পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোমহর্ষক ঘটনা দেশের সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। জনগন এখন নিজের ও পরিবারের ছেলে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। গত ২৫ জুন বরগুনা জেলা শহরে সরকারী কলেজের সামনে ক‘জন সন্ত্রাসী স্ত্রীর সামনে রিফাত নামে এক যুবককে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করে। স্বামীকে বাঁচানোর জন্য স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি আকুল আবেদন জানালেও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের এ জঘন্য হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে পারেন নি। দিনে দুপুরে এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটে থাকলেও আশপাশ থেকে স্ত্রীর চিৎকার শুনেও কেউ রিফাতকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।
একই দিন উত্তর বঙ্গের ঠাকুরগাঁওয়ে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় তানজিনা আক্তার নামে এক নার্সকে ছুরিকাঘাত করে এক যুবক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তিনি মারা যান। নরসিংদীতে দূবৃর্ত্তদের দেয়া আগুনে কলেজছাত্রী ফুলন বর্মনের মৃত্যু হয়। একইদিন নারায়গঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ায় ইউপি মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেত্রী বিউটি আক্তার হত্যাকান্ডের শিকার হোন।
এদিকে সিলেটের আখালিয়াতে ফরিদা পারভিন নামে সদ্য বিবাহিত এক গৃহবধুকে তার স্বামী রুবেল আহমেদ গলায় ওড়না পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দূর্গানগর ইউনিয়নের মহেশপুরে মা ও ছেলেকে গলা ও রগ কেটে হত্যা করে দূবৃর্ত্তরা। এরপরে কক্সবাজার কুমিল্লায় পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে তিনজন নিহত হন।এর মাত্র ক‘সপ্তাহ আগে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার এক মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে অধ্যক্ষ কর্তৃক ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য এ জাতীয় অমানবিক ঘটনা দেশের প্রায় সর্বত্র অহরহ ঘটলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য বা দাবী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন অবনতি ঘটেনি। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, বিচারও হবে। কেউই ছাড় পাবেনা। বিচারের ঊর্র্ধ্বে কেউ নয়, ইত্যাদি। এসব এখন যেন স্বাভাবিক বক্তব্য। বাংলাদেশ হাইকোর্টের-মন্তব্য দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা বরগুনা জেলা শহরে একজনকে কুপিয়ে মারলো-উপস্থিত জনগণ সে দৃশ্য দেখে ভিডিও করলো কিন্তু কেউ বাধা দিলনা বা যুবককে বাচাঁতেও এগিয়ে আসল না। সমাজটা কোথায় যাচ্ছে?
হ্যাঁ আমরাও বলি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এত অবনতির কারণ কী? কেন আজ কিছু মানুষ অমানুষের মত অপরাধ করে চলেছে। দেশে একটা গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও কেন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা চলছে? মানুষ নামের এসব নরপশুদের দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তির ব্যবস্থা কি করা যায় না ? যাতে অন্যরা এ জাতীয় অপরাধ করতে সাহস না পায়।
আমি আগেও উল্লেখ করেছি মারাত্মক এ জাতীয় অপরাধের ঘটনা রাজধানী ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটেই চলছে। এসব খুন, অপহরণ, ছিনতাই, রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডই প্রমাণ করে দেশে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। দেশের এ হাল অবস্থায় সাধারণ মানুষ তাদের জান মালের নিরাপত্তাজনিত কারণে অসহায় ও বোবা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের আপামর জনসাধারণ নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা ও শংকিত অবস্থায় দিন গোজরান করছেন। এ নিয়ে প্রশাসন, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির তেমন মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয়না। টু-পাইসের