিরোধী সামরিক জোট, শিয়া মিলিশিয়া এবং ইরাক ও সিরিয়ার সরকারী বাহিনীর চতুর্মুখী টার্গেটে পরিণত হয়েছে সেখানকার বেসামরিক সুন্নী মুসলমানরা। সরকারী নিয়ন্ত্রণ থেকে আইএস গ্রুপের শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ থেকে শুরু করে সরকারী বাহিনী ও শিয়া মিলিশিয়াদের যৌথ উদ্যোগে শহরের পুনর্দখলের লড়াইয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেসামরিক সুন্নী নাগরিকরা। ফালুজায় অন্তত ৫০ হাজার সুন্নী মুসলমান আইএস এবং শিয়া মিলিশিয়াদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১৪ সালে আইএস’র খিলাফত ঘোষিত হওয়ার পর ইরাকের অন্যতম কৌশলগত নগরী হিসেবে ফালুজা দখল করে নেয়ার সময় থেকে সেখানকার বেসামরিক সুন্নী নাগরিকরা অনেকটা বন্দির মত আইএস’এর মানবঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে গত বছর আইএস’র প্রভাব দ্রুত খর্ব হতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক সামরিক জোটের তৎপরতায়ও কিছুটা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। রামাদি, মসুল, সিনজার, পালমিরাসহ সিরিয়া ও ইরাকের শহরগুলো একের পর এক সরকারী বাহিনী, কুর্দি ও শিয়া মিলিশিয়াদের অভিযানে আইএস’র নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যার শিকার হচ্ছে সেখানকার বেসামরিক সুন্নী নাগরিকরা। গত সপ্তায় ইরাকের আনবার প্রদেশের ফালুজা শহরকে আইএস’র নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে পারিচালিত অভিযানে ইরাকি বাহিনীর পাশাপাশি শিয়া মিলিশিয়ারাও অংশগ্রহণ করে। এই অভিযানের ত্রিপক্ষীয় লড়াইয়ে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় ফালুজার হাজার হাজার সুন্নী মুসলমান।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ এবং আইএস’র উত্থানের পেছনে পশ্চিমা মদদ এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজপরিবারগুলোর ভূমিকা শুরু থেকেই সমালোচিত ও বিতর্কিত। একদিকে আইএস উত্থানের পটভূমি তৈরী করা অন্যদিকে আইএস দমনের নামে বেপরোয়া বোমাবর্ষণ, শিয়া মিলিশিয়াদের শক্তি বৃদ্ধিতে তাদের সহযোগিতা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে ক্রমশ ঘোলাটে ও জটিল করে তুলেছে। বিশেষত নির্বিচারে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক চরম নির্যাতন ও হত্যাকা-ের শিকার হলেও তা’ বন্ধ করতে কোন পক্ষেরই কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘ মহাসচিব মাঝে মধ্যে বিবৃতি দিয়েই তাঁর দায়িত্ব শেষ করছেন। শিয়া-সুন্নী বিরোধ ইসলামের বিকাশের পথে একটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা। তবে কারবালা যুদ্ধের পর বিগত হাজার বছরে শিয়া-সুন্নী মতপার্থক্য কখনো বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চলমান সংঘাত-সহিংসতা ও গৃহযুদ্ধের পেছনেও শিয়া-সুন্নী বিরোধ কোন মূল বিষয় নয়। এসব যুদ্ধের পক্ষগুলো এই বিরোধকে কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্য সংকটকে প্রলম্বিত অথবা নিজেদের অনুকূলে রাখার চেষ্টা করছে। আইএস যেমন তার উত্থান ও সম্প্রসারণের তৎপরতায় অস্বাভাবিক বাড়াবাড়ি করছে, অন্যদিকে আইএস বিরোধী শিয়া মিলিশিয়া, সিরিয়া ও ইরাকের সরকারী বাহিনী, রাশিয়া ও ন্যাটোসহ বহুজাতিক বাহিনীও সীমালঙ্ঘন করে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।
ফালুজায় সুন্নী মুসলমানদের মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। মধ্যপ্রাচ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সাথে ইরানী পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়াদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়িয়ে তুলতে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে। তবে শিয়া মিলিশিয়া ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। শিয়া মিলিশিয়াদের বাড়াবাড়ির কারণে শিয়া-সুন্নী বিরোধকে কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে সংকট প্রলম্বিত করার সুযোগ নিতে পারে পেছনের সাম্রাজ্যবাদী কুশীলবরা। