২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
এখন কাঁঠাল পাকার মৌসুম। এসময়ে মেডিসিনমুক্ত প্রচুর কাঁঠাল খেতে পারলে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের সরবরাহ অনেকটা নিশ্চিত করা যায় ও শরীর সুস্থ থাকে। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সময়মত যথাসম্ভব সচেতন হওয়া দরকার।
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। উহা আমাদের সুপরিচিত, সুস্বাদু, রসালো ও অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। কাঁঠাল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ফল। আমাদের এ উপমহাদেশে কাঁঠালের ইতিহাস প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরনো। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে প্রচুর কাঁঠাল হয়। বাংলাদেশের গাজিপুর ও সাভার কাঁঠালের জন্য পরিচিত। কাঁঠাল বিভিন্নভাবে আমাদের উপকারে আসে। উহা রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য (পড়হংঃরঢ়ধঃরড়হ) দূর করে ও খাদ্য হজমে সাহায্য করে। কাঁঠাল শরীরের ক্ষয় প্রতিরোধ করে, বার্ধক্যনিরোধক হিসেবে কাজ করে ও চামড়ায় বলিরেখা (ৎিরহশষবং)তৈরি হতে দেয় না। উহা দাঁত ও দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, শরীরে লৌহ পূরণে সাহায্য করে ও রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। কাঁঠাল কোলেস্টারোল (পযড়ষবংঃবৎড়ষ) মুক্ত ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল। নিয়মিত কাঁঠাল খেলে হার্ট ভালো থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হার্টএটাক ও স্ট্রোক থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। কাঁঠাল মাংসপেশি ও স্নায়ুকে সবল ও শিথিল (ৎবষধী) করে। তাই কাঁঠাল খেয়ে খুব সহজেই নাক ডেকে ঘুমানো যায়। কাঁঠালে প্রচুর ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকে। তাই কাঁঠাল খেলে হাড় মজবুত থাকে, হাড়ের ভঙ্গুরতা কমায় ও বিশেষ করে বয়সকালে তা কাজে লাগে। কাঁঠাল খেলে চুলপড়া কমে, চুলের রং কালো ও ঝলমলে হয়। কাঁঠালের বিচি খুব পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। উহা বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর, শরীরে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যোগানোর একটি সস্তা ও নিরাপদ উৎস। মাছ, মাংস ডিম, দুধ ও ডালের পাশাপাশি উহা আমাদের প্রোটিনের চাহিদা অনেকটা পূরণ করতে পারে। কাঁঠালের রসে প্রচুর ভিটামিন ও এনটিঅক্সিডেনট (ধহঃরড়ীরফধহঃ) থাকে। তাই কাঁঠাল খেলে চোখ ভাল থাকে এবং চামড়া সুন্দর হয়। কয়েকটা খোসা ছাড়ানো শুকনো কাঁঠালের বীচি, এক কাপ দুধ ও ২ চামচ মধুর মিশ্রণে ভিজিয়ে রেখে, বেটে পেস্ট করে পুরোপুরি শুকোনো পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেললে চামড়া উজ্জ্বল, টানটান ও সুন্দর হয়।
কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খেতে খুব মজার। কাঁচা কাঁঠাল কেটে তার সাথে প্রয়োজনমত নারিকেলের রস, মশলা ও চিংড়ী মাছ সহ রান্না করলে সবাই মিলে পেটপুরে, চেটেপুটে খাওয়া শেষ করা যায়।
ষ ডাঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ
মেডিকেল কনসালটেন্ট
ইয়ামাগাতা হাসপাতাল, লালমাটিয়া, ঢাকা
মোবাইল : ০১৯৮০৪৮৫০০৭
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।