পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রায় এক মাসের মতো চলমান বন্যায় দেশের ৩১ জেলায় সাড়ে ছয় লাখের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের এ ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বন্যায় কবলিত ৫ জেলায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্র এ কে এম এনামুল হক শামীম।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩১ জেলার প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে নষ্ট হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার টন বিভিন্ন ধরনের শস্য। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আউশের। ৫০ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আউশের যে ক্ষতি হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য প্রায় ২৫২ কোটি টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৯৭ হাজার ১৮৪। এছাড়া ৯৫ হাজার ৫৭০ জন কৃষকের ২৫৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার পাট ও ৮৮ হাজার ৪০৮ জন কৃষকের ১৫৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বোনা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমির। এতে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৮৬ জন কৃষকের মোট ক্ষতির পরিমাণ ১২৬ কোটি টাকা। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় এক লাখ কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ ২৯০ কোটি টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পানি অনেকটা ধীরগতিতে নামছে। ফলে বন্যার প্রভাব আরো দীর্ঘ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমন ও আউশ উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এরই মধ্যে গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ফলে খুচরা বাজারে বেশকিছু সবজির দামও বেড়ে গেছে।
অন্যদিকে পাট উৎপাদন শেষ পর্যায়ে থাকলেও বন্যার পানি নামতে দেরি করলে পাট খাতেও বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হতে পারেন কৃষক। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আক্রান্ত এলাকার কৃষকদের বিনা মূল্যে সার ও বীজ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এজন্য প্রাথমিকভাবে ১২০ কোটি টাকার অর্থায়ন করা হবে। পরবর্তী সময়ে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হলে করণীয় কী হবে, তা নিয়েও প্রস্তুতি রয়েছে বলে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা বাড়ানোর মাধ্যমে শস্যের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সব ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কৃষকদের বিকল্প শস্য আবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গত মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচু এলাকায় বন্যা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তরাঞ্চল পেরিয়ে মধ্যাঞ্চলেও বন্যা শুরু হয়। এবারের বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলো হচ্ছে- সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নাটোর, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পাবনা, দিনাজপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা, নওগাঁ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।