ব্যাপারটা গোটা পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে ফেলেছে। তারা দেখেও দেখেনা, শুনেও শুনে না বলে সাধারণ মানুষের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। নিজেরটা হয়ে গেলে অন্যদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করার প্রয়োজনীতা তারা উপলব্ধি করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা বুঝতেও চায় না যে, তাদের দায়িত্ব কি? কেন তাদের বেতন, ভাতাসহ আনুষঙ্গিক অনেক-বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে জনগণের করের টাকা হতে যা সাধারণ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তুলনায় বেশি। অপরাধ বাড়ছে, অপরাধী সর্বদাই সক্রিয় রয়েছে। আবার এসব অপরাধ ও অপরাধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে তারা, যাদের দায়িত্ব অপরাধ প্রতিহত করা, অপরাধীদের দমন করা। এ অভিযোগ প্রায় সর্বত্রই। অপরাধ প্রবণতা এতই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, কে কখন কিভাবে আক্রান্ত হবে, কার স¤পত্তি কে কিভাবে দখল করবে, কে কখন লাঞ্চিত হবে, কে কখন অপহরণ হবে এ আশংকায় সাধারণ মানুষের চোখে ঘুম নেই। এ অপরাধ প্রবণতা রোধে কেউই সক্রিয় হয়ে এগিয়ে আসছে না। সবাই যেন নীরব দর্শক। মূলত কারণ একটাই ধুম্রজাল সৃষ্টি করে নিজের ফায়দা হাসিল করা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটুকু অবনতি হয়েছে তা বুঝতে পান্ডিত্য বা বুদ্ধির প্রয়োজন হয় না। দেশে রয়েছে একটি গণতান্ত্রিক সরকার। বিধিবদ্ধ আইনের মাধ্যমে চলছে প্রশাসন। তাদের সহযোগিতায় আছে পুলিশ বিভাগ। অথচ প্রকাশ্যে প্রাণহানি, খুন, উৎখাত ইত্যাদির হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় চলছে অস্ত্রের মহড়া, ছিনতাই, রাহাজানি তারপর খুন। রাজপথে বসছে বাজার, ফুটপাত দেওয়া হচ্ছে লিজ, রাজপথের উভয় পার্শ্বে যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড এদের সরাবার উদ্যোগ তো নেই-ই বরং দৈনিক, সাপ্তাহিক ভিত্তিতে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। এখানে চাঁদাবাজ কারা, কে তাদের দেখবে, কে গ্রেফতার করবে, বিচার করবে কে? যারা করবে তারাই তো এসব অপরাধে জড়িত বলে সাধারণ মানুষের ধারণা। এদিকে মাননীয় বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী নিজেরাই চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করে বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এটাও একটি কারণ।
আবার অপরাধী, দুস্কৃতকারী, সন্ত্রাসী, খুনীদের কোন কোন সময় গ্রেফতার করা হলে প্রতিবাদ, মিছিল, সভা হয়, বিবৃতি প্রদান করা হয়- এটাও ঠিক। অপরাধীরা ঘৃণার পরিবর্তে আশ্রয়প্রাপ্ত ও উৎসাহিত হয়। রাজনীতি দলীয় গোষ্ঠীস্বার্থকে শিক্ষাঙ্গনে অনুপ্রবেশ করানো হচ্ছে। হাসপাতাল, ক্লিনিক, এমনকি কারাগার পর্যন্ত এখন আর নিরাপত্তা নেই। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীকে মারপিট করে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিককে শুধু ভয় দেখানো হচ্ছে না খুনও করা হচ্ছে। সাগর-রুনি তার একমাত্র দৃষ্টান্ত নয়-আরো আছে। পরিস্থিতির অবনতির এর চেয়ে জঘন্য দৃষ্টান্ত আর কি হতে পারে? ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে, পুলিশ বিভাগের বড় কর্তাদের অফিস ও বাসার সামনে চলছে মদ, জুয়া, ছেঁড়া টাকা, পাউন্ড-ডলারের অবৈধ ব্যবসা, পতিতারা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যবসা, নেই কোন প্রতিকার, নেই প্রতিরোধ। আছে আইন-নেই প্রয়োগ ।
