নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দীপক চাহারের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের পর ব্যাটসম্যানদের দৃড়তায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করল বিরাট কোহলির দল।
গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে পরশু বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হয় দেরিতে। নির্ধারিত ২০ ওভারে কাইরন পোলার্ডের (৫৮) সাত বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পরও উইন্ডিজ তুলতে পারে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান। দ্রæত তিন উইকেট তুলে নিয়ে তাদের টপ অর্ডারে ধ্বস নামান চাহার (৩-১-৪-৩)। জবাবে তৃতীয় উইকেটে কোহলি (৫৯) ও ঋষব পন্তের (৬৫*) শতরানের জুটিতে ৫ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
আগের দুটি ম্যাচেও কোনো প্রতিদ্ব›দ্বীতা গড়তে পারেননি কার্লসো ব্র্যাথওয়েটরা। করেছিলেন অসহায় আত্মসমর্পণ। ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশড হয়ে এমনিতেই লজ্জায় পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সেই ক্ষতের দাগ আরও গভীর করে দিয়েছে একটি পরিসংখ্যান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ডটা এতদিন ছিল কেবল বাংলাদেশের একার। তাতে এবার ভাগ বসিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫৭তম হার। এই ফরম্যাটের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ২০০৬ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১১৩ ম্যাচ খেলে অর্ধেকের বেশিটিতেই হারের স্বাদ নিয়েছে। জিতেছে ৪৯টিতে। টাই হয়েছে ৩ ম্যাচ। ৪ ম্যাচে কোনো ফল আসেনি। উইন্ডিজের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলেও অবশ্য ৫৭টি হারের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৮৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। জিতেছে মাত্র ২৬টিতে। জয়ের হার ৩১.৩২ শতাংশ। ফল হয়নি ২ ম্যাচে। এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সের কারণে ছয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেও তেমন কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। প্রথমবার (২০০৭ আসর) সুপার এইটে খেলাটাই টাইগারদের সর্বোচ্চ অর্জন হয়ে আছে।
যৌথভাবে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ-উইন্ডিজের পর হারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নরা ১১৪ ম্যাচ খেলে হেরেছে ৫৬টিতে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচ হেরেছে আরও পাঁচটি দল।
নিউজিল্যান্ড ১১৮ ম্যাচের ৫৩টিতে হেরেছে। ১১৬ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হার ৫২টি। পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের হার সমান ৫০টি করে। এদের মধ্যে জিম্বাবুয়ে মাত্র ৬৬ ম্যাচ খেলেই হারের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেছে। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান (১৪৩টি)। ইংল্যান্ড মাঠে নেমেছে ১০৯ ম্যাচে।
আজ থেকে একই মাঠে শুরু হচ্ছে দু’দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সফরে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজও খেলবে ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।