মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন এক নারী। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (১৭ জুলাই) একথা জানানো হয়। নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দেওয়া ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে ‘মিসেস সাহা’ নামে।
নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে ওই নারী ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করে বলেন, স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লক্ষ) হিন্দু্ বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমি আমার দেশে থাকতে চাই।
ট্রাম্প বলেন, বাংলাদেশ?
জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ। এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ থাকে। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না। সাহায্য করুন প্রেসিডেন্ট। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার জমি ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি।
ট্রাম্প তখন সাহার কাছে জানতে চান, কারা জমি নিয়ে গেছে? কারা বাড়ি ও জমি দখল করেছে?
ওই নারী বলেন, মুসলমান উগ্রপন্থীরা এবং তারা সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে। সবসময়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরা ওই নারীর বক্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। এই অভিযোগকে দেশের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র দাবি করে ওই মহিলার বিচারের দাবি জানিয়েছে নেটিজেনরা।
ভিডির নিচে কমেন্টে জাহিদুর রহমান লিখেন, ‘এই মহিলা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। সরকারের উচিত এই মহিলাসহ তার সাথের সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা।’
‘এত বড় মিথ্যাচার! যারা আজ বাংলাদেশে চাকুরী থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই একটা অঘোষিত কোঠা পেয়ে গেছে, যারা আজকে এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের বড় বড় জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করেছে অথচ তারাই বলছে তারা নাকি বিচার পায় না, অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত! এটা দেশের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।’ - মোবারক হোসেনের মন্তব্য।
নাঈম হায়দার ভিডিওটি তার ওয়ালে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেন, ‘ভাই শুধু এই মহিলার দোষ দিয়া লাভ নাই। কারন এইটা একটা নাটকের অংশ মাত্র। তারা সবাই এর সাথে জড়িত। তারা বাংলাদেশে কিছু একটা করার পরিকল্পনা করতাছে। আমেরিকা ভালো করেই জানে এই দেশের খবর।’
‘এটি একটি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। দেশের আইনে তার বিচার করা হোক।’ - লিখেছেন সুমন মুনশী।
সাইয়্যেদ জহিরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বেশি সুখে আছে তো তাই খুশির ঠেলায় পাগলের অভিযোগ। হিন্দু সমাজ বাংলাদেশে এত সুখে থেকে এত সুবিধা ভোগ করে আরও বদনাম করে, যা এই সরকারের জন্য হুমকি।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাশেদুল আলম লিখেন, ‘এরা সব ইন্ডিয়ান রক্তের বংশধর, ওদের দেহটা এদেশে থাকলেও মনটা ইন্ডিয়ায় থাকে। ওর আব্বুরা ইন্ডিয়ায় মুসলিমদের উপর নির্যাতন করতেছে, আর .... মহিলা তার উল্টোটা প্রচার করতেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।