মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হিলারি সংখ্যালঘু ভোটারদের সাথে শঠতা করছেন। তিনি মূলত বর্ণবাদী। কিন্তু সংখ্যালঘু ভোটাররা তা বুঝতে পারছে না। এদিকে ব্রিটেনে ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণাকারীরা বলেছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রেক্সিট।
বুধবার মিসিসিপির জ্যাকসনের সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্রেটরা সংখ্যালঘুদের নিশ্চয়তা দিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করেছে। কিন্তু হিলারি শুধু ভোট পাবার জন্যই এই চালাকি করছেন। তাদের ভবিষ্যৎ মানবিক দিকগুলো তার বিবেচনায় নেই।
ট্রাম্প আগামী সপ্তাহেই তার নতুন অভিবাসন নীতি প্রকাশ করবেন। সমাবেশে তিনি বলেন, এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরীক্ষণ করে তৈরি করা হয়েছে, যা আর ফেলে দেয়ার মতো অবস্থায় নেই। এর ফলে মার্কিন নাগরিকদের বেতন-ভাতা, নিরাপত্তা ও জীবনযাত্রার মানের প্রভূত উন্নয়ন হবে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিশদভাবে কিছু বলেননি।
ট্রাম্প তার নির্বচনী প্রচারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার পক্ষে তার দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন। বুধবার জ্যাকসনে রাতের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনের ব্রেক্সিটের পক্ষের সফল রূপকার নিজেল ফার্জ। ফার্জ যুক্তরাজ্যের ইউনাইটেড কিংডম ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টির বিদায়ী প্রধান। তিনি বলেন, সবাই যদি একত্রিত হয়, তবে যে কোনো কিছু সম্ভব করে তোলা যায়। তিনি ভবিষ্যৎ বাণী করেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার দিন দিন সফল হবে।
ফার্জ বলেন, ব্রিটেনে গণভোটের আগে তাদের অবমূল্যায়ন করা হতো। কিন্তু ২৩ জুনের গণভোট তার সঠিক প্রতিফলন দেখিয়ে দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি ভবিষ্যৎ বাণী করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে বেরিয়ে আসতে সমর্থন করা ট্রাম্প অবশ্যই নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হবেন।
ট্রাম্প ফার্জকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নাগরিকরা তাদের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনবেন বলে তিনি আশাবাদী। ট্রাম্পের আগে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী এক কোটি দশ লাখ অভিবাসীকে ফিরিয়ে দেয়ার যে অভিবাসী নীতি গ্রহণ করেছিলেন, তা সংশোধন করছেন। বুধবার তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা তাদের সাথে এ ব্যাপারে কাজ করছি।
এর আগে গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছিলেন, এসব অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। তাদের কর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। তবে আমরা তাদের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি।
ট্রাম্পের কঠোর নীতি নিয়ে অভিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এ কারণে তাদের সমর্থন চলে গিয়েছিল হিলারির পক্ষে। তাই দিশেহারা হয়ে ট্রাম্প এখন তার কঠোর নীতি নমনীয় করতে চাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহে তিনি তার নতুন অভিবাসন নীতি প্রকাশ করবেন বলে সমাবেশে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।