পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
এখন আগস্ট মাস চলছে। আগস্ট মাস আমাদের বিবেচনায় যেমন আনন্দের মাস, তেমনি বিষাদ তথা বেদনার মাসও বটে। এই আগস্ট মাসের চৌদ্দ তারিখে ঊনিশ শ’ সাতচল্লিশ সালে পৌনে দুই শত বছরের সাম্রাজ্যবাদী বৃটেনের পরাধীনতার শৃংখল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীন হই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। স্বাধীন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সে সংগ্রামে বাংলাদেশের বিশেষ অবদান ছিল।
প্রথমত: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় যে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বে, সেই নিখিল ভারত মুসলিম লীগের জন্মই হয় ঢাকায় নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে আহূত নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনের বিশেষ রাজনৈতিক অধিবেশনে ১৯০৫ সালে। সে সম্মেলনে তদানীন্তন উদীয়মান মুসলিম নেতা মুহম্মদ আলী জিন্নাহকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি (জিন্নাহ) সে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন এ যুক্তিতে যে, এতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কর্র্তৃক পরিচালিত স্বাধীনতা সংগ্রামে বিভক্তি আসবে এবং বৃটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম দুর্বল হয়ে পড়বে।
মুহম্মদ আলী জিন্নাহ তখন পর্যন্ত হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠান হিসাবে কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন এবং সেই নিরিখে ‘হিন্দু-মুসলিম মিলনের অগ্রদূত’ হিসাবে খ্যাত ছিলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের প্রবেশাধিকার ছিল, একথা ঠিক। কিন্তুু তা সত্তে¡ও হিন্দুদের সংখ্যাধিক্যের কারণে এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে মুসলমানদের সমস্যা সম্পর্কে বিশেষ বিবেচনার সুযোগ ছিলনা।
এই অবস্থার প্রমাণ মেলে বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের একটি মন্তব্যের মধ্যেও। তিনি বলতেন, মিলন হয় সমানে সমানে। মুসলমানরা হিন্দুদের তুলনায় এত পিছিয়ে যে, দুই সম্প্রদায়ের মিলন সম্ভব হতে পারে শুধু হিন্দুদের অনেক ক্ষতি স্বীকারের মাধ্যমে, যা কিছুতেই আমাদের কাম্য হতে পারে না। এমন কি রবীন্দ্রনাথের মত বিশ্ববিখ্যাত কবিও হিন্দু-মুসলিম মিলনের প্রশ্নে আস্থাশীল ছিলেন না। তাঁর বিখ্যাত ‘কালান্তর’ শীর্ষক গ্রন্থে তিনি লিখে গেছেন, মুসলমানরা এখনও মধ্যযুগীয় ভাবধারার মধ্যে আচ্ছন্ন রয়েগেছে, তাই তাদের সাথে মিলনের প্রশ্ন অবাস্তব।
এদিক দিয়ে অবশ্য কাজী নজরুল ইসলামের অবস্থান একবারেই অনন্য বৈশিষ্ট্যের দাবীদার। তিনি মনে করতেন, হিন্দু-মুসলিম মিলন ছাড়া সাম্রাজ্যবাদী বৃটেনের কবল থেকে আমাদের স্বাধীনতা লাভ সম্ভব হবে না। তাই তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘কান্ডারী হুশিয়ার’ শীর্ষক কবিতায় লিখে গেছেন:
‘হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারী, বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার।’
একই কবিতায় নজরুল অন্যত্র বলেন :
কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালির খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর।
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায় ভারতের দিবাকর।
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পুনর্বার।
ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান।
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান? আজি পরীক্ষা জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!
