Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপির জনসচেতনতামূলক র‌্যালি

কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৯, ৭:৩৫ পিএম

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে রাজধানীতে র‌্যালি করেছে বিএনপি। তবে এ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিচ্ছে বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুরানো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে নির্ধারিত র‌্যালি করতে না পেরে দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিলো বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে। এই র‌্যালি করার জন্য সরকার আমাদেরকে অনুমতি দেয়নি। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য, জনগণকে সচেতন করার জন্য এই কর্মসূচি নিয়েছিলাম। সেখানেও তাদের বাধা। যারা আমাদেরকে গণসচেতনতামূলক এই কর্মসূচি করতে বাধা প্রদান করলো আমি তীব্র ভাষায় এর নিন্দা জানাচ্ছি।
সরকার ও সিটি করপোরেশনসমূহের ব্যর্থতাকে দায়ী করে ড. মোশাররফ বলেন, যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন সমন্বিতভাবে এই বর্ষা মৌসুমের আগেই উদ্যোগ গ্রহণ করতো তাহলে এই ডেঙ্গুর মহামারী সৃষ্টি হতো না। আমিও স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলাম। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু ছিলো। তখন আমরা প্রথমে এডিস মশা নির্মূল করার জন্যে সিটি করপোরেশনের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমি প্রত্যেক মৌসুমের আগে নগর ভবনে তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সভা করে কৌশল নির্ধারণ করেছি এবং আমরা তখন সফল হয়েছি। তখনও ডেঙ্গ হয়েছে কিন্তু তা প্রতিরোধের জন্য আমরা সচেতন ছিলাম বলে তা এতো বড় আকার ধারণ করেনি। আমরা তাই মনে করি এই সরকার ও তার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, দুই সিটি করপোরেশনের এটা ব্যর্থতা তারা সময় মতো এডিস মশা নিধন করতে পারেনি। যার জন্যে এই ডেঙ্গু মহামারীতে রূপান্তরিত হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে সরকারের ব্যর্থতা, তাদের উদাসীনতার জন্যই এই ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। আমরা এর জন্য দায়ী করি সরকারকে ও দুই সিটি করপোরেশনকে। আমাদের দাবি যত শিগগিরই সম্ভব কার্যকর ওষুধ এনে যথাযথভাবে ছিটিয়ে এই এডিস মশা নির্মূল করা হোক।
ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, আমাদের র‌্যালির কর্মসূচি ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন মহল্লায় মহল্লায় র‌্যালিসহকারে গিয়ে আমরা জনগনের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবো কিভাবে ডেঙ্গু মশা থেকে রক্ষা করা যায়, ডেঙ্গু জ্বর থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়। এই বিশাল আকাশের নিচে যখন বাংলাদেশের কোটি কোটি জনগণ কবুতর ছানার মতো ভীষন নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে বসবাস করছেন, ভীষন আশঙ্কার মধ্যে বসবাস করছেন- যেকোনো সময়ে ডেঙ্গ মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন এবং তাদের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হতে পারে। এই অবস্থায় যখন দেশে একটা জাতীয় ঐক্য দরকার, সমস্ত দল মত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যমত হয়ে এই মহামারী আকারে সকলে পুরোপুরি কাজ করা দরকার। সেই সময়ে আমরা আশা করেছিলাম আামাদের এই জনসচেনতা কর্মসূচিতে সরকারের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতা পাবো। কিন্তু মধ্য রাতের ভোট চোর অবৈধ সরকার আমাদের সেই অনুমতি দেয়নি। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এ সময়ে মহানগর দক্ষিনের ইউনুস মৃধা, হাবিবুর রশীদ হাবিব, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনসহ কয়েক‘শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ১টা থেকে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে মহানগর দক্ষিনের নেতা-কর্মীরা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে ব্যানার-ফেষ্টুন নিয়ে সমবেত হয়। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে শ্লোগান দেয়।
অন্যদিকে গতকাল রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে একটি র‌্যালি বের করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
র‌্যালি শেষে দেয়া বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং এদের মধ্যে কারো কারো প্রাণহানিও ঘটছে। ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। অথচ এই সংকট মোকাবেলায় জনবিদ্বেষী সরকারের যথাযথ উদ্যোগ নেই। ভোট চুরি করে ক্ষমতাসীন হওয়ায় জনগণের প্রতি সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই। আর এই ভোট চোর সরকারকেও জনগণ ঘৃণা করে। তাই এজন্য সরকারও জনগণকে শত্রু বলে মনে করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