Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডেঙ্গু মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় পন্থা অবলম্বন এবং আল্লাহপাকের দরবারে নাজাত কামনা

রুহুল আমীন খান | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

“তোমরা কি এও দেখতে পাচ্ছ না যে, এমন কোনো বছর যায় না, যখন তাদের একবার কিংবা দু’বার বিপদে ফেলা হয়, তথাপি তারা তওবা করে না এবং বিপদ থেকে উপদেশ গ্রহণ করে না।” সূরা তওবা, আয়াত : ১২৬। 

“নিশ্চয়ই তাদের কাছে এমন সব বার্তা এসেছিল, যার ভেতরে সতর্কতা ও সচেতনতার অনেক কিছুই ছিল। সেসব যথার্থই খুব জ্ঞানপূর্ণ বার্তা ছিল। আক্ষেপ, বিপ্লব ও বিবর্তনের এরূপ ভয়াবহ খবরও তাদের চৈতন্যের জন্য ফলপ্রসূ হয়নি। সূরা কমর : আয়াত: ৪/৫।

“তা হলে তারা কি, সেই চরম মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে, যা তাদের ওপর অকস্মাৎ আবির্ভূত হবে? তাই যদি হয় তাহলে তার লক্ষণ তো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তা দেখেও চেতন না হলে তখন তাদের উপরে সেই মহাবিপদ আসবে, তখন তার কী করার থাকবে”! সূরা মুহম্মদ, আয়াত : ১৮।

“তারা কি তাদের অগ্রবর্তীদের অবস্থা সম্পর্কে শুনতে পায়নি? যথা নূহ, আদ-সামুদ, ইবরাহীম ইত্যাদি গোত্রের এবং মাদায়েনবাসীদের দেশশুদ্ধ উজাড় করে দেয়া হয়েছিল, তাকি তারা জানে না? সূরা তওবা : আয়াত : ৭০।

“জলে এবং স্থলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান যাতে তারা ফিরে আসে।” সূরা রূম : আয়াত : ৪১।

“তোমাদের উপর যে বিপদ-আপদ পতিত হয় তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গুনাহ ক্ষমা করেছেন।” সূরা শোরা : আয়াত : ৩০।

বক্ষ্যমাণ নিবন্ধটি মূলত : “ডেঙ্গু”-কে কেন্দ্র করে। ডেঙ্গু যেহেতু ভায়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রমে বর্ধিত হচ্ছে এর প্রাদুর্ভাব। অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আরও ব্যাপক বিস্তৃতির। এর প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়ের কথাও বলা হচ্ছে। ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে নানাভাবে। মানুষের সাধ্য-সীমার মধ্যে যে সকল উপায় ও উপকরণ আছে তা তো আবলম্বন করতেই হবে। তবে সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিপদ-আপদ, মসিবত কেন আবির্ভূত হয় তার কারণ এবং তার প্রতিকারের যে পন্থা অবলম্বন করা দরকার সে সম্পর্কে মানবের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ইসলামের সুস্পষ্ট পথনির্দেশ রয়েছে। এ দিকটা অনেক সময় আলোচনায় অনুপস্থিত থাকে। বিপদ-আপদ আল্লাহই দেন এবং তা তিনিই দূর করেনÑ সে দিকটিতেও মনোনিবেশ করা দরকার। তওবা করা দরকার। আল্লাহর দিকে ফিরে আসা দরকার। দরকার, এ ক্ষেত্রে নাজাত পাওয়ার জন্য তাঁর সমীপে বিনীত প্রার্থনা করার। আমরা এ প্রসঙ্গে প্রাচীনকালের প্রবল প্রতাবান্বি^ত বাদশা নমরুদ ও তার বাহিনী কিভাবে মশকবাহিনী দ্বারা ধ্বংস হয়েছিল তার কিছুটা উল্লেখ করতে চাই।