আমরা আজকের এই লেখা শুরু করেছিলাম আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে। আমরা আগেই বলেছি, আগস্ট মাস আমাদের জন্য আনন্দের স্মৃতিবাহী মাস, কারণ ১৯৪৭ সালে এই মাসের চৌদ্দ তারিখে আমরা পৌনে দু’শ বছরের সাম্রাজ্যবাদী বৃটেনের পরাধীনতার শৃংখল ভেঙ্গে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রথমবারের মত স্বাধীনতা লাভ করি। কথাটা যত সহজে বলা গেল, কাজটা তত সহজ ছিলনা। পাকিস্তান অর্জনের সংগ্রামের পথে আমাদের পদে পদে বাধা মোকাবিলা করতে হয়েছে। ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচন এব্যাপারে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঐ নির্বাচনে যে দুটি দল পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তার একটি ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, আরেকটি নিখিল ভারত মুসলিম লীগ। কংগ্রেসের দাবী ছিল বৃটিশ-শাসিত ভারত একটি অখন্ড রাষ্ট্র হিসাবে স্বাধীনতা লাভ করবে। অন্যপক্ষে মুসলিম লীগের দাবী ছিল দুই সম্প্রদায়ের সংখ্যাগুরুত্বের ভিক্তিতে বৃটিশ ভারত বিভক্ত হবে এবং উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকাসমূহ নিয়ে একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবে।
১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগের দাবী জয়যুক্ত হয়। ফলে ভারত বিভাগ এবং উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকাসমূহ নিয়ে একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবী মোতাবেক কার্যক্রম অবলম্বন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু তদানীন্তন শাসক শক্তি সাম্রাজ্যবাদী বৃটেন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে অলিখিত আঁতাতের কারণে এ ব্যাপারে গড়িমসি শুরু হয়। ফলে স্বাধীনতা বিলম্বিত হয়। এ পরিস্থিতিতে মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে ১৯৪৬ সালের ষোলই আগস্ট শান্তিপূর্ণভাবে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস (ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে) পালনের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়। এ দিবস পালন উপলক্ষে কলকাতা গড়ের মাঠে মুসলিম লীগ এক জনসভা আহবান করে। মুসলিম লীগ শান্তিপূর্ণভাবে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস পালনের আহবান করে বলে মুসলিম লীগ নেতারা সভায় উপস্থিত হন তাদের পরিবারের শিশু-কিশোর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে।
কিন্তু কলকাতার হিন্দু নেতারা মুসলিম লীগের এ শান্তিপূর্ণ প্রত্যক্ষ-সংগ্রাম দিবস পালনের সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখেননি। তারা এই সুযোগে কলকাতায় বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গা শুরু করে দেন। জনসভায় থাকা অবস্থায়ই মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ মহানগরীর বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার খবর পান। প্রাদেশিক চীফ মিনিস্টার হোসেন শহীদ সোহরওয়ার্দী কলকাতা পুলিশ হেডকোয়ার্টার গিয়ে যা দেখতে পান, তাতে তাঁর চক্ষু চড়ক গাছের অবস্থা। দাঙ্গায় উসকানী দিচ্ছেন স্বয়ং পুলিশ কর্মকর্তারা, যাদের অধিকাংশই হিন্দু। এ অবস্থায় চীফ মিনিস্টার হোসেন শহীদ সোহরওয়ার্দী পাঞ্জাব প্রদেশে জরুরী খবর পাঠান কিছু মুসলিম পুলিশ পাঠাতে।
পাঞ্জাব থেকে মুসলিম পুলিশ আসতে দুই দিন সময় লাগে। এই দুই দিন প্রধানত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মুসলিম জনগণই মারা যান বেশী। দুই দিন পর পাঞ্জাবের মুসলিম পুলিশরা এসে গেলে ‘পরিস্থিতি সোহরওয়ার্দী সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে। কলকাতা দাঙ্গার প্রতিক্রিয়ায় কলকাতায় যেসব জেলার লোক বেশী ছিল, সেসব এলাকায় (যেমন নোয়াখালী) দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার আগেই স্বাভাবিক হয়ে ওঠে সরকার ও শান্তিকামী জনগণের সম্মিলিত চেষ্টার কারণে।
