বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ রয়েছে। মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী বাজার, লালপোল, লেমুয়াব্রিজ, ফাজিলপুর ও মুতিগঞ্জে ফুট ওভারব্রিজ থাকলেও এগুলো ব্যবহার না করে জনসাধারণ সড়কের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব বিষয় দেখেও না দেখার ভান করে হাইওয়ে পুলিশ।
গত ৫ থেকে ৬ বছর আগে সরকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পথচারী ও যাত্রীসাধারণের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে সড়ক পারাপারের জন্য এই ফুট ওভারব্রিজগুলো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্ত পথচারীরা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হতে দেখা যায়। এসব কারণে মহাসড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা বাড়ছে প্রাণহানি। গাড়ির চালকেরা পড়ছেন বিপাকে। এ যেন দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল সকাল ১১ টার দিকে মহাসড়কের ফেনীর লালপোল ফুট ওভারব্রিজের নিচে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ২০ থেকে ৩০ জন যাত্রী বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছে। কয়েকজন যাত্রী ও পথচারী সড়ক পার হওয়ার জন্য সড়কের মাঝখানের ডিভাইডারের ফাঁক দিয়ে খুব দ্রæত বেগে দৌড়ে অপরপাশে চলে যেতে দেখা যায়। কিন্তু পাশে ফুট ওভারব্রিজ থাকা স্বর্তেও কেউ এর উপর দিয়ে পার হতে দেখা যায়নি। লালপোলে মহাসড়কের উপর তিন স্থরের ডিভাইডার বেষ্টিত ফোরলেন সড়ক। সময় বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিভাইডারের উপর দিয়ে টপকে সড়ক পার হতে দেখা যায় প্রতিদিন। লালপোলে সড়কের উপর ডিভাইডার যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সারিবদ্ধভাবে ডিভাইডার দেয়া হলেও কিছু কিছু অংশে ফাঁক রাখা হয়েছে।
গত ৩ বছর আগে লালপোলে ডিভাইডারের উপর দিয়ে লাফ দিয়ে পার হতে গিয়ে দ্রæতগামী বাসের নিচে চাপা পড়ে কালিদহ ইউনিয়ন আ.লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছিল। এসব বিষয়ে ফেনী সড়ক বিভাগ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায় না। স্থানীয়রা জানান, লালপোলের ফুট ওভারব্রিজটি সঠিক জায়গায় আছে কিন্তু পথচারী ও যাত্রীরা ব্রিজের উপর উঠতে চায়না। কারণ সিড়ি ভেঙে উপরে উঠতে কষ্ট হয়। লালপোলে সড়ক পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। গত বছর এক স্কুলশিক্ষকের করুণ মৃত্যু হয়েছে। অনেকে আহত হয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন।
একই চিত্র লেমুয়া ব্রিজেও, সেখানে গিয়ে কয়েকজন দোকাদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ফুট ওভারব্রিজ কবে ব্যবহার হয়েছে তাদের জানা নাই। গাড়ির জন্য অপেক্ষমান কয়েকজন যাত্রী জানান, লেমুয়া মূল পয়েন্ট থেকে ফুট ওভারব্রিজটি একটু দূরে থাকায় এটি কেউ ব্যবহার করেনা।
মোহাম্মদ আলী বাজার মহাসড়কে ফুট ওভারব্রিজ পিলারের মত দাঁড়িয়ে আছে। এ বিষয়ে ফেনী হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির (ভারপ্রাপ্ত) ইনচার্জ এস আই শাহ আলম বলেন, আমরা চেষ্টা করি পথচারীরা নির্বিঘেœ ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করুক। কিন্ত তারা নিয়ম কানুন মানতে চায়না। পথচারীরা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে মহসড়কে ডিভাইডারের ফাক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সড়ক বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। ফেনী সড়ক বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী গাউছুল হাসান মারুফ বলেন, এবিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। মহাসড়কে যে সব জায়গায় ডিভাইডার আছে তার মাঝখানে ফাঁকা জায়গাগুলি সনাক্ত করে দ্রæত ফিলাপ করে দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।