Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবসর-কল্যাণ ট্রাস্ট ঘেরাও কর্মসূচি শিক্ষকদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৯, ৬:২২ পিএম

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের প্রতিবাদে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। রোববার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টায় কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে পলাশীতে এই দুই অফিস ঘেরাও করতে রওয়ানা হয়। শিক্ষক-কর্মচারীদের মিছিল পলাশী মোড়ে পৌছালে সেখানে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে শিক্ষকরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তন আদেশ বাতিল ও পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস এবং কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বাড়তি কাগজের ভোগান্তির অবসানের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে এ ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগপন্থি এ শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কাওছার আলী শেখ জানান পুলিশ তাদেরকে বাধা দিয়েছে। তবে, পুলিশ তাদের প্রতি বিরুপ নন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের মতো অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পান না। এর বদলে তাদেরকে এককালীন কিছু আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়। এর বিনিময়ে চাকরিজীবনের পুরো সময়েই তাদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ থেকে মোট দশ শতাংশ টাকা চাঁদা হিসেবে কেটে রাখা হয়। অবসর ও কল্যাণে এই চাঁদার হার যথাক্রমে ৪ ও ২ শতাংশ ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তা বাড়িয়ে মোট ১০ শতাংশ করেছে সরকার। কিন্তু এর জন্য বাড়তি কোনো সুবিধা দেয়া হবে না শিক্ষকদের। আর এখানেই আপত্তি শিক্ষকদের। এ জন্যই বেশ প্রায় সব কটি শিক্ষক সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে।

বিটিএ'র সভাপতি অধ্যক্ষ মো: বজলুর রহমান মিয়া বলেন, শীঘ্রই সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন। তিনি জানান, সারাদেশ থেকে দলে দলে শিক্ষকরা অবসর ও কল্যাণ অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যানার নিয়ে হাজির হন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেন। ‘দুর্ভোগের অপর নাম অবসর-কল্যাণ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে দুইবার কেন কাগজ চাওয়া হয়’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষকরা।

এর আগে গত ২৪ জুলাই প্রতিটি জেলা শহরে এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘প্রতীকী অনশন’ পালন করেন তারা। প্রতীকী অনশনে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণ, ঈদের আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূণাঙ্গ বোনাস দেয়া, অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। চাঁদা কর্তনের জন্য দশ বছর ধরে কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য-সচিব পদে থাকা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুকে দায়ী করেন শিক্ষকরা। নতুন সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদকেও দায়ী করা হয়। এছাড়াও কল্যাণের সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর পদত্যাগ দাবি করেন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষকরা।শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, দুই প্রতিষ্ঠানের সদস্য-সচিবরা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ভোগান্তি কমাতে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। নতুন স্কেলে কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পাওয়ার জন্য দুইবার কাগজ দিতে বাধ্য করা হয় অসহায় শিক্ষকদের।

ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সহ সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা জামান খান, দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, গ্রন্থাগার সম্পাদক অশোক কান্তি গুহ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহমিদা রহমান, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, কেন্দ্রীয় সদস্য, আজম আলী খান, প্রবীর রঞ্জন, মনোরঞ্জন মণ্ডলসহ হাজার হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