বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির পানিতে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে নদ-নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব এলাকার অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে গ্রামীন রাস্তাঘাট, মাছের ঘের, শাক সবজিসহ আমন বীজতলা।
সরেজমিনে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদি পাড়া, গারুহারা, ভগবতিপুর, কালির আলগা, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চরবাগার কুটি, চর গুজিমারী, বাবুর চর, গাবুরজানসহ ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার বিভিন্ন ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদিয়া পাড়া গ্রামের এরশাদুল হক জানান, গত রাত থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হু হু করে বাড়ছে। তীরবর্তী ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বন্যার আশংকা রয়েছে।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আইয়ুব আলী সরকার জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে প্রায় ১২শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানায়, গত ৩০ ঘন্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৫৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।