মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গতকাল (২২ জুলাই) দুপুরে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে মিলিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর পর পাকিস্তানের কোন রাষ্ট্র প্রধান এই প্রথম হোয়াইট হাউজ সফর করলেন। বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সন্ত্রাসবাদ, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। ট্রাম্প এ অঞ্চলে শান্তি স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া কাশ্মীর সমস্যা সমাধানেও ভারত পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে ব্যক্তিপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও আঞ্চলিক নানা বিষয়ে প্রজ্ঞাপূর্ণ মতবিনিময় করেন ইমরান, যা ছিলো শেয়ানে শেয়ানে টক্কর। ইমরানের এই সফর ও ট্রাম্পের সাথে বৈঠককে ঘিরে নেট দুনিয়ায় প্রসংশায় ভাসছেন তিনি। অপর দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে ছিলো নানা সমালোচনা।
ট্রাম্প-ইমরানের বৈঠকের নিউজ শেয়ার করে জাহিদুর রহমান তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘অনেক দিন পরে পাকিস্তান একজন যোগ্য প্রধানমন্ত্রী পেলো। এমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন প্রধানমন্ত্রী থাকলে সেই দেশ এমনিতেই বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে এবং নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।’
‘ক্রিকেটের মাঠে যেমনি ইমরান খান রাজ করেছিলো, ঠিক তেমনভাবে দেশ নায়ক হয়ে বিশ্বের বুকে রাজ করছে। ট্রাম্প হতে পারে সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের প্রেসিডেন্ট, কিন্তু ইমরানও কম নয়।’ - লিখেছেন সাইফুল ইসলাম।
ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদির ছবি শেয়ার করে আরিফুর রহমান লিখেন, ‘ইমরান খানের এই সফর থেকে মোদির অনেক কিছু শেখার আছে। মোদি আমেরিকা গিয়ে খালি হুজুর হুজুর করে। আর ইমরান দেখিয়ে দিলো কীভবে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আলোচনা করতে হয়।’
বৈঠকে আলোচিত কাশ্মীর ইস্যুতে বাবুল রেজার মন্তব্য, ‘কাস্মীরকে (আজাদ + জম্বু) একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক। ভূ-স্বর্গ আজ নরকে পরিণত হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের উচিত তাদের অধীকৃত কাস্মীরকে ছেড়ে দিয়ে মানবতার পরিচয় দেওয়া। না হলে গণভোট হোক, কাশ্মীরিরা ঠিক করুক তারা কোথায়, কার সাথে থাকতে চায়।’
এদিকে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে অনুরোধ করেছেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঝড় তুলেছে ভারতের ঘরোয়া রাজনীতিতে। এতে নেটিজেনদের ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পরেছেন মোদি।
ভারতীয় নাগরিক নরেশ লোয়ার লিখেন, ‘বিজেপি নাকি জাতীয়তা বাদী দল, মোদি ততোধিক দেশপ্রমিক। অথচ কাশ্মীর নিয়ে সেই আমেরিকার পদলেহন। স্বাধীনতার বয়স অনেক তো হল, আর কতদিন কাশ্মীর নিয়ে ঝুলে থাকতে হবে।’
‘বিপদে পা ধরা মোদী বাবুর অভ্যাস!’ - আশরাফ আহমেদের মন্তব্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।