প্রাচীনকালে যে ক’জন বাদশা বিশাল সাম্রাজ্যের অধিকারী হয়েছিল এবং দোর্দণ্ড প্রতাপে ধরাকে সরাজ্ঞান করেছিল, তাদের একজন ছিল এই নমরুদ বা নিমরুদ। পূর্বে পারস্য উপসাগরীয় এলাকা থেকে পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর এবং এর পার্শ্ববর্তী রাজ্যসমূহ নিয়ে এক বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিল এই নমরুদ। তার আমলে ব্যাপক মূর্তিপূজার প্রচলন তো ছিলই, এমনকি সে নিজেও খোদায়ী দাবি করেছিল। মানুষের হাতে গড়া প্রতিমারা ছিল ছোট খোদা আর সে ছিল বড় খোদা (তার দাবি মতে)। আমি (এই লেখক) বাগদাদের জাদুঘরে তার মূর্তি দেখেছি। বেবিলনীয় সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র বেবিলন ছিল তার রাজধানী। সে সময় জ্যোতিষ শাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যাপক চর্চা ছিল বেবিলনে। জ্যোতিষীদের মাধ্যমে সে জানতে পেরেছিল যে আচিরেই এক শিশু জন্ম নিতে যাচ্ছে, যার দ্বারা নমরুদ ও তার সাম্রাজ্যের পতন হবে। নমরুদ সব রকম উপায় অবলম্বন করল তার জন্ম ঠেকানোর। কিন্তু আল্লার ইচ্ছা প্রতিহত করার সাধ্য কারো নেই। তারই এক ঘনিষ্ঠ জনের ঘরে জন্ম নিলেন হযরত ইবরাহীম (আ.)। মূলত আল্লাহ যা চান তাই হয়। নমরুদের মতোই পরবর্তীকালে মিসর সম্রাট ফেরাউন রামসিস ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল হযরত মূসা (আ.)-এর জন্ম ঠেকানোর। কিন্তু পারেনি। মূসা (আ.) জন্ম নিয়েছেন এবং তিনি সন্তান স্নেহে লালিত-পালিত হয়েছেন ফেরাউনেরই রাজপ্রাসাদে। আল্লাহর ইচ্ছায় ইবরাহীম (আ.)-এর দ্বারা ধ্বংস হয়েছে নমরুদ ও তার সাম্রাজ্য এবং মূসা (আ.)-এর দ্বারা ধ্বংস হয়েছে ফেরাউন ও তার সাম্রাজ্য।

যা হোক, হযরত ইবরাহীম আ.-এর জন্ম হলো। তিনি উপনীত হলেন যৌবনে। জন্ম থেকেই তিনি ছিলেন তৌহীদের ধারক ও বাহক। সারা দুনিয়ায় তখন এক আল্লাহতে বিশ্বাসী একটি মানুষও ছিল না। সর্বত্র মূর্তিপূজা পৌত্তলিকতায় সয়লাব। এর মাঝে তিনি একাই দাঁড়ালেন তৌহীদের পয়গাম নিয়ে। কওমের সামনে তুলে ধরলেন মূর্তিপূজার অসারতা, পবিত্র কুরআনের ভাষায়, “স্মরণ করো ইবরাহীম তার পিতা আযরকে বলেছিল, আপনি কি মূর্তিকে ইলাহ রূপে গ্রহণ করেন? আমি তো আপনাকে ও আপনার সম্প্রদায়কে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে দেখতে পাচ্ছি।” সূরা : আল আন আম : আয়াত ৭৪। তিনি তার কওমকে বললেন :

“তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত করো, যা তোমাদের কোনো উপকার করতে পারে না ক্ষতিও করতে পারে না? ঠিক তোমাদেরকে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত করো তাদের কে”। সূরা আম্বিয়া : আয়াত ৬৬, ৬৭।
হযরত ইবরাহীম বাদশা নমরুদকে বুঝাতে চেষ্টা করলেন। তর্কে সে পরাজিত হলো এবং বিশাল আগ্নিকুণ্ড বানিয়ে তার মধ্যে পুড়িয়ে মারার জন্য ইবরাহীমকে নিক্ষেপ করল। আল্লাহ পাক অগ্নিকে হুকুম করলেন : “হে আগ্নি তুমি ইবরাহীমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।” সূরা আম্বিয়া : আয়াত : ৬৯। আগুন জ্বলল ৪০ দিন পর্যন্ত। পুড়ল না হযরত ইবরাহীমের একটি পশমও।

