Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্কয়ার হাসপাতালে ২২ ঘন্টায় ডেঙ্গু রোগীর বিল ১.৮৬ লাখ টাকা: নেটিজেনদের নিন্দার ঝড়

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৯, ৭:৩৭ পিএম

গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন। এরআগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। মাত্র ২২ ঘণ্টায় ফিরোজের চিকিৎসা বাবদ প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বিল করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই খবর ও হাসপাতালের বিলের একটি ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া পর শুরু হয় ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। ফেইসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতলের অনিয়ম তদন্ত ও সকল হাসপাতালকে একটি সময় উপযোগী নীতিমালার আওতায় আনার দাবি জানান নেটিজেনরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রেজাউল করিম ফেইসবুকে লিখেন, ‘ চিকিৎসার নামে বানিজ্য বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রায় সব প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা বানিজ্য শুরু করেছে। অনতিবিলম্বে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা হোক।’

‘চিকিৎসা সেবাকে এখন কেউ সেবা হিসেবে প্রদান করে না, এখন সবাই এটা ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। আর এ বিষয়ে সরকার নির্বাক! এই চিকিৎসা ব্যায় মিটাতে বছরে কত লোক গরীব হচ্ছে, তা তো আমরা কিছুদিন আগে দেখলাম। আসলে যতদিন সরকার কঠিন কোন পদক্ষেপ না নেয়, ততদিন এই ব্যবসা চলতে থাকবে। আর আমরা সাধারণ জনগণ ফকির হতে থাকবো।’ - লিখেছেন রুহুল আমিন।

আহমেদ শামীম বিলের কাগজটি শেয়ার করে লিখেন, ‘এরা কি মানুষ! একজন রোগী মারা গেলো, আর ওরা ২২ ঘন্টায় সেই ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদেরকে বিল ধরিয়ে দিলো ২ লাখ! এরকম গলা কাটা হাসপাতালগুলোকে শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।’

‘সরকারের উচিৎ দেশের নামীদামী হাসপাতালের একটা নীতিমালা তৈয়ার করে দেওয়া। একটা নিয়মের মধ্যে আনা গেলে সাধারণ জনগন এই নামীদামী হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে পারবে।’ - এই নিউজের নিচে সুমাইয়া জাহানের মন্তব্য।

বেসরকারি চাকুরীজিবি আরিফুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন, ‘দেশের অভিবাবকরা যেখানে, দেশের বাইরে নিজেদের পরিবারসহ চিকিৎসা করান। সেখানে সরকারি হাসপাতালের মানব সেবার পরিবর্তে পশু সেবা চলে, আর বে-সরকারি হাসপাতালগুলোর মালিকানাতো দেশের অভিবাবকদেরই, সেখানে টাকার বিনিময়ে কসাই দিয়ে নামে মাত্র মানব সেবাই মিলছে!’

এমডি ইব্রাহিম হোসাইন তার টুইটারে লিখেন, ‘টাকা তৈরির কারখানা নাকি হাসপাতাল, একজন রোগীর যদি একদিনে এতো বিল হয়, কতজন প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে। ইন্ডিয়া এর চেয়ে বড় হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম এদের চেয়ে সেবা ভাল ভিআইপি কেবিনে থাকলাম দিনে পাঁচ হাজার টাকা। একদিনের টাকায় দেড় মাস চিকিৎসা নেওয়া যাবে।’



 

Show all comments
  • Selina ২৮ জুলাই, ২০১৯, ৮:২৪ পিএম says : 0
    Bhai,bolar kichu nei.amra akta chorer deshe thaki,akhane apnar ashe pashe sobai chor.......?
    Total Reply(0) Reply
  • Islam ২৮ জুলাই, ২০১৯, ৮:৪৬ পিএম says : 0
    এদের কারণেই প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ভারতে চিকিৎসা সেবা নিতে যায় । ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়ে যাচ্ছে । সরকারের বিশেষ ঊদোাগ নেয়া প্রয়োজন ।
    Total Reply(1) Reply
    • mohammad Sirajullah ২৮ জুলাই, ২০১৯, ১০:২১ পিএম says : 4
      These hospitals are run by "open market economy". No body is forced to go there. If people do not go there these hospital will change there policy, either will reduce the charge or close down. Government should not and can not interfere with private charges.I would ask everyone to check the charges by Lawyers. I remember in my school time in 1950s Doctors used to charghe Rs 16.00 where as Mr Hamidul haque chowdhury used to charge Rs. 500 (five hundred rupees). Nobody complained.I recently was in a hospital for less than 40 hours and my hospital bill was more than $47,000.00 (this did not include charges by the doctors, which will be different.If you want the Government to control everything, please chose communist type of Government and do not allow any private profession or business.
  • dr.noor muhammad ২৮ জুলাই, ২০১৯, ১০:২৬ পিএম says : 0
    Tara manurser cikissar name golakata bebsa koreche.
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad ২৮ জুলাই, ২০১৯, ১১:২৯ পিএম says : 0
    সন্তান অপরিনত বয়সে অনেক কিছুই করতে চায়,অভিভাবক হিসেবে পিতামাতা সেই ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রন না করলে সে অমানুষ হয়ে যায়। দেশের অভিভাবক হিসেবে সরকারের প্রাইভেট হাসপাতালের অসৎ ইচ্ছাগুলোকে নিয়ন্ত্রন করা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Sayem ২৯ জুলাই, ২০১৯, ৮:৪০ এএম says : 0
    এখন সরকারের উচিৎ স্কয়ার হস্পিটাল কে ২০০ কোটি টাকার বিল ধরা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