২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
কোনো কারণ ছাড়াই আপনি কোনো দিন হেসেছেন? কোনো জোকস শোনেননি, কেউ কোনো রসিকতাও করেননি, অথচ আপনি হাসছেন। কিন্তু এমনটাই ঘটাচ্ছেন অনেক মানুষ যাঁরা সিরিয়াসলি কারণ ছাড়াই হাসতে চাইছেন শুধু হাসবেন বলেই। তাঁরা মনে করেন হাসি হলো সব সমস্যার সমাধান। কেন, জেনে নিন- * ভুগে ভুগে ক্লান্ত? আমরা সকলেই জানি কাজের চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। জেনে রাখুন, হাসি হলো স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের অ্যান্টিডোট। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমাদের ইমিউন সিস্টেমে হাসির একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নিন স্ট্রেস আর টেনশনকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এবার থেকে কারণ ছাড়াই হাসবেন। হাসলেই রোগ মুক্তি। * কাজে উৎসাহ পাচ্ছেন না? আমরা প্রত্যেকেই কোনো না-কোনো সময়ে কাজ করতে করতে কাজের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। উৎসাহ ফিরিয়ে আনার একমাত্র রাস্তা হলো যখনই সময় পাবেন সমস্যাকে তুড়ি মেরে হাসতে থাকুন সহকর্মীদের সঙ্গে। খেয়াল করে দেখবেন- পর মুহূর্তেই আপনার স্ট্রেস লেভেল উধাও। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই কর্মাধ্যক্ষের উচিত একটা ‘লাফটার সেশন,’ রাখা। এটা থাকলে প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে, বাড়বে সংস্থার লাভও। অবশ্য একটা কথা বলে রাখা ভালো, যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্কৃতি বলতে শুধু ল্যাং-মারামারি প্রাধান্য পেয়ে থাকে, সেখানে যে এই ফর্মুলা খুব একটা কাজে লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য। * লেখাপড়ার চাপে ভুগছেন? পরীক্ষায় ভালো নম্বরের জন্য বাবা-মা এবং গৃহশিক্ষকদের চাপে বাচ্চাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। বাচ্চারা যদি নিজের মনে খানিক হেসে নেয় তাহলে শরীরে নতুন এনার্জি পাবে এবং লেখাপড়ায় আরও ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়বে। গবেষকরা বলেন, হাসি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ এবং বুদ্ধি বাড়ানোর ব্যাপারে সহায়ক। অতএব, বাচ্চারা বাবা-মা এবং গৃহশিক্ষকদের ভয় না-পেয়ে যদি তাদের সঙ্গে অকারণে খানিক হেসে নেয় তাহলে তাদের উপকারই হবে। তাই তাদের হাসতে শেখা উচিত, শেখার জন্য হাসা উচিত। * সম্পর্কের জটিলতায় ভুগছেন? আপনি পারিবারিক সংকটে ভুগছেন? এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে চান? এরকম জটিল ক্ষেত্রে গবেষকদের প্রেসক্রিপশন হলো- চিৎকার করে হাসুন। আপনার নিজের সমস্যার কথা ভাবতে ভাবতেই হাসুন। জোরে জোরে হাসুন, সঙ্গে নেন যাঁকে ঘিরে সমস্যা তাঁকে। শুরুর দিকে আপনাদের দুজনেরই অস্বস্তি হবে এই ভেবে যে-মাথার বুঝি ঠিক নেই। কিন্তু পরমুহূর্তে দেখবেন সেই অস্বস্তি কেটে গিয়েছে এবং অকারণে হাসতে দুজনেরই ভালো লাগছে। ব্যাপারটা বেশ মজার তাই না? এটা প্রমাণিত সত্য যে, হাসি একই সঙ্গে মানসিক চাপ কমায় যে-কোনো ধরনের ব্যাধির সেরা ওষুধ। তাহলে অকারণে হাসিকে আমাদের জীবনের অঙ্গ করে নিতে আপত্তি কোথায়? তাই মন খুলে হাসতে থাকুন। হাসুন।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।