যেই আল্লাহ ইবরাহীম আ.-কে এভাবে রক্ষা করলেন, এবার নমরুদের রোষ গিয়ে পড়ল সেই আল্লাহর উপরে। ঘোষণা দিলো সেই আল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের। তার অগণিত সৈন্যসামন্ত, অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নামল ময়দানে। এবার আল্লাহ পাক তাদের মোকাবেলা করার জন্য পাঠিয়ে দিলেন অতি ক্ষুদ্রকায় প্রাণী মশা। মশকবাহিনী স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তাদের মগজ ও গোশত খেয়ে সাবাড় করে দিলো। নমরুদ যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করে শাহী প্রাসাদের নিভৃত কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নিল। সেখানে উপস্থিত হলো ক্ষুদ্রকায় ঠেং ভাঙ্গা একটি মশা। নাকের ছিদ্র দিয়ে ঢুকল সে নমরুদের মস্তকে এবং কামড়াতে লাগল তার ঘিলু। যন্ত্রণায় অস্থির নমরুদ আঘাত করতে লাগল নিজ মস্তকে। আঘাত করে আর থেমে যায় মশার কামড়। আঘাত থামতেই আবার কামড়। কী আর করা? নমরুদ তার এক ক্রীতদাসকে নিয়োগ করল মস্তকে আঘাত করে যাওয়ার জন্য। হাতে তুলে দিল নিজের পায়ের জুতা। ক্রীতদাস জুতাপেটা শুরু করল নমরুদের মাথায়। কিন্তু আঘাত থামাতেই কামড় শুরু হয়। তাই অনবরত আঘাত চলতেই থাকল একনাগাড়ে ৪০ দিন পর্যন্ত। আল্লাহ পাক দুনিয়াবাসীকে দেখিয়ে দিলেন নকল খোদার পরিণতি। নিজ ক্রীতদাসের হাতে নিজ জুতার আঘাত নিজ মাথায় এভাবে চলল ৪০ দিন। মশার মগজ শোষণ শেষ। বিরক্ত হয়ে ক্রীতদাস আঘাত করল জোরে। মাথার খুলি গেল টুকরা টুকরা হয়ে। উড়ে চলে গেল আজগবি মশা। তাই মুক্তি চাইতে হবে সেই সর্বশক্তিমান আল্লার দরবারে। কামনা করতে হবে তাঁর দয়া ও মেহেরবানি।

আমাদের কাছে বিজ্ঞান আছে, প্রযুক্তি আছে, ডাক্তার আছে, চিকিৎসা আছে, ওষুধ আছে, তাই খোদার কাছে প্রার্থনা করার দরকার কী? মনে রাখতে হবে, এসবও ওই আল্লাহরই। তারই দান, দয়া। এর কার্যকারিতাও নির্ভর করে তারাই দয়ার উপরে। আমরা বাহ্যিক সব উপায়-উপকরণ ব্যবহার অবশ্যই করব। সাথে সাথে প্রার্থনা করব তাঁর দয়া ও করুণা প্রাপ্তির জন্যও। এখন চলছে এডিস মশার আক্রমণ। কিছুদিন আগে চলেছে চিকুনগুনিয়ার আক্রমণ। তার আগে চলেছে এনোফুলিশ মশার আক্রমণ। হয়েছে ডেঙ্গু, হয়েছে চিকুনগুনিয়া, হয়েছে ম্যালেরিয়া। আবার অন্য নামের মশা বা পতঙ্গের প্রাদুর্ভাবও তো ঘটতে পারে। মহামারী আকারে দেখা দিতে পারে তো অন্য কোনো রোগ-বিমারেরও। এসব থেকে যিনি আমাদের নিরাপদ রাখতে পারেন, তিনি ওই সর্বশক্তিমান আল্লাহ। তাঁর শক্তি অসীম। তাঁর ক্ষমতা অনন্ত। আমাদের সাধ্য ও ক্ষমতা নিতান্তই সীমিত। এর উদাহরণও আছে অগনিত।

