মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্ব জুড়েই এখন তীব্র পানিসঙ্কট। পৃথিবীর উপরিভাগের ৭০ শতাংশ পানি হলেও খাবার পানির পরিমাণ মাত্র ৩ শতাংশ। বেহিসাবি অপব্যবহার এবং বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে খাবার পানির পরিমাণ ক্রমশ কমছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খরা পরিস্থিতি। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছচ্ছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে খাবার পানির চাহিদা বেড়ে যাবে প্রায় ৪০ শতাংশ। এর ফলে শুধু মানুষই নয়, জীবজগতেরও ব্যাপক ক্ষতি হবে। প্রচুর উদ্ভিদ এবং প্রাণী পানির অভাবে মারা যাবে। ফলে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে বিশ্ব। ক্রমশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে পৃথিবী।
এ রকম পরিস্থিতিতে জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশে অভিনব পদক্ষেপ করল সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাখিদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা করল তারা। এই মরু-রাজ্যে পানির উৎস মূলত দুটো। সমুদ্র এবং ভূগর্ভস্থ পানি। কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানিতে লবনের পরিমাণ সামুদ্রিক পানির থেকেও অনেক বেশি এখানে। ফলে মূলত সামুদ্রিক পানিকে পরিস্রুত করে খাবার জন্য ব্যবহার করা হয়। যা খুবই ব্যয়বহুল। এজন্য সবাইকে এখানে পানি কিনে খেতে হয়। কিন্তু পাখিরা? তাদের তো টাকা নেই। ফলে পান করার জন্য পানি পাওয়া পাখিদের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানে। অথচ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে পাখিরা অপরিহার্য। এই সমস্যা দূর করতে অভিনব উদ্যোগ নিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
শারজা জেলা এবং দিব্বা অল হিসন মিউনিসিপ্যালিটির সহযোগিতায় পাখিদের জন্য কাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শারজা জেলা এবং গ্রাম বিষয়ক দফতরের সহযোগিতায় ৪০০টি পাত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেগুলোতে পাখিদের জন্য খাবার পানি রাখা হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই পানিভর্তি পাত্র রাখা থাকবে। পাখিরা প্রয়োজনে যখন তখন সেই পানি খেতে পারবে।
পাত্রগুলোর উপর নজরদারিও রাখার দায়িত্ব দিব্বা অল হিসন মিউনিসিপ্যালিটির। পাত্র ফুটো বা ভেঙে যাচ্ছে কি না, বা পাত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি রয়েছে কি না তা দেখার দায়িত্ব ওই মিউনিসিপ্যালিটির। ওই মিউনিসিপ্যালিটি সূত্রে খবর, এর জন্য প্লাস্টিকের পাত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্লাস্টিকের পাত্রগুলোর আকার এমনই রাখা হয়েছে, যাতে পানি খেতে পাখিদের কোনও অসুবিধা না হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।