গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ডেঙ্গুকে একটি ‘জাতীয় সমস্যা’ হিসেবে অভিহিত করে এ ব্যাপারে সম্মিলিতভাবে তা মোকাবিলার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহবান জানান।
গয়েশ্বর বলেন, ডেঙ্গু জাতীয় সমস্যা। প্রতিটি মানুষের সমস্যা। সিটি করপোরেশন যদি মশা মারার কাজটি সঠিকভাবে করতো তাহলে ডেঙ্গুর সমস্যা এতো প্রকট আকার ধারণ করতো না। এডিস মশা আওয়ামী লীগকেও চিনে না, বিএনপিও চিনে না, সরকারি দল চিনে না, ডাক্তারও চিনে না, ইঞ্জিনিয়ারও চিনে না, ধনীও চিনে না, গরীবও চিনে না। এদের সুযোগ দিলে সুযোগটা পায়। এই ডেঙ্গু সমস্যার সমাধান মিলে-মিশে করতে হবে, সম্মিলিতভাবে করতে হবে। ডেঙ্গু সমস্যা সমাধানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়নহীনতার তিনি সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, দুইটা সিটি করপোরেশন আছে। মানুষ রসিকতা করে বলে সিটি করাপশন। অর্থাৎ এই সিটি ভবন মানে এখানে করাপশনের আড্ডাখানার আওতায়। সব এলোমেলো। প্রতি বছর কিন্তু মশা মারার নির্ধারিত বাজেট আছে। ডেঙ্গুর বাইরে কিন্তু সাধারণ মশা আছে। এই সাধারণ মশা মারার একটা প্রকল্প আছে, তাদের সুনির্দিষ্ট বিভাগ, কর্মকর্তা-কর্মচারি আছে। প্রতি বছর ওষুধ বা ভেজাল যেটাই বলুন কেনা হয়। এগুলো কী হয়? এগুলো যা হবার যথারীতি তাই নয়। এগুলো মোটা অংকের টাকা সাশ্রয়ী করে তাদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। ফলে যতটুকু সামর্থ্য আছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার হয় না। এজন্য মশার প্রকট থেকে মানুষ রক্ষা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ। ডেঙ্গু বনাম খুন-গুম-নারী নির্যাতন। এই দুইটা যদি প্রতিযোগিতা হয় দেখা যাবে ডেঙ্গু এখনো শিরোপা অর্জন করতে পারে নাই। অর্থাৎ গুম-খুন-নারী নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত তারা ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ। ডেঙ্গুতে এই পর্যন্ত যতজন মারা গেছে তার চেয়ে গুম-খুন-নারী নির্যাতনে লাশের মিছিল অনেক বড়। তাহলে ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়াবহ কে? এই সরকার। তারা ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়ানক।
গয়েশ্বর বলেন, ডেঙ্গু যাবে। মাঝে মাঝে যে রোগ দেখা যায় সকলের প্রচেষ্টা যেটা যায়। কিন্তু খুন-গুমের সাথে যারা জড়িত, নারী নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত, শিশু অপহরণে যারা জড়িত তারা তো ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়াবহ। এই ডেঙ্গুর হাত থেকে সাধারণ মানুষের মা-বোন-স্ত্রী-কণ্যার ইজ্জত রক্ষা করতে আমাদের আরো বেশি কঠিন ও কঠোর অবস্থানে ঐক্যবদ্ধভাবে নামার অবস্থা আছে কিনা ? থাকলে সেটা নিয়ে একটু ভাবেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে গণতন্ত্র নেই, কী সংবিধান। একজনের কথাই সব চলে। লাশ- মারা গেছে ঘোষণা দিতে উনার অনুমতি লাগবে। কোন একটা ঘটনা ঘটলো না কিছুদিন আগে। লাইভ সাপোর্টে রাখলো। মারা গেছে ১৪ দিন আগে, ১৪দিন লাইভ সাপোর্টে। কারণ উনার নির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে না। উনি কে আমি জানি না।
আবার উনি ঠিক করবেন কোন পার্টিতে কে প্রেসিডেন্ট হবেন, কে সংসদের বিরোধী দলের নেত্রী হবেন। সব পার্টি উনি চালাবেন। উনার জোটে ১৪টা দল আছে। আমি বলব, প্রধানমন্ত্রী সবই করবেন, সবই পারেন। আরেকটা কাজ করে দেন, একটা আইন করে দেন। আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে সব দলের আপনি সভাপতি এবং আপনার কথামতো আমাদেরকে চলতে হবে। তাহলে পরিস্কার বলতে পারবো- সরাসরি আপনার কথায় চলি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসনের চরম অবণতি : কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনার হয়।
সংগঠনের সভপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও খন্দকার মো. মহিউদ্দিন মাহির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ-হিল মাসুদ, মিয়া মো. আনোয়ার, আসম মোস্তফা কামাল, নাদিয়া পাঠান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।