যেমন, আমরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে, বিভিন্ন সেচ পরিকল্পনা গ্রহণ করে সারাদেশের শুকনো মাটি কতটুকু ভেজাতে পারি? অথচ আল্লাহ পাক মাত্র কয়েক ঘণ্টায় আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করে সারাদেশকে কি কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে দেয় না? সারা পৃথিবীর মানুষ হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে পৃথিবীর কতটুকু স্থানকে আলোকিত করতে পারে? অথচ আল্লাহ পাক মুহূর্তের মধ্যে সূর্য উদিত করে পৃথিবীর অধিকাংশ স্থানকে কি আলোয় উদ্ভাসিত করেন না? হ্যাঁ, সুযোগ সুবিধা লাভের জন্য মানবীয় সব প্রচেষ্টাকে আমরা নিয়োজিত করব। তবে সঙ্গে সঙ্গে তার নিয়ামতের শোকর আদায় করা আমাদের কর্তব্য নয় কি? ইতিহাস পাঠে আমরা জানতে পারি, মিসরের নীলনদ যখন শুকিয়ে যেত তখন (ইসলামের বিজয়ের আগে) তাদের চিরাচরিত পন্থায় এক সুন্দরী যুবতীকে সাজিয়ে নীলনদের শুকনো তলে নিয়ে গিয়ে বলি দিত। পানি আসার যখন সময় হতো, আসত। হযরত ওমর (রা.)-এর জমানায় মিসর বিজয় হলো। সেখানে গভর্নর নিয়োজিত হলেন হযরত আমর ইবনুল আস (রা.)। নীলনদ শুকিয়ে গেছে। পানি নেই। কী করা? নরবলির প্রথা তো সম্পূর্ণ ইসলামগর্হিত। গভর্নর আমর ইবনুল আস, খলিফা হযরত ওমরের নিকট দূত পাঠালেন পত্র নিয়ে, কী করবেন সে নির্দেশ কামনা করে। জবাবে হযরত ওমরও লিখলেন কয়েক লাইনের একটি পত্র। তবে গভর্নর বা অন্য কারো কাছে নয়, নীলনদের কাছে। লিখলেন ‘হে নীলনদ! তুমি যদি আল্লাহর ইচ্ছায় প্রবাহিত হয়ে থাকো তবে শোনো : এই চিঠি পাওয়ার পর কোনো দিন যেন আর তোমার বুক থেকে পানি শুকিয়ে না যায়। তুমি প্রবাহিত হও।’ বলে দিলেন এই চিঠি নীলনদের মাঝখানে রেখে দৌড়ে নদের তীরে পৌঁছবে। হুকুম মতো সে চিঠি নীলনদের মাঝে রেখে দৌড়ে তীরে পৌঁছতে না পৌঁছতে পানিতে নীলনদ পরিপূর্ণ হয়ে গেল। আর কোনো দিন তা শুকিয়ে যায়নি। এটা খোদায়ী কুদরত। আমরা সেই খোদায়ী শক্তি বা কুদরতে বিশ্বাস করি। তাই যেকোনো বিপদ-মসিবতে প্রার্থনা করতে বলি, প্রার্থনা করি।

ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও অন্য সব বিপদের জন্য ও আমরা আল্লাহর হুজুরে তওবা করে অনুতপ্ত হয়ে তাঁর দয়া-মদদ কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করব।

