মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দীর্ঘদিন যাবত জব্দ করে রাখার পর অবশেষে ইরানি তেলবাহী ট্যাংকারকে মুক্ত করে দিল সউদী আরব। শনিবার তেহরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ‘তাসনিমের’ প্রতিবেদনে এই ট্যাংকার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল সউদী মেরিন সেনারা ইরানি পতাকাবাহী ‘হ্যাপিনেস-১’ নামে তেল ট্যাংকারটি জব্দ করে। তখন পারস্য উপসাগরে ট্যাংকারটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সউদী প্রশাসন এটিকে জব্দ করে জেদ্দা বন্দরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তেহরানের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও গত কয়েক মাস যাবত ট্যাংকারটি ছেড়ে দিতে অপারগতা জানায় রিয়াদ। যদিও শেষ পর্যন্ত শনিবার শক্তিশালী দুইটি টাগ বোটের সাহায্যে ট্যাংকারটিকে ইরানের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষের বরাতে ইরানি গণমাধ্যম ‘পার্সটুডে’ জানায়, সউদী আরব নিজেদের বলপূর্বক ট্যাংকারটি আটক করে। পরবর্তীতে তেহরানের কাছ থেকে এটির রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত খরচ বাবদ প্রায় এক কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয় সউদী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্লেষকদের মতে, গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২৩ ক্রুসহ 'স্টেনা ইমপেরো' নামে একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার আটক করেছিল তেহরান। যার প্রেক্ষিতে ঘটনার একদিনের মাথায় ইরানি ট্যাংকারটিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো রিয়াদ।
এ দিকে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ‘আইআরজিসি’র জনসংযোগ দপ্তর শুক্রবার রাতে ট্যাংকার আটকের বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়, ‘ইরানের হরমুজ প্রণালীর বন্দর ও সামুদ্রিক যান চলাচল বিষয়ক সংস্থার অনুরোধে ‘স্টেনা ইমপেরো’ নামে একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারকে আটক করা হয়। ট্যাংকারটি বর্তমানে বাহিনীর হেফাজতে আছে এবং এর সকল ক্রু নিরাপদে রয়েছেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের প্রতি ট্যাংকারটি সম্মান দেখায়নি; যে কারণে হরমুজ প্রণালীতে কর্মরত ইরানের ওই সংস্থা তেল ট্যাংকারটি আটকের জন্য ‘আইআরজিসি’র কাছে অনুরোধ জানায়।’
আইআরজিসি জানায়, ট্যাংকারটি মোট তিনটি আইন লঙ্ঘন করেছে। প্রথমত এটি আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ইরানের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল, নিজেকে শনাক্তকরণ সকল যন্ত্রপাতি বন্ধ রেখেছিল এবং আইআরজিসির পক্ষ থেকে বারংবার সতর্ক করার পরও জাহাজটি তাতে কর্ণপাত করেনি।
অপর দিকে এসবের প্রেক্ষিতে এরই মধ্যে এক জরুরি বৈঠকে বসেছিল ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট এক বিবৃতিতে তেহরানকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘ইরান ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার ছেড়ে না দিলে তাদের অবশ্যই ‘কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।’ একই সঙ্গে তিনি এখনই কোনো সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘লন্ডন তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করছে।’
তেল ট্যাংকারটিতে ২৩ জন ক্রু থাকলেও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘তাদের মধ্যে একজনও ব্রিটেনের নাগরিক নেই।’ তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানানো হয় আটক ক্রুদের মধ্যে ১৮ জনই ভারতীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।