১৯৪৭ সালের আগস্টে আমরা পৌনে দু’শ’ বছরের বৃটিশদের গোলামীর শৃংখল থেকে মুক্তি পাই, যা ছিল-আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক আনন্দের ঘটনা। সে নিরিখে ১৯৪৭ সালের এ বিজয়কে আমরা পাকিস্তান আমলে প্রতি বছর ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করতাম মহা সমারোহে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাংলার মুসলমানদের অবদানই যে ছিল অধিক তা আমরা আগেই বলেছি। সে কারণে পাকিস্তান থেকে আমাদের প্রত্যাশাও অধিক থাকাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে অবস্থা ছিল অন্যরূপ। নতুন-রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে অবাঙ্গালীদের সংখ্যাধিক্যের কারণে নতুন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে কোন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বেই উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা রূপে ব্যবহারের পালা শুরু হয়, যদিও সমগ্র রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের সংখ্যাই ছিল অধিক এবং তাদের মাতৃভাষা ছিল বাংলা।
এটা বোঝা গেল, নতুন রাষ্ট্রের পোস্টকার্ড, এনভেলপ, মানি অর্ডার ফর্ম প্রভৃতিতে ইংরেজীর পাশাপাশি শুধু উর্দুর ব্যবহারে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয়ে যায় ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। এ আন্দোলনের দাবী দাওয়া নিয়ে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে সে পুস্তিকা প্রকাশিত হয় তাতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দাবী জানানো হয়:
(এক) পূর্ব পাকিস্তানের সকল সরকারি অফিসাদির মাধ্যম হবে বাংলা,
(দুই) পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার মাধ্যম হবে বাংলা,
(তিন) পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে দুটি: বাংলা ও উর্দু।
এই দাবীর আলোকেই সমগ্র ভাষা আন্দোলন পরিচালিত হয়। পরবর্তীকালে পাকিস্তান আন্দোলনের মূল ভিত্তি ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের আলোকে স্বায়ত্তাশাসন আন্দোলন গড়ে ওঠে, যার ফলে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে স্বাধিকার-চেতনা জন্মলাভ করে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পশু বলে এই স্বাধিকার-চেতনা ধ্বংস করে দিতে উদ্যত হলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সমগ্র সময় পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম সেনানী এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানে জেলে বন্দী ছিলেন। মুক্তিয্দ্ধু শেষে তিনি প্রথম লন্ডন যান। লন্ডন যেয়ে তিনি জানতে পারেন যে, মুক্তিযুদ্ধ কালে বাংলাদেশেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহায্যে করার নামে ভারত তার সেনা বাহিনীর একটি অংশ বাংলাদেশে পাঠায়। ভারতীয় বাহিনী কতদিনের জন্য বাংলাদেশে থাকবে, তা জানানো না হওয়ায় তা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে একটা আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব লন্ডনে গিয়ে এটা জানতে পেরে এ বিষয়ে সাথে সাথে তাঁর ইতিকর্তব্য ঠিক করে ফেলেন। তিনি লন্ডন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকালে নয়া দিল্লী বিমান বন্দরে স্বল্প বিরতিকালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সরাসরি প্রশ্ন করে বসেন, ম্যাডাম, আপনি কখন বাংলাদেশ থেকে আপনার বাহিনী ফিরিয়ে আনবেন? জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন আপনি যখন বলবেন, তখনই। ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য অপসারণ সহজ হয়ে পড়ে। এভাবেই নতুন রাষ্ট্র হিসাবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয় পৃথিবীর মানচিত্রে।
দুঃখের বিষয় যে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এত অবদান, তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলি মোটেই তত আনন্দদায়ক ছিল না। তাঁকে হত্যার জন্য যে গোপন চেষ্টা চলছিল, এটা তাকে কেউ কেউ জানালেও তিনি তা বিশ্বাস করেননি। ফলে কতিপয় বিভ্রান্ত সৈন্যের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট।
তাই বলছিলাম আগস্ট মাস যেমন আমাদের জন্য পৌনে দু’শ বছরের সামা্জ্যাবাদী শাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভের জন্য আনন্দের দিন, তেমনি ঐ মুক্তির জন্য যার নেতৃত্বে জনগণ সংগ্রামে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন এবং লাহোর প্রস্তাব পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নামের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন, তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বলে আগস্ট একটি ঐতিহাসিক বেদনার মাসও বটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।