মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিপিএমের মতোই এবার পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রদেশ কংগ্রেস। দার্জিলিং-কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের অংশ থাকবে কিনা তা নিয়ে এবার তাদের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সোমবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এদিন রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির দেওয়া বিজ্ঞপ্তি পড়ে শোনান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেইসঙ্গে পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পুনর্গঠন বিল আনেন। তাতে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরকে দু’ভাগ করা হবে। তার মধ্যে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে লাদাখ। অপর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে জম্মু-কাশ্মীর।
লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা থাকবে। দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই প্রশাসনের শীর্ষে থাকবেন একজন করে লেফটেন্যান্ট গভর্নর।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে মোদি সরকার নির্বাচিত রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। আমাদের আশঙ্কা, সাংবিধানিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের অখণ্ডতার উপর মোদি সরকার কি আঘাত হানতে চলেছে? অমিত শাহরা কি এই রাজ্য ও দেশকে টুকরো টুকরো করবেন?’
সোমবারই সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর মোদি সরকারের তীব্র নিন্দা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তিনি বলেন, জম্মু- কাশ্মীরে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের রাতের অন্ধকারে কোনো কারণ না দর্শিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। সারা দেশে আজ অঘোষিত জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশে বেকারত্বের সমস্যা, কৃষকদের সমস্যা, শ্রমিকদের দুর্দশা—এসব দিকে নজর না দিয়ে ভারতবর্ষকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার খেলায় মেতে উঠেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রাজ্যও যে টুকরো হতে পারে এবার সেই আশংকা প্রকাশ করলেন তিনি।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ (ক) ধারার একটি বিশেষ অনুচ্ছেদকে বিলোপ করার সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যেই তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে সিপিএম সহ গোটা বাম শিবির। শুধু তাই নয়, এক ধাপ এগিয়ে তারাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, কাশ্মীরের উদাহারণ কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের ক্ষেত্রেও একই ধরনের আক্রমণ করতে পারে। সূত্র: কলকাতা ২৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।