মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিন টুকরো হচ্ছে কাশ্মীর! প্রশাসনিক সুবিধার জন্য, সন্ত্রাসবাদ দমন করতে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জব্দ করতে জম্মু ও কাশ্মীরকে টুকরো করা হচ্ছে- এই মর্মে হোয়াটসঅ্যাপে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে গুগল সার্চে তেমন কোনও খবর নেটদুনিয়ায় চোখে পড়েনি। সোশ্যাল মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপে গুজব ছড়িয়েছে যে, ৩৫এ ও ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরকে তিন টুকরো করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরিকল্পনাটি হলো এরকম যে, হিন্দু প্রধান জম্মু হবে আলাদা রাজ্য। তার আলাদা বিধানসভা। বৌদ্ধ অধ্যুষিত লাদাখ হবে আলাদা কেন্দ্রশাসিত এলাকা। কাশ্মীর উপত্যকাসহ নিয়ন্ত্রণরেখা, সিয়াচেন মিলে হবে কাশ্মীর কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল। অর্থাৎ সমস্যাসঙ্কুল কাশ্মীর থাকবে সরাসরি দিল্লির নিয়ন্ত্রণে। এখানে কোনও রাজনৈতিক দলের ক্রিয়াকলাপ থাকবে না। সংবিধান সংশোধন করে কাশ্মীরকে সরাসরি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে। যার নিট ফল হতে পারে, কাশ্মীরে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, প্যান্থার্স পার্টির রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে পারে। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হলে হুররিয়াত কনফারেন্সকেও কোণঠাসা করে অকেজো করে দেয়াটা আরও সুবিধে হবে। কারণ সাংবিধানিক ফাঁকফোকর গলে হুররিয়াত নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক সুবিধা পেয়ে থাকে। সেই সুবিধা নিয়ে তারা ভারত বিদ্বেষী কাজকর্ম চালায়। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতা ও ভারতবিরোধী শক্তিকে দমন করতেই এরকমভাবে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে তিন টুকরো করার কৌশল নেয়া হচ্ছে বলে গুজব রটেছে। এনডিএ পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের এতো দিনকার পরিচিত রাজনৈতিক ছবিটা পুরোপুরি বদলে দিতে চাইছে বলে গুজব রটেছে। হোয়াটসঅ্যাপের এই গুজবটি আজ দিনভর কাশ্মীর উপত্যকা, জম্মুতেও ছড়িয়েছে। তা নিয়ে কাশ্মীরিদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক ও উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
যদিও রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক আগেই বারবার বলেছেন, ‘অযথা গুজবে কান দেবেন না। গুজবের দায়িত্ব সরকার নেবে না। সব কাজ ফেলে গুজবের পেছনে সরকারি কর্মী বা পুলিশের ছুটে বেড়ানো সম্ভব নয়। তবে গুজবের প্রধান উৎস চিহ্নিত করতে পারলে সরকার আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলছেন, শ্রীনগরের লালচকে কেউ হাঁচলে বা কাশলে গুজব রটে সেখানে শক্তিশালী বোমা ফেটেছে। তাহলে বলুন কতবার গুজবের পেছনে দৌড়বে প্রশাসন? সূত্র : ডেইলি হান্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।