গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আমরা পারি। অনুকূল পরিবেশ করে দিলে বাংলাদেশিরাও পারে। সেটি প্রমাণ করেছি আমরা। আমরা তৈরি পোশাক খাত শুরু করেছিলাম শূণ্য হাতে। আজ অনেক দূর নিয়ে গেছি। আমাদের টেক্সটাইল ছিল না। তুলা ছিল না। কিন্তু আমরা দেখিয়েছি আমরা পারি। তিনি বলেন, আমরা অনেক অগ্রগতি করেছি। আরো সামনে এগিয়ে যাব। তবে এজন্য নিজের ওপরে বিশ্বাস রাখতে হবে। উদ্যোক্তা হতে চাইলে দেশের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। অতীতের কথা মনে রাখতে হবে। সবুজ পাসপোর্ট আমরা এমনি এমনি পাইনি।
বৃহষ্পতিবার (১১ জুলাই) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সারা দেশে ২৪ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা’র প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষকের হাতে সনদ তুলে দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন। এ জন্য ৬৪ জন প্রশিক্ষক জেলা পর্যায়ে কাজ করবে। এরই মধ্যে তাদের মাসব্যাপী প্রশিক্ষন নেওয়া হয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। অন্যদের মধ্যে বিডার সচিব মো. মোশারফ হোসেন, নির্বাহী সদস্য মোহসিনা, এলআইটি পরামর্শক নাইমা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, পাকিস্তান আমলে আমাদের কোনো ক্রিকেটার জাতীয় দলে ঢুকতে পারেনি। শুধু ঢাকায় কোনো ম্যাচ হলে ১২তম খেলোয়ার হিসেবে একজনকে নেওয়া হতো। ভারতের ইতিহাস খুললেও পাওয়া যায়, ৭০ বছরে পশ্চিম বাংলা থেকে মাত্র দুজন ভারতের জাতীয় দলে এসেছে। আজ বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী ক্রিকেট দল। আরো ১১ জন লাইনে আছে জাতীয় দলে আসতে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, গত কয়েক বছরে দেশে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যেকটি খাতে উন্নয়ন হয়েছে। চীনের সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন।
নজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে হবে। আজকের দিনের নতুন উদ্যোক্তারা আগামী দিনের বড় উদ্যোক্তা হবে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে আমাদের। সরকারের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করলে দেশের মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের দেশে তরুণরা অনেকে চাকরি চান। চাকরি দিতে চান না। তবে এ জন্য শক্তি সামর্থ্য ও মনোবল থাকতে হবে। তরুণদের জানতে হবে কীভাবে ব্যবসা করতে হবে। কীভাবে উদ্যোক্তা হতে হবে। কিভাবে পণ্যের বিপণন করতে হবে তা জানতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কেবল স্বপ্ন দেখে না। স্বপ্নের সঙ্গে লেগে থাকে। আমরা ২০২১ সালেল মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় আসবো। সেখান থেকে এসডিজি বাস্তবায়ন করা হবে ২০৩০ সালে। এরপর ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ। এরপর ২০৭১ সালে বাংলাদেশের শত বছর। ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা প্ল্যান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবাইকে কাজ করতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে।
কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যৎ যুব সমাজকে দিয়েই গড়তে হবে, আগামী পৃথিবী হবে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর। তাই ক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী একজন দক্ষ নির্মাতা। তিনি দিন দিন পালটে দিচ্ছেন বাংলাদেশের চেহারা, এখন বাংলাদেশ এক বিস্ময়ের নাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।