বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কেবল ফুঁসছে কুশিয়ারা নদীর পানি । উজানে, ভারতের আসাম ও মনিপুর রাজ্যে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ী ঢল নামছে বরাকের দুকূল ছাপিয়ে শাখা নদী কুশিয়ার দিয়ে। তারই প্রভাবে বেড়েই চলেছে নদীটির পানি। এর অববাহিকা অঞ্চলে বড় ধরণের বন্যার ধাক্কা বেসামাল হয়ে আসছে এমন শংকা জনমনে।একসাথে সুরমার পানিও থেমে নেই। সোজাভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কুশিয়ারা নামে প্রবাহিত হয়েছে। আর সুরমা কিছুটা বাঁক নিয়ে। আর তাই পানির তোড় সুরমার চেয়ে এ কুশিয়ারায়ই বেশী।সুরমার উত্তাল পানিতে নগরী অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। জলাবদ্ধতায় করুন পরিণতিতে পড়ে লোকালয়। এদিকে, বৃহস্পতিবার এই নদীটি শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। তবে শুক্রবার সবকটি পয়েন্টে কেবল বিপদসীমা অতিক্রমই করেনি, বরং প্রতি ঘন্টায় পানি বেড়েই চলেছে। সেদিন সকাল ৬টায় প্রবাহিত হচ্ছিল বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। সকাল ৯টায় তা বাড়ে আরো ১০ সেন্টিমিটার। ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত কুশিয়ারা ১২টায় আরো বাড়ে আরো ১০ সেন্টিমিটার। তখন প্রবাহিত হচ্ছিল ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। বিকেল ৩টায় তার রূপ আরো ভয়ংকর! ঈানি বাড়ে আরো ১৭ সেন্টিমিটার। তখন বইছিল বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। আর সন্ধ্যা ৬টায় বইছিল ৮২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। মানে ৩ ঘন্টায় বেড়েছে আরো ১৩ সেন্টিমিটার। শেওলা পয়েন্টেও বাড়ছে দ্রুত। শুক্রবার সকাল ৬টায় ০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল কুশিয়ারা। ৯টায় তা বাড়ে আরো ৮ সেন্টিমিটার। তখন বইছিল ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। পরের ৩ ঘন্টায় বাড়ে আরো ৭ সেন্টিমিটার। বিকেল ৩টায় অবশ্য বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার। তখন বইছিল ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। আর সন্ধ্যা ৬টায় বেড়েছে আরো ৭ সেন্টিমিটার। তখন বইছিল বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। শেরপুর পয়েন্টেও কুশিয়ারার পানি বাড়ছে দ্রুত। শুক্রবার সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরের ৩ ঘন্টায় বাড়ে আরো ৩ সেন্টিমিটার। তখন বইছিল বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। পরের ৩ ঘন্টায় বেড়েছে আরো ৩ সেন্টিমিটার। পরের ৩ ঘন্টায় বেড়েছে অবশ্য ২ সেন্টিমিটার। আর দিনের শেষ ৩ ঘন্টায় বেড়েছে আরো ৩ সেন্টিমিটার। মানে সন্ধ্যা ৬টায় কুশিয়ারা শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃষ্টি হচ্ছে উজানে। তার নেতিবাচক প্রভাবে সিলেট অঞ্চলজুড়ে বন্যার আগ্রাসী রূপ ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।