সত্য কথা এই, কয়েক দিনের খবরের কাগজ পড়ে ও অন্যান্য মিডিয়ার খবর দেখে দেশময় ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের আহ্বান, আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক ছড়াবেন না। অতি আতঙ্কে ও অতি আবেগে মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সঠিক কাজটি করতে পারে না। যদিও অনেকে নতুন মনে করছেন, তবু মশাবাহিত এ রোগ নতুন নয় এবং আমাদের দেশেই শুধু এর প্রাদুর্ভাব নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডেঙ্গু বিশ্বজোড়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১১০টি দেশে তখন এ রোগ মাহামারী আকার ধারণ করেছিল। হাজার হাজার আফ্রিকান শিশু মারা গিয়েছিল। ১৯৬০ সালের পর থেকে এ রোগ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি মশাবাহিত রোগ সংক্রামক ব্যাধি। এ ব্যাপারে বৃদ্ধি করতে হবে গণসচেতনতা। বাড়াতে হবে সামাজিক সক্রিয়তা। স্বাস্থ্যকর্মীরা, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের লোকেরা তো রয়েছেনই। এ ব্যাপারে দেশের আলেম সমাজ, মসজিদের ইমাম-খতিবদেরও মূল্যবান সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। তাদের সাথে সাধারণ মানুষের যেমন নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি তাদের কথা সর্বসাধারণ মনোযোগ সহকারে শ্রদ্ধা করেন, বিশ্বাস করেন ও তার ওপর আমল করেন। যিনি যে অবস্থানে রয়েছেন, সেখান থেকেই এ কাজ করতে পারেন। এ ধরনের জাতীয় সমস্যাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখা উচিত। কামড়ানোর ব্যাপারে এ মশা যেমন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও পেশা দেখে না তেমনি এর মোকাবেলায়ও সকলের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আবশ্যক। সঠিক ও কার্যকর ওষুধ ছিটানো। আক্রান্তদের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং যে যে কারণে এ মশা বংশ বিস্তারে সুযোগ পায় তা দূরীভূত করার ব্যাপারে প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে পারেন। অনেকেই এ বিপদ মাহামারী আকার ধারণ করার আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন। এ আশঙ্কা দূর করতে হবে।



 

Show all comments
  • Sadek Islam ২ আগস্ট, ২০১৯, ২:২৭ এএম says : 0
    এডিস মশাসহ অন্য যেকোন প্রাণীর ক্ষতি থেকে বাঁচার আমল! যেকোন প্রাণীর ক্ষতি, বিষ এবং যাদু থেকে বাঁচতে সকাল-সন্ধ্যায় এই দো'আটি তিনবার পড়তে পারেন। __(জামে তিরমিযী, ৩৫৫৯) أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ উচ্চারণঃ আ’উযু বিকালিমা- তিল্লা হিত্তাম্মা-তি, মিং-শাররি মা-খলাক্ব। অর্থঃ আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহর সব পূর্ণ কালিমাসমূহের উসিলায়, তাঁর সৃষ্ট সকল প্রাণীর অনিষ্ট থেকে।
    Total Reply(0) Reply
  • Supti Hossain ২ আগস্ট, ২০১৯, ২:২৮ এএম says : 0
    ডেঙ্গু আর এখন ডেঙ্গু নেই। মহামারী আকার ধারন করেছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছেন। আল্লাহ আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন। আমাদের সকলকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করুন। (আমীন)
    Total Reply(0) Reply
  • Gazi Elias ২ আগস্ট, ২০১৯, ২:২৯ এএম says : 0
    দেশের সকল মানুষ আজ উদ্বিগ্ন। গতকাল আমার কিশোর ছেলেকে মশায় কামড়ানোর পর সে ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। ভয়ে বারবার পানি পান করছিল। তখন আমিও খুব ভয় পেয়েছি ছেলের মানসিক অবস্থা দেখে।
    Total Reply(0) Reply
  • M A Salam Bhuiyan Allah amaderka hefajat karon Ameen. ১৯ আগস্ট, ২০১৯, ৫:৪৪ এএম says : 0
    Allah amaderka hefajat karon Ameen.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন