পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ভারত সরকার বলেছে, তারা ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করবে। কিন্তু ভারতে মুসলিমরা ধর্মীয় স্বাধীনতা দূরে থাক স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারছে না। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধোকাবাজ স্লোগানের প্রতি ধিক্কার জানাই। পীর সাহেব বলেন, ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুরা নিরপরাধ মুসলমানদের রাজপথে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করছে। অবিলম্বে মুসলিম নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। ভারতে মুসলিম স¤প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর ফটকে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, পীর সাহেবের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আব্দুল কাদের, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেএম আতিকুর রহমান, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল করীম মারূফ, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন।
বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সমাবেশের কথা থাকলেও পুলিশ দক্ষিণ গেটে জনতাকে দাঁড়াতে দেয়নি। পরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের সংকীর্ণ জায়গায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দৈনিক বাংলা, পল্টন মোড়, বায়তুল মোকারের পশ্চিম ও পূর্ব প্লাজা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে পীর সাহেব মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা মায়ের কোলে বসবাস করছে। এদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানরা প্রতিনিয়ত হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্র চোখ বন্ধ করে আছে এবং জাতিসংঘ নিশ্চুপ হয়ে আছে। জাতিসংঘ এখন মুসলিম নিধন সংঘে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করে আলোচিত হন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা। তার নাম না নিয়ে পীর সাহেব সরকারের উদ্দেশে বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়, তাদের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে মুসলিমরাই নেতৃত্ব দিয়েছিল। ভারতবর্ষে মুসলমানরা ৭০০ বছর শাসন করেছিল। তারা সংখ্যালঘু নির্যাতন করলে ভারত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হতে পারত না।
সমাবেশ শেষে পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে এগোনোর চেষ্টা করেন। পল্টন মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে এ সময় জনতার মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে একটি ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। কিন্তু দূতাবাসের হাইকমিশনার স্মারকলিপি গ্রহণ না করে লিয়াঁজো অফিসার দিয়ে গ্রহণ করায় নেতৃবৃন্দ তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।