পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আপনারা দেখেছেন বাতি নিভার আগে জ্বলে উঠে সরকারের অবস্থাও তাই। সরকারের বর্তমান কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে পতনের শেষ শিখা জ্বলে উঠছে মাত্র। এটা নিবে যাবে। কখন নিবে যাবে তা তারা নিজেরাও তা টের পাবে না। অচিরেই সরকারের পতন হবে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল কেরানিগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে পুলিশের হামলা, গুলি বর্ষন এবং নারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেরনের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, সরকারের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বেতন জনগণের টাকায় হয়। সরকার দেয় না। তারা যা খুশি তা করতে পারেন না। গতকাল কেরানীগঞ্জ থানার ওসির মুখ দিয়ে যে বক্তব্য বেরিয়েছে অতি সাম্প্রদায়িক। আওয়ামী লীগের একমাত্র ভরসাতো হচ্ছে হিন্দুদের ভোট, আর মালায়ন বললেতো হিন্দুদেরই বুঝানো হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের পোশাক পরিধানকারী ওসির মুখ থেকে এ ধরণের বক্তব্য গর্হিত কাজ। এখন তাঁর পোশাক পরার অধিকার আছে কিনা এটা বিবেচনা করতে হবে। আমার কুমিল্লা ঘটনা দেখিছি সেখানে পুলিশ বক্তব্য দিয়ে কিভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। আমরা সে ধরণের পরিস্থিতি চাই না। গতকালের ঘটনার দায় সরকারকে বহন করতে হবে। সেটা পুলিশ হোক ছাত্রলীগ হোক বা যুবলীগ হোক। সেখানকার জনপ্রতিনিধিকে এর জবাব দিতে হবে। দেশটাকে স্বাধীন করার সময় হিন্দু মুসলিম দেখিনি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর আমরা এ ধরণের ব্ক্তব্যের জন্য প্রস্তুত নই। "মালায়ন" বলতে কাকে বুঝিয়েছেন হিন্দুদের । ইউনিফর্ম ধারী ওসির মুখ থেকে তা প্রত্যাশা করা যায় না। আমি সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই গতকালের ঘটনার বিচার না করলে কেরানিগঞ্জের জনগণ এর বিচার করবে। আজকে সারা কেরানিগঞ্জের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। ভোর থেকে হাজার হাজার মহিলা পুরুষ এখানে এসেছে।
তিনি বলেন, গতকাল বিএনপি নেতার বাড়িতে তার অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে দেখতে যেতে চেয়েছিল নিপুণসহ নেতোকর্মীরা। তাদের ওপর হামলা হয়েছে। ৮৫ বছরের নারীর গায়ে হাত দেয়া হয়েছে, মহিলাদের গায়ে হাত দেয়া হয়েছে। শত শত মানুষ আহত হয়েছে। নারী নির্যাতনের নির্লজ্জ চিত্র সারা বিশ্বে ফুটে ওঠেছে। এটি আরেকটি জ্বলন্ত উদাহারণ। পুলিশের হুমকিতে আমরা বসে থাকব না। সাংবাধিানিক রাইট সভা সমাবেশ করার। যারা বাধা দেয় তারা সংবিধান লঙ্ঘন করছে। গতকালের হামলার বিচার দাবি করছি। ওসির বক্তব্যের বিচার দাবি করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যদি এর বিচার না করে তাহলে জনগণ এর বিচার করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, নিপূণ রায় চৌধুরি, জয়ন্ত কুমার কুন্ডুসহ নেতাহর্মীরা উপস্থি ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।