পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তায়িপ এরদোগান শুক্রবার লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে শক্তিশালী নেতা খলিফা হাফতারের বাহিনীর ‘বেআইনি হামলা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়। খবর এএফপি’র। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে তার সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং হাফতারের বাহিনীর অবৈধ হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।’ এরদোগান শুক্রবার সকালে ইস্তাম্বুলে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফয়েজ আল-সরাজের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তুরস্কের নেতা সরাজকে বলেন, লিবিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে দেশটির প্রতি আঙ্কারার সমর্থন রয়েছে। লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী হাফতারের বাহিনী সরকারের কাছ থেকে রাজধানীর দখল নিতে গত এপ্রিলের শুরুর দিকে অভিযান শুরু করে। গত মাসে হাফতার তুরস্কের বিভিন্ন কোম্পানি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর এবং তুর্কি নাগরিকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সরাজের সরকার সমর্থিত বাহিনীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর তিনি এমন নির্দেশ দেন। শক্তিশালী এ নেতার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তুরস্কের ছয় সৈন্যকে আটক করলেও এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। তাদেরকে ছেড়ে না দিলে এর প্রতিশোধ নেয়া হবে তুরস্কের এমন অঙ্গীকার ব্যক্তের পর তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়। উল্লেখ্য, হাফতার হচ্ছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। তিনি বিদ্রোহে অংশ নিলেও ২০১৪ সালের মে মাসে তিনি দেশটির জঙ্গি দমনে তার অভিযান শুরু করেন। আর এসব জঙ্গিকে তিনি ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এর আগে, লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের টেলিফোনে আলাপ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তুর্কি দৈনিক ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, শনিবার দুই নেতার মধ্যে এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিবিয়া পরিস্থিতি ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে কথা বলেন পুতিন ও এরদোগান। মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের পর থেকেই অস্থিতিশীল রয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে। সেখানে কর্নেল গাদ্দাফিকে এক সামরিক অভিযানে উৎখাত করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পাশ্চিমা বাহিনী। কিন্তু এরপর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। টেলিফোন আলাপে স¤প্রতি রাশিয়ার একটি পারমাণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম সাবমেরিনে অগ্নিকান্ডে ১৪ নাবিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এরদোগান। আনাদোলু, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।