পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক এমপি মুফতি শহীদুল ইসলাম, ইসলাম ও মানবসেবায় অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। মরহুম শহীদুল ইসলাম শুধু ইসলামের খেদমত করেননি; বহুমুখী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আল-মারকাজুল ইসলামী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানবতার কল্যাণে বিরাট অবদান রেখে গেছেন। বিশেষ করে বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে ছেলে-মেয়েরা অসুস্থ পিতা-মাতার কাছে যায়নি তখন মুফতি শহীদুল ইসলামের আল-মারকাজুল ইসলামীর স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা করোনায় মৃত শত শত ব্যক্তির লাশ দাফন-কাফন করে দেশ-বিদেশে সুনাম বয়ে এনেছে। মহান আল্লাহ তার সকল নেক আমল কবুল করে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন, আমিন।
গতকাল বাদ-জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সাবেক এমপি মুফতি শহীদুল ইসলামের নামাজে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন। মুফতি শহীদুল ইসলামের নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন, সফররত বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদুল আকসার ইমাম ও খতিব মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর চাচা হযরত আব্বাস (রা.) এর বংশধর শায়খ আলী ওমর ইয়াকুব আল আব্বাসী।
সাবেক সংসদ সদস্য, বহুমুখী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আল-মারকাজুল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হজ এজেন্সি মিনার এভিয়েশনের স্বত্বাধিকারী এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক মুফতি শহীদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে মানিকগঞ্জে শ্বশুরবাড়ীতে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ৪ মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। মরহুমের নামাজে জানাজায় আরো যেসব নেতৃবৃন্দ অংশ নেন তারা হচ্ছেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাইর উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী, হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার, ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করীম জালালী ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, আহলে হাদিস বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা ড. আসাদ উল্লাহ গালিব, মরহুমের ছেলে মাওলানা হামজা, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির শীর্ষ নেতা মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (একাংশের) ঢাকা মহানগরী আমির মাওলানা হোসাইন আকন্দ, বাতিল প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা মুসা। জানাজা শেষে ঢাকার অদূরে কেরাণীগঞ্জের কলাতিয়ায় তারই প্রতিষ্ঠিত আল-মারকাজুল ইসলামী কমপ্লেক্সের সামনে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়েছে।
মরহুমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুফতি শহীদুল ইসলামের মতো একজন মানবকল্যাণকামী, জনদরদী, প্রতিভাবান আলেমের ইন্তেকালে দেশব্যাপী আলেম সমাজের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার খেদমত ও পরোপকার জাতি যুগ যুগ ধরে জাতির কাছে স্মৃতি হয়ে থাকবে। আল্লাহ তা’য়ালা মরহুমের সকল খিদমতকে কবুল করুন। যেসব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, তারা হচ্ছেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা অ্যাডভোকেট আব্দুর রকীব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শাইখুল হাদিস আল্লামা গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা ছরওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।