পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমকে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মো. নোমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আলোচিত এ হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত বেশ কয়েকজন আসামি ‘বড়ভাই’ হিসেবে তার নির্দেশেই সুদীপ্তকে হত্যা করার দায় স্বীকার করে। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানী ঢাকার বনানীর কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউ থেকে মাসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম। গতকাল সকালে কড়া নিরাপত্তায় তাকে চট্টগ্রামে এনে সরাসরি আদালতে তোলা হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যার ঘটনায় সদরঘাট থানার মামলায় মাসুমকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমার এ আবেদনের শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। তিনি জানান, আদালতে মাসুমের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। এছাড়া তার অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরেন আইনজীবীরা। উভয়পক্ষে পাল্টাপাল্টি যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত থেকে মাসুমকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাসুমকে আদালতে নেয়ার সময় সেখানে হাজির হন তার অনুসারী লালখান বাজার আওয়ামী লীরেগ কয়েকশ নেতাকর্মী। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসার সামনে নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে খুন করা হয়। ফেসবুকে লেখালেখির কারণে দিদারুল আলম মাসুমের নির্দেশে সুদীপ্তকে খুন করা হয়েছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন নগর ছাত্রলীগের নেতারা। গত ১২ জুলাই মিজানুর রহমান নামে এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জানায়, সুদীপ্ত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ‘বড়ভাই’ দিদারুল আলম মাসুম।
পুলিশের খাতায় একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী মাসুম লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে লালখান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজির অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকে। সেখানে নিজস্ব বাহিনী গঠন করে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিল তার লোকজন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুইটি গ্রæপের মধ্যে প্রতিনিয়ত সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি দুই দফা সংঘর্ষের পর উভয় গ্রæপের অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিরোধী দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ক্যাডার বাহিনী নিয়ে হামলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অস্ত্র হাতে তার অ্যাকশানের ছবিও বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়।
তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হওয়ার পরও তার নামে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়। ওই এলাকার কাউন্সিলর এ এফ কবির আহমেদ মানিকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাসুমের নামে বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ থাকা দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ওই আবেদনেও মাসুমকে চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাকে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া যুবলীগ নেতা রিপন ও মিজান এবং ছাত্রলীগ নেতা আবদুল মোমিন ও মুজিব হত্যাকাÐে তার সম্পৃক্ততার তথ্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া মাসুমের বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ আনেন কাউন্সিলর মানিক। গত শনিবার মাসুম নিজে খুলশী থানায় গিয়ে অস্ত্র দুটি জমা দেন। এর আগে শুক্রবার দুপুরে লালখান বাজারে মাসুমের বাসায় অস্ত্র দুটি জব্দের জন্য গিয়েছিল পুলিশ। তবে অস্ত্র না পেয়ে তারা বাসায় নোটিশ দিয়ে আসেন। নগরীর রাজনীতিতে তিনি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।