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া থেকে প্রাণভয়ে পলায়নপর লাখ লাখ মানুষ যখন ইউরোপের বিভিন্ন সীমান্তে ভিড় করছে তখন পশ্চিমারা এ পরিস্থিতিকে ‘ইউরোপীয় রিফিউজি ক্রাইসিস’ বলে আখ্যায়িত করে অভিভাবসনবিরোধী নতুন আইন তৈরী করছে। আবার ফালুজা, মসুল, আলেপ্পোতে লাখ লাখ মানুষ আইএস অথবা শিয়া মিলিশিয়াদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার পর পশ্চিমা মিডিয়াগুলো শিয়া-সুন্নী বিরোধের কথা প্রাধান্যে নিয়ে আসলেও মানবিক বিপর্যয় রোধে উদ্যোগ নিতে তেমন উৎসাহী দেখা যায়না। তবে ইসরাইলসহ পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের অনুঘটকরা যা’ই করুক, মুসলমানদের ঐক্য ও শান্তিতে বিশ্বাসী সকল পক্ষকে সম্মিলিতভাবেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সমস্যা নিরসনে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা সব সময়ই ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বিশেষত, সাতষট্টি সালের আগের সীমানায় জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। তথাকথিত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, শিয়া-সুন্নী বিভেদ নিয়ে বেশী মাথা ঘামানোর বদলে ফিলিস্তিনী সংকট এবং গৃহযুদ্ধের আঞ্চলিক রাজনৈতিক ইস্যুগুলোতে পশ্চিমাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করার মধ্য দিয়েই মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতাকারী অন্তত ২০টি দেশের প্রতিনিধিদের চলমান প্যারিস বৈঠক থেকে বিশ্বসম্প্রদায় একটি সুসংবাদ প্রত্যাশা করছে। তবে ইতিমধ্যে ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকের উদ্যোগকে প্রত্যাখ্যান করে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে

ফালুজায় সুন্নীদের ওপর নির্যাতন
সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, লিবিয়া ও ইয়েমেনের মুসলমানরা ইতিহাসের নিকৃষ্টতম মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। আইএস, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট আইএস বিরোধী সামরিক জোট, শিয়া মিলিশিয়া এবং ইরাক ও সিরিয়ার সরকারী বাহিনীর চতুর্মুখী টার্গেটে পরিণত হয়েছে সেখানকার বেসামরিক সুন্নী মুসলমানরা। সরকারী নিয়ন্ত্রণ থেকে আইএস গ্রুপের শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ থেকে শুরু করে সরকারী বাহিনী ও শিয়া মিলিশিয়াদের যৌথ উদ্যোগে শহরের পুনর্দখলের লড়াইয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেসামরিক সুন্নী নাগরিকরা। ফালুজায় অন্তত ৫০ হাজার সুন্নী মুসলমান আইএস এবং শিয়া মিলিশিয়াদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১৪ সালে আইএস’র খিলাফত ঘোষিত হওয়ার পর ইরাকের অন্যতম কৌশলগত নগরী হিসেবে ফালুজা দখল করে নেয়ার সময় থেকে সেখানকার বেসামরিক সুন্নী নাগরিকরা অনেকটা বন্দির মত আইএস’এর মানবঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে গত বছর আইএস’র প্রভাব দ্রুত খর্ব হতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক সামরিক জোটের তৎপরতায়ও কিছুটা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। রামাদি, মসুল, সিনজার, পালমিরাসহ সিরিয়া ও ইরাকের শহরগুলো একের পর এক সরকারী বাহিনী, কুর্দি ও শিয়া মিলিশিয়াদের অভিযানে আইএস’র নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যার শিকার হচ্ছে সেখানকার বেসামরিক সুন্নী নাগরিকরা। গত সপ্তায় ইরাকের আনবার প্রদেশের ফালুজা শহরকে আইএস’র নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে পারিচালিত অভিযানে ইরাকি বাহিনীর পাশাপাশি শিয়া মিলিশিয়ারাও অংশগ্রহণ করে। এই অভিযানের ত্রিপক্ষীয় লড়াইয়ে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় ফালুজার হাজার হাজার সুন্নী মুসলমান।