গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
এবার ডেঙ্গুতে মারা গেলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইকোনিক্স ইউনিটের উপপরিচালক (উপসচিব) ডা. নুরুল আমিন স্ত্রী ফারজানা হোসেন। ফারজানা সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মিরপুর শাখার ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় থাকতেন তিনি। ঢামেক সূত্র জানায়, ফারজানা আগেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ফারজানার মৃত্যুর সংবাদে ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেখানে দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি সমালোচনা করেন নেটিজেনরা। তারা আশা প্রকাশ করেন এবার হয়তো কর্তাব্যাক্তিদের বোধদোয় হবে।
মাসুম হোসাইন সনি তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘এবার টনক নড়বে মনে হয়! এতোদিন গুজব গুজব করছেন, এখন দেখেন আপনার পরিবাবের একজন হারিয়ে গেল কেমন ব্যাথা লাগে! প্রতিনিয়ত সাধারণ জনগণ মরতেছে, তারপরও আপনারা কোন পদক্ষেপ নেন নাই! এখন দেখা যাক কেমন ডেঙ্গু নিধন করেন!’
‘ডেঙ্গু নিয়ে আগে থেকে যে সব তালবাহানা করা হয়েছে, তা যদি করা না হতো, তবে আজ এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না। কত সম্ভবনাময় প্রাণ অকালে ঝরো যাচ্ছে...’ - আক্ষেপ করে লিখেন ইশরাত জাহান তন্নি।
এমডি জাহাঙ্গির আলম লিখেছেন, ‘কারো মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়! তবে এবার কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপলব্ধি করতে পারবেন ডেঙ্গু আসলে কি?’
‘সারাদেশে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০ জন করে ভর্তি হচ্ছে। ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় সকল জেলায়। তাই সবাইকে সাবধান থাকাতে হবে। নিজ দায়িত্বে বাড়ি ঘর ও আশপাশের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। না হলে এভাবে আপনজনকে হারাতে হবে। দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের আর কি বলবে !’ - হতাশা প্রকাশ করে লিখেন মিলন খন্দকার।
আশা প্রকাশ করে শাদিদ ইসলাম লিখেন, ‘এতে যদি সাধারণ মানুষের প্রতি কিছুটা সহানুভূতির জন্ম নেয়, এখন হয়তোবা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়ে উঠবে কর্মকর্তারা।’
‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুক, আমিন। তবে স্বজন হারানোর বেদনাটা কি এখন একটু হলেও বুঝবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণোলয়ের কর্তাব্যক্তিরা।’ - রনি মোল্লার মন্তব্য।
রিফাত হাসান তার টুইটারে লিখেন, ‘ডেঙ্গু একটা গজব। এ গজব থেকে একমাত্র পরিত্রাণ পেতে বেশি বেশি তওবা এবং নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে ফরিয়াদ জানাতে হবে। প্রত্যেকে পাপকার্য ছেড়ে দিতে হবে। আর দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উচিত যথাযথভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন ও অসুস্থদের সুস্থ করুন, আমীন।’
ইউটিউবে ডেঙ্গু নিয়ে নানা সচেতনতামুলক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ফারজানাসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জনে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢামেকে ৫৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এ বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে ভর্তি হয়েছে মোট ২০১১ জন; যার মধ্যে শুধু জুলাইয়ে ১৮৫৮ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও এ বছরের জানুয়ারিতে ৩জন, মার্চে ৪জন, এপ্রিলে ৩জন, মে মাসে ৮জন, জুনে ১৩৫জন ভর্তি হন। তবে জুলাইয়ের ২৮ দিনে একলাফে এ সংখ্যা ১৮৫৮জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।