আমরা সবাই বলে থাকি, দেশের সার্বিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত হচ্ছে আইন- শৃঙ্খলা জনিত স্বাভাবিক পরিবেশ ও সুষ্ঠু পরিস্থিতি। অথচ সেরূপ পরিস্থিতির নিশ্চয়তার জন্য প্রচেষ্টা কি চালানো হচ্ছে? যদি হয়ে থাকে তবে ফলাফল কোথায়? আসলে আমরা মুখে যা বলি কার্যক্ষেত্রে তাতে বিশ্বাসী নই। দেশের জনগনকে সকল শক্তির- সকল ক্ষমতার উৎস বলা হলেও বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এই অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়। কিন্তু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কোনদিনেই রাজনৈতিক প্রত্যয় ও অঙ্গীকারে বলিয়ান নয়। তারা লোভী, ভোগ ও সুবিধাবাদী। এ সুবিধাবাদের কারণে তারা দল বদল করে, লেবাস পরিবর্তন করে। তারা অপরাধ করে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে থাকে। জুলুম ও জালেমকে যেখানে আমাদের ঘৃনা করা উচিত সেখানে আমরা কেবল নীরবই থাকি না, তাদের পক্ষে কথা বলি, নিরপরাধ বলে বিবৃতি, বক্তৃতা দিয়ে থাকি। এটা কি স্ব-বিরোধিতা নয়? আমাদের মনে রাখতে হবে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ আর শাস্তির কঠোর বিধানই সন্ত্রাসের একমাত্র জবাব। একথা অবশ্য আমরা মাঝে মধ্যে বলে থাকলেও কার্যক্ষেত্র তার প্রতিফলন ঘটাতে পারি না। ন্যায় ও নীতির অনুসরণে আইনের প্রতি আস্থাশীল জনসাধারণ সহযোগী শক্তিতে পরিণত হয়।
অন্যদিকে পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্য করে ও ব্যবস্থা গ্রহণের সময় ক্ষেপণ করা হলে পরিস্থিতির অবনতি দ্রুত হয়। প্রতিপক্ষ দুঃসাহসী ও শক্তিশালী হয়, পরিস্থিতি এ সময় আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণই বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। পরিস্থিতিকে সময়ের হাতে ছেড়ে দেয়া প্রজ্ঞার পরিচায়ক নয়। জনগণকে যতই অসহায় মনে করা হোক না কেন- জনগণই ক্ষমতার উৎস। জনগণের শক্তি অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে যে নৈরাজ্য নেমে আসে তা কারো জন্য কল্যাণকর হতে পারে না- ইতিহাস এর সাক্ষী। কোন শক্তিধর ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই গণজোয়ার ঠেকাতে পারেনি এবং পারবেও না। নেতৃত্বহীন, নিয়ন্ত্রণহীন গণঅভ‚্যত্থাণ ব্যাপক ধ্বংস নিয়ে আসে যা মোটেই কাম্য নয়। এ গণশক্তিকে নিয়ন্ত্রনে রাখাই নেতৃত্বের পরিচয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সারাদেশে বর্তমানে যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে সহজেই বলা যায়, পরিস্থিতি নৈরাজ্যের দ্বারে উপনীত। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় বের করতেই হবে।
এই লেখাটি যখন শেষ পর্যায়ে ঠিক তখন আমার মনে পড়ল সউদী আরবের মরহুম বাদশাহ ফয়সলের কিছু কথা। তিনি আমেরিকাতে গিয়েছিলেন সরকারী সফরে বেশ ক‘বছর আগে। ওয়াশিংটন বিমান বন্দরে ভিভিআইপি লাউঞ্জে- সেখানকার এক সাংবাদিক বাদশাহকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাদশা ফয়সল আপনারা বলেন ইসলাম খুব সুন্দর ধর্ম, শান্তির ধর্ম কিন্তু আমরা দেখতে পাই আপনাদের দেশে বিভিন্ন শহরে এমনকি মক্কা মদিনার শহরের রাজপথে অপরাধীদের শিরচ্ছেদ করা হয়। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি ? প্রতিউত্তরে মহামান্য বাদশাহ বললেন- হ্যাঁ এটা সত্য কোনো ব্যক্তি অপরাধ করে থাকলে সম্ভাব্য কম সময়ের ভিতর স্বাক্ষী প্রমাণ নিয়ে কুরআন-হাদিসের আলোকে অপরাধের মাত্রানুযায়ী শান্তি প্রদান করা হয়। এতে কারও কারও অপরাধোর মাত্রা ঐ পর্যায়ের হলে শিরচ্ছেদ করা হয়, এতে অন্যরা অপরাধ করতে সাহস পায় না ফলে আমাদের দেশে অপরাধ প্রবণতা খুবই কম, এমনকি গভীর রাতে একজন সুন্দরী যুবতী রাস্তা দিয়ে একা হাঁটলেও কেউ তার গায়ে হাত দিবে না, বস্তাভর্তি করে কোটি কোটি ডলার, পাউন্ড, বা রিয়াল নিয়ে হাঁটলে কেউ ছিনতাই বা ডাকাতি করতে সাহস পাবে না। এতে প্রমাণিত হয় আমাদের দেশে অপরাধের মাত্রা বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনেক কম । পাল্টা তিনি সাংবাদিককে প্রশ্ন করলেন আপনিই বলুন আপনাদের দেশে প্রতি মিনিটে কতটা ছিনতাই, ধর্ষণ, ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে থাকে ? বাদশাহ ফয়সলের জ্ঞানর্গভ বক্তব্য শুনে প্রশ্নকারী সাংবাদিক বিস্মিত হয়ে গেলেন আর কোন কথা বলার সাহসই পেলেন না। আমার বক্তব্য আমাদের দেশেও যদি অপরাধীদের সম্ভাব্য কম সময়ের ভিতরে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায় তাহলে অপরাধ প্রবণতা অবশ্যই হ্রাস পাবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।