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ এবং আইএস’র উত্থানের পেছনে পশ্চিমা মদদ এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজপরিবারগুলোর ভূমিকা শুরু থেকেই সমালোচিত ও বিতর্কিত। একদিকে আইএস উত্থানের পটভূমি তৈরী করা অন্যদিকে আইএস দমনের নামে বেপরোয়া বোমাবর্ষণ, শিয়া মিলিশিয়াদের শক্তি বৃদ্ধিতে তাদের সহযোগিতা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে ক্রমশ ঘোলাটে ও জটিল করে তুলেছে। বিশেষত নির্বিচারে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক চরম নির্যাতন ও হত্যাকা-ের শিকার হলেও তা’ বন্ধ করতে কোন পক্ষেরই কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘ মহাসচিব মাঝে মধ্যে বিবৃতি দিয়েই তাঁর দায়িত্ব শেষ করছেন। শিয়া-সুন্নী বিরোধ ইসলামের বিকাশের পথে একটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা। তবে কারবালা যুদ্ধের পর বিগত হাজার বছরে শিয়া-সুন্নী মতপার্থক্য কখনো বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চলমান সংঘাত-সহিংসতা ও গৃহযুদ্ধের পেছনেও শিয়া-সুন্নী বিরোধ কোন মূল বিষয় নয়। এসব যুদ্ধের পক্ষগুলো এই বিরোধকে কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্য সংকটকে প্রলম্বিত অথবা নিজেদের অনুকূলে রাখার চেষ্টা করছে। আইএস যেমন তার উত্থান ও সম্প্রসারণের তৎপরতায় অস্বাভাবিক বাড়াবাড়ি করছে, অন্যদিকে আইএস বিরোধী শিয়া মিলিশিয়া, সিরিয়া ও ইরাকের সরকারী বাহিনী, রাশিয়া ও ন্যাটোসহ বহুজাতিক বাহিনীও সীমালঙ্ঘন করে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।
ফালুজায় সুন্নী মুসলমানদের মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। মধ্যপ্রাচ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সাথে ইরানী পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়াদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়িয়ে তুলতে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে। তবে শিয়া মিলিশিয়া ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। শিয়া মিলিশিয়াদের বাড়াবাড়ির কারণে শিয়া-সুন্নী বিরোধকে কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে সংকট প্রলম্বিত করার সুযোগ নিতে পারে পেছনের সাম্রাজ্যবাদী কুশীলবরা। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া থেকে প্রাণভয়ে পলায়নপর লাখ লাখ মানুষ যখন ইউরোপের বিভিন্ন সীমান্তে ভিড় করছে তখন পশ্চিমারা এ পরিস্থিতিকে ‘ইউরোপীয় রিফিউজি ক্রাইসিস’ বলে আখ্যায়িত করে অভিভাবসনবিরোধী নতুন আইন তৈরী করছে। আবার ফালুজা, মসুল, আলেপ্পোতে লাখ লাখ মানুষ আইএস অথবা শিয়া মিলিশিয়াদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার পর পশ্চিমা মিডিয়াগুলো শিয়া-সুন্নী বিরোধের কথা প্রাধান্যে নিয়ে আসলেও মানবিক বিপর্যয় রোধে উদ্যোগ নিতে তেমন উৎসাহী দেখা যায়না। তবে ইসরাইলসহ পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের অনুঘটকরা যা’ই করুক, মুসলমানদের ঐক্য ও শান্তিতে বিশ্বাসী সকল পক্ষকে সম্মিলিতভাবেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সমস্যা নিরসনে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা সব সময়ই ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বিশেষত, সাতষট্টি সালের আগের সীমানায় জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। তথাকথিত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, শিয়া-সুন্নী বিভেদ নিয়ে বেশী মাথা ঘামানোর বদলে ফিলিস্তিনী সংকট এবং গৃহযুদ্ধের আঞ্চলিক রাজনৈতিক ইস্যুগুলোতে পশ্চিমাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করার মধ্য দিয়েই মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতাকারী অন্তত ২০টি দেশের প্রতিনিধিদের চলমান প্যারিস বৈঠক থেকে বিশ্বসম্প্রদায় একটি সুসংবাদ প্রত্যাশা করছে। তবে ইতিমধ্যে ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকের উদ্যোগকে প্রত্যাখ্যান করে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। শিয়া-সুন্নী ইস্যুসহ নিজেদের মধ্যকার ছোটখাটো বিরোধ ভুলে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা শান্তি প্রক্রিয়ায় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে পারলে সফলতা আসতে পারে।

ন। শিয়া-সুন্নী ইস্যুসহ নিজেদের মধ্যকার ছোটখাটো বিরোধ ভুলে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা শান্তি প্রক্রিয়ায় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে পারলে সফলতা আসতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফালুজায় সুন্নীদের ওপর নির্যাতন
আরও পড়ুন