এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
ফেইসঅ্যাপে চেহারা বদল করে বুড়ো হতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন অন্তত ১৫ কোটি ব্যবহারকারী। এখন এই ব্যবহারকারীর নাম, ফোনের ছবিসহ অন্যান্য তথ্য নিজেদের সার্ভারে জমা করেছে ফেইসঅ্যাপ। যদিও প্রতিষ্ঠানটি বলছে তারা এই তথ্য গবেষণার কাজে লাগানোর পর মুছে ফেলবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর ঠিক উল্টো। গত সপ্তাহ খানেক থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারসহ অন্যান্য মাধ্যমে ফেইসঅ্যাপ দিয়ে নিজেদের ছবি বুড়ো বানিয়ে দেবার একটা ট্রেন্ড দেখা গেছে। এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছে বিশ্বের ১৫ কোটি মানুষ। অ্যাপটি ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীকে অনুমতি দিতে হয় তার নাম এবং ছবি নেবার। যেগুলো ফেইসঅ্যাপ চাইলে যেকোন কাজে ব্যবহার করতে পারে বলেও শর্তে বলা ছিল। সেই শর্ত মেনেই অনেকেই তাতে নিবন্ধন করে। অ্যাপ অ্যানিয়ার এক তথ্যে দেখা যায়, অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ১০ কোটির বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে। আর ১২১ দেশে অ্যাপলের আইওএস অ্যাপ স্টোরের শীর্ষ ডাউনলোড হওয়ার তালিকায় রয়েছে। ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষ মনে করছে অ্যাপটি এমনিতেই ব্যবহার করা যাচ্ছে। কিন্তু এটি ব্যবহার করতে যে তার নাম, ছবিসহ তথ্য দিতে হচ্ছে সেদিকে কেউ নজরই দেয়নি। ফোন এরিনার এক বিশেষজ্ঞ পিটার কস্তাদিনোভ বলছেন, আমরা ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা থেকে হয়তো কোন শিক্ষা নিইনি। যদি তাই হতো তাহলে এভাবে নিজেদের তথ্য জেনে বুঝে তৃতীয় কোন পক্ষের হাতে তুলে দিতাম না। রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান ওয়্যারলেস ল্যাব ফেইসঅ্যাপটি তৈরি করেছে। তিনি অবশ্য বলছে, এটি খুব ভয়ংকর নাও হতে পারে। কারণ তারা বলছে আরএনডি কাজ শেষের ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে তথ্যগুলো মুছে ফেলবে। কিন্তু যদি না মুছে তখন ব্যবহারকারীদের কিছুই করার থাকবে না। কারণ তারা বলেই দিচ্ছে, তথ্যগুলো যা খুশি তাই করতে পারে তারা। ফেইসঅ্যাপের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব তথ্যের অপব্যবহার করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা তথ্যগুলো তাদের সার্ভারে জমা রেখেছে ঠিকই। তবে সেগুলো গবেষণার কাজে ব্যবহারের পর মুছে ফেলবে। কিন্তু একই ধরনের কথা বলেছিল ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। প্রতিষ্ঠানটি ফেইসবুকে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ হিসেবে কাজ করে প্রায় আট কোটি মানুষের তথ্য হাতিয়ে নেয় এবং পরে সেগুলো ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় কাজে লাগায়। তাই এক্ষেত্রেও তেমনটা যে হবে না সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।